|
|
|
|
আইএফএ-র লাভ সাড়ে ৭ লাখ, সাড়ে ১২ কোটি সিএবি-র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • অ্যান্টিগা |
কর্পোরেট কর্তারা আসার পরেও রাজ্য ফুটবল সংস্থা আইএফএ-র বাৎসরিক লাভ দাঁড়াল মাত্র সাড়ে সাত লাখ টাকা।
মহাজাতি সদনে ছিল আইএফএ-র বার্ষিক সাধারণ সভা। কলকাতার অধিকাংশ ক্লাবের প্রতিনিধিরা এলেন সভায়। মিনিট কুড়ির মধ্যে সভা শেষ। নামী ক্যাটারার সংস্থার প্যাকেট নিয়ে হাসতে হাসতে বেরিয়ে গেলেন অধিকাংশ ক্লাব কর্তা। সঙ্গে বাজেটের কাগজপত্র। আইএফএ-র সাড়ে সাত লাখ টাকা লাভ, ভেবেই স্বস্তির ঢেকুর তাঁদের। অথচ রাজ্যের সবচেয়ে ধনী ক্রীড়া সংস্থা সিএবি-র সর্বশেষ বাজেটে বার্ষিক লাভ ছিল ১২ কোটি ৫৬ লক্ষ। তার আগের বার ছিল ১৪ কোটি ৮৬ লক্ষ।
২০১১ সালে সাড়ে সাত লাখ টাকা কিছুই নয়, এটা বুঝেও বুঝছেন না আইএফএ-র অনেকে! তবে এই নিয়ে দুটো ভাগ কর্তারা। এক দল বলছেন, আইএফএ-তে এখন আগের তুলনায় আয় অনেক বেড়েছে এবং আনুষঙ্গিক খরচও। তাই বেশি লাভ হচ্ছে না। অন্য দলের কর্তা অবশ্য বলছেন, বাজেটে সাত লাখ টাকা আইএফএ এমন ভাবে আয়ের মধ্যে দেখিয়েছে, তাতে সামগ্রিক লাভ দাঁড়াবে ৫০ হাজারের মতো। এর চেয়ে অতীতে অনেক লাভ হয়েছে আইএফএ-র।
আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় স্বীকার করলেন, তিনি ক্ষমতায় আসার পরে গত চার বছরে এটাই সবচেয়ে বেশি লাভ। সাড়ে সাত লাখ টাকা কিছুই নয়, মেনেও তাঁর পাল্টা যুক্তি, “আইএফএ তো কোম্পানি নয়, একটা উন্নয়ন সংস্থা। গত কয়েক বছরে আইএফএ প্রাইজমানি অনেক বাড়িয়েছে। ক্লাবগুলোর অনেক আয় বেড়েছে। রেফারিদের টাকা বেড়েছে। সেটাও দেখতে হবে। ক্লাবকর্তারা তো খুশি হবেনই।” আইএফএ সচিবের দাবি, “এ বার ৪৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে আইএফএ-র অ্যাকাডেমির পিছনে। এই অঙ্কটাকেও ধরা উচিত। পরের বছর কিন্তু এই খরচ হবে না। আগামী দিনে অনেক বেশি লাভ হবে।”
সিএবি-র এক বড় কর্তা যা হিসেব দিলেন, তাতে সংস্থায় সাড়ে ১২ কোটি লাভের পরে ব্যাঙ্কে রয়েছে আনুমানিক ৪০ কোটি। তাও সেটা ইডেন ভেঙে নতুন ভাবে গড়ার পিছনে ৪০ কোটি খরচ করার পরে। এ বার লাভ বেড়েছে আইপিএলের জন্য। আইএফএ এত পিছিয়ে কেন? আইএফএ-র কার্যকরী সচিব প্রদীপ বসু সিএবিতেও পরিচিত মুখ। বললেন, “সিএবি বোর্ডের কাছে বিশাল টাকা পায়। আইপিএলের জন্য টাকা। টিভি স্বত্বের জন্য টাকা। আইএফএ-র সঙ্গে ওদের তুলনা করাটাই বোকা বোকা।” |
|
|
 |
|
|