টুকরো খবর
প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা সিউড়িতে
দুর্নীতির অভিযোগে ফের সিউড়ি ২ ব্লকের কেন্দুয়া পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল জোট সঙ্গী তৃণমূল এবং তাঁর নিজের দলের এক জন সদস্য। এ ছাড়া, সিপিএমের দুই ও এক নির্দল সদস্যও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। পঞ্চায়েতে অনাস্থার পক্ষে যান ৭ সদস্য। মঙ্গলবার ভোট হয়। এই পঞ্চায়েতে অনাস্থার ভোটাভুটি কোনও নতুন ব্যাপার নয়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে ভাঙা-গড়ার খেলা অব্যাহত এই পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যা ১৩। সিপিএম ৬, সিপিএম সমর্থিত নির্দল ১, কংগ্রেস ও তৃণমূল তিনটি করে আসন পায়। স্বাভাবিক ভাবেই প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন সিপিএমের শেষ আনারুল। কয়েক মাসের মধ্যে ওই প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন কংগ্রেস ও তৃণমূলের সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গ দিয়েছিলেন সিপিএম ও নির্দলের এক জন করে সদস্য। কংগ্রেস সদস্য তথা সিউড়ি ২ ব্লকের সভাপতি আনারুল হক অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেননি। শেষ পর্যন্ত অনাস্থার ভোটে সিপিএম প্রধান অপসারিত হয়ে আনারুল হককে প্রধান করা হয়। বছর ঘুরতেই ৩০ মে আনারুল হকের বিরুদ্ধে অনাস্থা আসে। সাত জনই এ দিন ভোট দিয়েছে। প্রধান-সহ বাকি সদস্য ভোটাভুটিতে যোগ দেননি। দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে আনারুল হক বলেন, “এটা তৃণমূলের আগ্রাসী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।” তাঁর দাবি, “এ দিন সাত জন ভোট দিলেও তিন জনের ভোট দেওয়ায় প্রক্রিয়াগত ত্রুটির জন্য প্রধান পদ খারিজ হবে না। কেন না সিপিএমের দু’জন এবং কংগ্রেসের এক জন সদস্য ব্যালট পেপারে লিখেছেন, তাঁরা তৃণমূল সদস্য।” বিডিও-র কাছে অভিযোগ করেছেন বলে তিনি জানান। তৃণমূলের সিউড়ি ২ ব্লক সভাপতি পবিত্র দাস বলেন, “উনি আইন জানেন না বলে এ সব কথা বলছেন। তাই তাঁর প্রধান পদ খারিজ নিয়ে কোনও প্রশ্নই ওঠে না।” তাঁর দাবি, “প্রধানকে অনেকবার সতর্ক করা হয়েছিল। অথচ উনি নানাভাবে দুর্নীতি চালিয়ে আসছিলেন। তাই অনাস্থা আনতে হয়েছে।” সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিও কোয়েলি দাস বলেন, “নিয়ম মেনে ভোট হয়েছে। প্রতিনিধিদের কাছ থেকে রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করব না।”

মারধরের অভিযোগ
এক মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠল তাঁরই আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। ময়ূরেশ্বরের ছোটতুড়ি গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলার নাম মনোকা বিবি। ওই মহিলা আহত অবস্থায় সিউড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি জানান, সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ তাঁর স্বামীর দাদু এবং আত্মীয়েরা তাঁদের বাড়িতে কিছু টাকা ধার চাইতে আসে। স্বামী সাকিরুল শেখ তা দিতে অস্বীকার করলে দু’পক্ষের বচসা হয়। এরপরই তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ মনোকার। এই ঘটনায় রাজনীতিও জড়িয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, “টাকা ধার চাওয়াটা অজুহাত। সাকিরুল নির্বাচনে আমাদের হয়ে কাজ করেছিলেন। সেই আক্রোশেই তাঁকে মারধর করা হয়েছে।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, “এটা নিতান্তই পারিবারিক ঘটনা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।” পুলিশ জানায়, ছ’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

দেহ উদ্ধার
এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম শ্যামাপদ মাহাতো (৪৫)। বাড়ি পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর থানার সগড়কা গ্রামে। মঙ্গলবার সকালে নিজের বাড়ির ভিতর থেকে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, মানসিক অবসাদের জেরে সোমবার রাতে নিজের বাড়িতেই আত্মহত্যা করেন ওই ব্যক্তি। সকালে দেহটি পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
Previous Story Purulia Next Item



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.