গত শনিবার থেকে নিখোঁজ এক বালকের পচাগলা দেহ মিলল বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি পাট খেতের মধ্যে থেকে। তার নাম সাকিম শেখ (১১)। বাড়ি লালগোলা থানার ছাইতনি গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায়। মৃতের গলার নলি, পেট ও পায়ের শিরা কাটা। হাত দু’টো কাঁচা পাটের ছিলকা দিয়ে পেটের কাছে বাঁধা। তার হাফপ্যান্ট পড়েছিল ওই পাটখেতেই কিছুটা দূরে। ওই ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাকিমের এক প্রতিবেশী বছর চোদ্দর এক কিশোরকে পুলিশ আটক করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মৃণাল মজুমদার বলেন, “ওই ঘটনার বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতের প্রতিবেশী এক কিশোরকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” তবে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের একটি সূত্রের অনুমান, সম্ভবত ওই বালকের সঙ্গে কেউ যৌন সম্পর্ক তৈরি করেছিল। জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে সাকিমকে খুন করা হতে পারে। বিশেষ কোনও ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকলেও তাকে খুন করা হতে পারে। সাকিমের বাবা ফরজেম আলি বলেন, “ছেলেকে কে খুন করেছে আল্লাই জানেন! পুলিশ বার করুক খুনি কে।”
|
মোটরবাইক থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। নাম কনকলতা মজুমদার (৩৫)। বাড়ি কোতোয়ালি থানার পোড়াগাছা গ্রামে। মঙ্গলবার ভোরে দুর্ঘটনাটি ঘটে পোড়াগাছার কাছে কৃষ্ণনগর মাজদিয়া সড়কে। এ দিন কনকলতাদেবী কলকাতার ট্রেন ধরার জন্য এক আত্মীয়ের মোটরবাইকের পিছনে চেপে আসছিলেন। সেই সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
|
লরি চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃতের পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে শান্তিপুর থানার ফুলিয়া বাজারের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের দুর্ঘটনাটি ঘটে।
|
মঙ্গলবার বিকেলে আধ ঘন্টার বৃষ্টিতেই ভেঙে পড়ে বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের উত্তর দিক লাগোয়া পাঁচিল। ভেঙে পড়া পাঁচিলের ঢিল ছোড়া দূরত্বে রয়েছে জেলাশাসকের সরকারি বাসভবন। জেলাশাসক পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সংশোধনাগারটি ১৯৪৯ সালে নির্মিত। জেল সুপার সুদীপ্ত চক্রবর্তী বলেন, “বৃষ্টির পরেই পাঁচিলের ১০০ মিটার মতো ভেঙে পড়েছে। সেই সময়ে কয়েদিদের জেলের ভেতরে ছিলেন। ফলে কোনও বন্দি পালানোর ঘটনা ঘটেনি। কোনও হতাহতের খবরও নেই।” |