|
|
|
|
আফ্রিদি বনাম বোর্ড বরফ গলছে |
সংবাদসংস্থা • করাচি |
আফ্রিদি নিয়ে পাক ক্রিকেটে গুমোট হাওয়া আচম্বিত ফুরফুরে হয়ে ওঠার আশা জাগল। নির্বাসিত এবং স্বেচ্ছা-অবসরপ্রাপ্ত শাহিদ আফ্রিদি এ দিন পাক বোর্ডের সর্বেসর্বা ইজাজ বাটের সঙ্গে দেখা করার পরেই এমনটা আশা করছে দেশের ক্রিকেটমহল। |
বোর্ডের একটি সূত্র জানাচ্ছেন, পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ জারদারির আগ্রহে (যিনি পিসিবি-র চিফ পেট্রন-ও) তাঁর এক ঘনিষ্ঠ সরকারি আমলার উদ্যোগে এ দিন বাট-আফ্রিদির বৈঠক হয়েছে। সেখানে নাকি সিদ্ধান্ত হয়েছে, আফ্রিদি বোর্ডের বিরুদ্ধে সিন্ধ হাইকোর্টে করা তাঁর মামলা তুলে নেবেন এবং পিসিবি-র শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সামনেও হাজিরা দেবেন। পরিবর্তে কমিটি আফ্রিদিকে সামান্য অর্থ জরিমানা করে রেহাই দেবে। এমনকী পাকিস্তানের আসন্ন ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য আফ্রিদির উপর থেকে দেশের হয়ে খেলার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নিতে পারে পাক বোর্ড।
সম্প্রতি বোর্ডের তীব্র সমালোচনা করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আফ্রিদি আচমকা অবসর নেওয়ার পরেও পিসিবি তাঁকে শো-কজ করে। আফ্রিদি পাল্টা আদালতে গিয়ে বোর্ডের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে তাঁর হাজিরা দেওয়ার উপর স্থগিতাদেশ নেন। বোর্ডের সূত্রটি আরও জানান, বাট নাকি আফ্রিদিকে কড়া শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর ছিলেন। কিন্তু সরকারের প্রভাবশালী কর্তারা তাঁকে বোঝাতে সমর্থ হন যে, আফ্রিদির প্রতি পিসিবি নমনীয়তা দেখালে তিনিও বোর্ডের আইন মেনে নিতে পারেন। কারণ এই বিতর্কে সবশেষে পাকিস্তান ক্রিকেটেরই গোটা বিশ্বে সম্মান নষ্ট হচ্ছে।
সে কারণেই হয়তো আফ্রিদি-বাট বৈঠকের আগেই এ দিন পিসিবি-র পক্ষে বলা হয়, আফ্রিদির উপর তাদের ব্যক্তিগত আক্রোশ নেই। তবে পাশাপাশি এটাও শোনা যাচ্ছিল, বোর্ড-নির্বাসিত আফ্রিদি করাচি দলেরও নেতৃত্ব হারাতে পারেন। আফ্রিদিকে পাকিস্তানের জাতীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলারও অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছিল পিসিবি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হয়তো সেই ছবিটাও বদলাবে। |
|
|
 |
|
|