বাসের ধাক্কায় দুই ব্যক্তি জখম হওয়ায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে দেড় ঘণ্টা পথ অবরোধ করলেন হুড়া থানার শামুকগড়িয়া এলাকার বাসিন্দারা। মঙ্গলবার ভোরে পুরুলিয়া-বাঁকুড়া ৬০-এ জাতীয় সড়কে অবরোধ হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ভোরে পুরুলিয়াগামী একটি বাস কলকাতা থেকে আসছিল। শামুকগড়িয়া মোড়ের অদূরে একটি সেতু রয়েছে। সেতুটি বিপজ্জনক বলে বিকল্প রাস্তা দিয়ে যানচলাচল করে। এ দিনও বাসটি বিকল্প রাস্তা দিয়ে মূল রাস্তায় উঠছিল। তখন রাস্তার পাশে একটি দোকানে বাসটি ধাক্কা মারলে তিনজন জখম হন। তাঁদের মধ্যে এক জনকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পরেই ক্ষতিপূরণ ও আহতদের ব্যয়ভার বাসমালিককে নিতে হবে, এই দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা অবরোধ করেন। পাশাপাশি তাঁরা যানচলাচল নিয়ন্ত্রের দাবিও জানিয়েছেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। পুলিশ জানায়, বাসটিকে আটক করা হয়েছে। পুরুলিয়া জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রতিভারঞ্জন সেনগুপ্ত বলেন, “এক সাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে। চিকিৎসার খরচ বাস মালিক বহণ করবেন বলে কথা দিয়েছেন।” শিশু উদ্ধার। এক সদ্যোজাত শিশুর দেহ উদ্ধার হল পুরুলিয়া শহরের নিমটাঁড় এলাকায়।
|
কিশোর ‘খুনে’ যুবক গ্রেফতার |
এক কিশোর খুনের প্রায় ছ’মাস পরে ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত গণেশ কুম্ভকারের বাড়ি পাড়া থানার দুবড়া গ্রামে। সোমবার রাতে পুরুলিয়া শহর থেকে গণেশকে গ্রেফতার করে সাঁওতালডিহি থানার পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে রঘুনাথপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক গণেশকে চার দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রের খবর, গত ২৫ ডিসেম্বর নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল সাঁওতালডিহির ইছড় গ্রামের বাসিন্দা, হরিচরণ কুম্ভকার। পরে ৩ জানুয়ারি আসানসোলের কুলটিতে ওই কিশোরের দেহ উদ্ধার হয়। এই খুনের ঘটনায় জনিত সন্দেহেই গণেশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, খুনের তদন্তে নেমে ইছড়, কামানগোড়া এলাকায় আর্থিক প্রতারণা চক্রের সন্ধানও পেয়েছে পুলিশ। রঘুনাথপুরের এসডিপিও দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, “গণেশকে জেরা করে জানা গিয়েছে, হরিচরণকে নিয়েই প্রতারণা চক্রের হয়ে কাজ করত সে। টাকার কারণেই গণেশ খুন করেছিল ওই কিশোরকে।”
|
পঞ্চায়েত অফিসে স্মারকলিপি দিতে এসে সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ার অভিযোগে প্রধান-সহ অন্য কর্মীদের আটক রাখলেন গ্রামবাসী। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়ার পুঞ্চা থানার বারমেশিয়া গ্রামে। সোমবার রাত আটটা অবধি এই বিক্ষোভ চলে। শেষ পর্যন্ত পুলিশি হস্তক্ষেপে অবস্থান বিক্ষোভ ওঠে। গ্রামের বাসিন্দা অংশুমান রায়, তপন রায় বলেন, “গরম পড়েছে। ফলে গ্রামে পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট রয়েছে। অথচ প্রধান জলের সমস্যা সমাধানে কোনও ব্যবস্থা নেন নি।” তাঁদের অভিযোগ, “ইন্দিরা আবাস, বার্ধক্য ভাতা নিয়ে দলবাজি হয়েছে। ১০০ দিনের প্রকল্পে নাম নেই এমন অনেক যুবকের জব কার্ডে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।” তাঁদের দাবি, “প্রধান এই সব প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি।” বারমেশিয়া-রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের সুচিত্রা বাউরি বলেন, “প্রধান হিসেবে আমার ক্ষমতা সীমিত। জলসঙ্কট মেটানোর চেষ্টা করেছি। তবে দলবাজির অভিযোগ ঠিক নয়। জব কার্ডে টাকা তুলে নেওয়ার ব্যাপারেও খোঁজ নেব।” |