|
|
|
|
একশো খুদের বিকাশের ভার নিল রামকৃষ্ণ মিশন |
নিজস্ব সংবাদদাতা• জলপাইগুড়ি |
জলপাইগুড়ির তিস্তা পাড়ের ১০০ দুঃস্থ কচিকাঁচার শারীরিক ও মানসিক গঠনের দায়িত্ব নিতে চলেছে রামকৃষ্ণ মিশন। চার বছর প্রতি দিন এই কচিকাঁচারা রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের তদারকিতে থাকবেন। তিস্তাপাড়ের একটি কমিউনিটি কেন্দ্রে শিশুদের পড়াশুনো, মূল্যবোধের শিক্ষা এবং শরীরচর্চার আয়োজন থাকবে। প্রতিদিনই শিশুদের দুধ-সহ অন্য পুষ্টিকর খাবার তাদের দেওয়া হবে। পোশাক, বইখাতাও দেওয়া হবে।
আজ, বুধবার থেকে জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে এই প্রকল্প শুরু হতে চলেছে শহর লাগোয়া জালিয়াপাড়ায়। মিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে সাধারণ দুঃস্থ পরিবারের শিশুদের বেশিরভাগ অপুষ্টিতে ভোগে। অভাবে শিশুদের পড়াশুনোর দিকেও পরিবারের বিশেষ নজর থাকে না। এতে এক দিকে যেমন মেধার ঘাটতি দেখা যায়, তেমনিই মূল্যবোধের অভাবও দেখতে পাওয়া যায় না। এই খামতি দূর করতেই রামকৃষ্ণ মিশনের গদাধর অভ্যুদয় প্রকল্পে এবার জলপাইগুড়ি তিস্তাপাড়ের ৬-১০ বছরের শিশুদের বেছে নেওয়া হয়েছে। ১০০ জন শিশু বাছাই পর্বে ধর্ম বা জাতিকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। যে ১০০ জন শিশুর দায়িত্ব রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ এ দিন থেকে নিতে চলেছে ৪২ জন মুসলিম ধর্মাবলম্বী বলে জানা গিয়েছে। মিশনের জলপাইগুড়ি শাখার সম্পাদক স্বামী অক্ষয়ানন্দ বলেন, “তিস্তাপাড়ের কমিউনিটি হলে প্রতিদিন বিকালে শিশুদের নিয়ে শিবির হবে। একটি শিশুর সার্বিক বিকাশের যাবতীয় আয়োজন সেখানে থাকবে। আগামী চার বছরের প্রতিদিন এই শিবির হবে। ছুটির দিনেও শিবির বন্ধ থাকবে না। আমাদের মূল লক্ষ্য প্রাথমিক স্তরেই শিশুদের বৌদ্ধিক এবং শারীরিক বিকাশ ঘটানো। যাতে তারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে মাধ্যমিক স্তরে প্রবেশ করতে পারে।”
যে ১০০ জন শিশুর দায়িত্ব মিশন নেবে তাদের স্কুল ব্যাগ থেকে শুরু করে পোশাক সবই মিশন সরবরাহ করবে। চার বছরের শিবির চলাকালীন শিশুরা বাইরের স্কুলে পঠনপাঠন করতে পারবে। সেই দিকটি মাথায় রেখেই বিকালে শিবির শুরু হবে। শিবিরে প্রতিদিনকার পড়াশুনোর পাশাপাশি মূল্যবোধের শিক্ষা, ভারতের ঐতিহ্যের পাঠ পড়ানো হবে। শিবিরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য সচেতনতা মনোযোগ বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়াও নিজের বাসন, জামাকাপড় নিজে পরিষ্কার করার মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার প্রয়াস করা হবে। স্বামী অক্ষয়ানন্দ বলেন, “স্বামী বিবেকানন্দের ১৫০ তম জন্ম জয়ন্তীর কারণেই এই উদ্যোগ। তিনি যুব সমাজকে যে শিক্ষা, যে মন্ত্রে দীক্ষিত হওয়ার কথা বলতেন, সে ভাবেই প্রতিটি শিশুকে গড়ে তোলা হবে।” |
|
|
 |
|
|