সেচ ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ দুবরাজপুরে
সেচ বাঁধ গ্রামের মানুষের কোনও উপকারে লাগে নাএই অভিযোগে স্বেচ্ছাশ্রমে জলাধারের মুখ পাথর, বালি, সিমেন্ট দিয়ে উঁচু করে প্রতিবাদ জানালেন দুবরাজপুরের পারুলিয়া পঞ্চায়েতের রাওতাড়া গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামের বাসিন্দাদের ক্ষোভ, বছর পাঁচেক আগে এলাকার জমিগুলিতে সেচ দেওয়ার উদ্দেশ্যে জলাধার তৈরি করা হলেও বিন্দুমাত্র তা সেচের কাজে লাগেনি। বহুবার পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, বিডিও এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতি, জেলাশাসককে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। তাই মঙ্গলবার আমরা সমস্যার সমাধানে হাত লাগিয়েছি।
এ ব্যাপারে তাঁর কাছে খবর নেই বলে দাবি, পারুলিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের রবিলাল অঙ্কুর। তিনি বলেন, “সমস্যার কথা কেউ আগে জানাননি। শুনেছি গ্রামবাসীরা নিজেরা সমস্যার সমাধান করে নিয়েছেন বলে শুনেছি। এর পরেও অসুবিধা হলে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে দেখা হবে।”
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পারুলিয়া পঞ্চায়েতের রাওতাড়া মৌজায় ব্রিটিশ আমল থেকে একটি ‘চেক ড্যাম’ ছিল। রাজনগর ও দুবরাজপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার বৃষ্টি জল জমে যেত ওই জলাধারে। ওই জলাধার থেকে জমিতে সেচ দিতে পারতেন বলে ওই গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি। কিন্তু ২০০৬-এর আগে সেটি ভেঙে পড়লে দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির অর্থ সাহায্যে নতুন চেক ড্যাম করার পরিকল্পনা নেয় পারুলিয়া পঞ্চায়েত। ঠিক কত টাকা প্রকল্পটির জন্য ব্যায় করা হয়েছিল, তার সঠিক হিসেব জানতে না পারলেও বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা ব্যায় ধরা হয়েছিল।
জলাধার আটকে প্রতিবাদ। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত।
বাঁধ তৈরির সময় থেকে কাজের মান, কাজের পরিকল্পনা নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছিল। কাজ শেষ হওয়ার পরে প্রধান সমস্যা দেখা দেয় সেচ পাওয়া নিয়ে। বাসিন্দাদের দাবি, এক বিঘা জমিতে ওই জলাধার থেকে সেচ দেওয়া যায় না। স্থানীয় বাসিন্দা মিহির মণ্ডল, দেবাশিস মণ্ডল, জয়দেব অঙ্কুরদের দাবি, “এই সেচ বাঁধ তৈরির সময় থেকেই আমরা বিভিন্ন বিষয়ে আপত্তি তুলেছিলাম। গণস্বাক্ষরিত একটি আবেদনপত্র পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি, বিডিও, জেলাশাসক সকলকে দিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও তরফ থেকে কোনও সদুত্তর পাইনি।” জেলা সভাধিপতি অন্নপূর্ণা মুখোপাধ্যায় বলেন, “দীর্ঘদিন আগের কথা। বিষয়টি আমার মাথায় নেই। আমি খোঁজ নিচ্ছি।” বিডিও মৌমিতা সাহা অবশ্য বলেন, “যে সময়কার ঘটনা সেই সময় আমি পদে ছিলাম না। এখন যদি এলাকার মানুষ লিখিত ভাবে জানান, আমি চেষ্টা করে দেখব।”
Previous Story Purulia Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.