|
|
|
|
ফিরলেন অলোক রাজ |
বনাঞ্চলে থাকছে সিআরপি, হবে ৪ ব্যাটেলিয়নের সদর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মাওবাদী দমনের জন্য জঙ্গলমহলে মোতায়েন করা সিআরপি আপাতত থাকবে বলে জানিয়ে দিলেন সিআরপি-র আইজি (দক্ষিণবঙ্গ) অলোক রাজ। প্রোমোশন পেয়ে সোমবার তিনি এ রাজ্যে ফিরে এসেছেন। আইজি জানান, প্রতিবেশী তিন রাজ্য থেকে সিআরপি-র চারটি ব্যাটেলিয়নের সদর দফতর সরিয়ে আনা হবে জঙ্গলমহলে। তৈরি হবে সিআরপি-র আধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। সেখানে আরও জমির জন্য মঙ্গলবার বাহিনীর তরফে আর্জি জানানো হয় রাজ্য সরকারের কাছে। অলোক রাজ-সহ সিআরপি-কর্তারা এই নিয়ে মহাকরণে প্রশাসন ও পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
২০০৮ সালের মে মাসে পঞ্চায়েত ভোটের সময় অলোক রাজ ছিলেন সিআরপি-র ডিআইজি। সিপিএমের তখনকার সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের নির্দেশ মানতে রাজি না-হওয়ায় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সরকারি ভাবে আলোক রাজের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করা হয়। স্থানীয় দুই মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানিরও অভিযোগ করেন পুলিশের কাছে। ব্যাপক হইচই হয়। সিআরপি-র তদন্তে অবশ্য এ-সব অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তার পরে অলোক রাজ বদলি হন। |

ফাইল চিত্র |
এখন এ রাজ্যে ৩৬ কোম্পানি সিআরপি আছে। তার মধ্যে এক কোম্পানি আছে কলকাতায়, ৩৫ কোম্পানি জঙ্গলমহলে। অলোক রাজ বলেন, “আপাতত ৩৫ কোম্পানি সিআরপি-ই থাকছে। শুধু পশ্চিম মেদিনীপুরেই আছে ৩১ কোম্পানি।” তবে ভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যে-২০ কোম্পানি সিআরপি জঙ্গলমহলে মোতায়েন করা হয়েছে, ১৯ জুন নাগাদ তার অর্ধেক সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানান আইজি। |
|
এই ২০ কোম্পানি সিআরপি-র মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ায় আছে সাত কোম্পানি করে, পুরুলিয়ায় আছে ছয় কোম্পানি।
বিভিন্ন অঞ্চলে লুকিয়ে রাখা অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে অলোক রাজ বলেন, “এই ধরনের যত সম্ভাবনা বাড়বে। বেশ কিছু দিন ধরে মাওবাদীরা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। আমরা জঙ্গলমহলে নানা ধরনের কল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে স্থায়ী শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করছি।”
সিআরপি-র তরফে এ দিন শালবনিতে ৪৭ একর জমি চাওয়া হয় রাজ্য সরকারের কাছে। অলোক রাজ বলেন, “জঙ্গল-যুদ্ধে জওয়ানদের আরও পারদর্শী করতে ওখানে আধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হবে।” কয়েক মাস আগে শালবনিতে সিআরপি-র জন্য ১৪৩ একর জমি
বরাদ্দ করেছে রাজ্য। সেখানে ‘কোবরা ২০৭’ ব্যাটেলিয়নের সদর দফতর গড়ে তোলা হবে।
সিআরপি-র কম্যান্ডান্ট শ্যামচাঁদ দে বলেন, “আপাতত ওই ব্যাটেলিয়ন মেদিনীপুর পুলিশ লাইন থেকে কাজ চালাচ্ছে।” সিআরপি-র জন্য ১০৪ একর জমি বরাদ্দ নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে আলোচনা চলছে। এর মধ্যে আছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ৫২.৩০ একর জমি। সেখানে সিআরপি-র ডিআইজি (অপারেশন)-র দফতর ছাড়াও গড়ে তোলা হবে ‘৫০ ব্যাটেলিয়ন’ ও ‘৬৬ ব্যাটেলিয়ন’-এর সদর দফতর।
শ্যামচাঁদবাবু এ কথা জানিয়ে বলেন, “ঝাড়গ্রাম থানা এলাকার বামুনমারায় রাজ্য সরকার ৪৩.৬৪ একর জমি দেবে। ওখানে হবে ‘১৬৭ ব্যাটেলিয়ন’-এর সদর দফতর।” একই থানা এলাকার জঙ্গলখাসে সিআরপি পাবে আট একর জমি। সেখানে ‘১৮৪ ব্যাটেলিয়ন’-এর সদর দফতর গড়ে তোলা হবে।
আপাতত এই সব সদর দফতর রয়েছে প্রতিবেশী তিন রাজ্যে। |
|
|
 |
|
|