এক যুবকের দেহ নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন ফরাক্কার বেনিয়াগ্রামের গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার বিকেলে ওই দেহটি গাড়িতে করে পুলিশকর্মীরা নিয়ে যান বেনিয়াগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে দেখেন, ওই যুবকের তত ক্ষণে মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, তাঁদের কাছ থেকে এই কথা জানতে পেরেই পুলিশকর্মীরা চলে যান। গ্রামবাসী আখতারুল হক বলেন, “পুলিশ দেহটি ফেলে পালিয়ে গেল কেন? তাই গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান।” তাঁদের অভিযোগ, যুবককে পুলিশ পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। সেই জন্যই ভয়ে পুলিশকর্মীরা পালিয়েছেন। তবে এই ব্যাপারে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। ওই হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত ব্লক আধিকারিক সজল পণ্ডিত বলেন, “ওই যুবকের দেহটি সম্পূর্ণ উলঙ্গ ছিল। কিন্তু সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মীরা হঠাৎ করে দেহটি ফেলে চলে যাওয়ায় গ্রামের মানুষের সন্দেহ হয়। আমরা ফরাক্কা থানাকে খবর পাঠাই।” ফরাক্কা থানার আই সি কমল বৈরাগ্য বলেন, “পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ মিথ্যা। তবে পুলিশ কর্মীরা পালিয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসীর এই সন্দেহ হয়েছে।” তিনি জানান,ওই পুলিশকর্মীরা অন্য কাজে যাচ্ছিলেন। ফরাক্কা কলেজের কাছে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন ওই যুবককে। সঙ্গে দু’জন ব্যক্তিও ছিলেন। তাঁরা গাড়ি থামিয়ে সাহায্য চান। মানবিকতার কারণে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই যুবককে। কিন্তু তিনি মারা গিয়েছেন শুনে তাঁর সঙ্গীরা পালিয়ে যান। পুলিশকর্মীরাও তারপরে ভয় পেয়ে চলে আসেন।” গ্রামবাসীদের দাবি, এই ঘটনায় তো ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কেন ভয় পেল পুলিশ, তা চিকিৎসকেরাও বুঝতে পারছেন না। জঙ্গিপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আনন্দ রায় বলেন, “কোন অবস্থায় কেন পুলিশকর্মীরা ওই ব্যক্তিকে নিয়ে গিয়েছিলেন, কেনই বা দেহ ফেলে চলে এলেন এবং ওই ব্যক্তির পরিচয় না জেনেই কেন তাঁকে গাড়িতে তোলেন, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে।”
|