|
|
|
|
কারও যেন আমার অভিজ্ঞতা না হয়: অমিত |
সংবাদসংস্থা • অ্যান্টিগা |
চলতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের রীতিমতো বিপাকে ফেলে দিয়েছেন তিনি। সেই অমিত মিশ্রই কি না কিছু দিন আগে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার হতাশায় ক্রিকেট খেলাই ছেড়ে দেবেন ভেবেছিলেন!
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চারটে এক দিনের ম্যাচে ন’টা উইকেট নিয়েছেন লেগ স্পিনার অমিত। গড় ১৭। এর পরেও অমিত জানাচ্ছেন, ক্রিকেটজীবনের প্রতিটা দিন আলাদা আলাদা করে নিচ্ছেন তিনি। “এক বার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটা টেস্টে সাত উইকেট নিয়েছিলাম। একটা হাফসেঞ্চুরিও করেছিলাম। তার পরের ম্যাচেই দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল আমাকে,” বলছেন অমিত। শুধু তা-ই নয়, ২০০৮-এ টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর প্রথম বছরেই পাঁচটা টেস্টে কুড়িটা উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের মতো দলের বিরুদ্ধে। তার পরপরই এক বছর জাতীয় দলের বাইরে কাটাতে হয়েছিল তাঁকে। এক দিনের ক্রিকেটেও ছবিটা এক। ২০০৩-এ ওয়ান ডে অভিষেকের পর মাত্র দুটো ম্যাচ খেলিয়ে ছ’বছরেরও বেশি দল থেকে বাদ দেওয়া হয় তাঁকে। এই সময়ে কাঁধের চোট নিয়েও ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রচুর উইকেট নেন অমিত। |
“নিজের ক্রিকেটজীবনে যে সব অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে, সে রকম যেন অন্য কোনও ক্রিকেটারের না হয়,” বলছেন ২৮ বছরের অমিত। সঙ্গে যোগ করছেন, “অনেক আগেই হয়তো অবসর নিয়ে ফেলতাম। যদি না আমার পরিবার এবং হরিয়ানা ক্রিকেট সংস্থার মুখ্য কর্তা রণবীর মহেন্দ্র আমার পাশে না দাঁড়াতেন।”
২০০৩ থেকে ২০০৯যে সময়টা জাতীয় দল থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন অমিত, সে সময়ই অনিল কুম্বলে প্রবল ভাবে প্রত্যাবর্তন করেন। হরভজন সিংহও তখন দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন। তা ছাড়া বিদেশের পিচে টেস্টে এমনিতে এক জন স্পিনারকেই দলে রাখা হয়। সবই জানতেন। তবুও ভারতের জার্সি ছেড়ে রাখার কষ্ট ভুলতে পারেননি অমিত। কী ভাবে কেটেছিল সেই অন্ধকার দিনগুলো? “সব হতাশা উগরে দিতাম বলটার উপর। শুধু বল করে যেতাম। ম্যাচে, নেটে, এবং অনেক সময় একা একা। লেগ স্পিন, ড্রিফটার, গুগলি, গতির হেরফের সব কিছু নিয়ে খাটতাম,” বলছেন অমিত। এগারো বছর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে নেওয়া প্রায় চারশো উইকেট যার হাতেগরম প্রমাণ।
আইপিএল নামক লাইফলাইন না পেলে হয়তো আরও অবহেলা অপেক্ষা করে ছিল অমিতের ভাগ্যে। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে ভাল বল করেও বিশ্বকাপ দলের জন্য তাঁর নাম ভাবা হয়নি। বরং তাঁর জায়গায় বেছে নেওয়া হয়েছিল পীযূষ চাওলাকে। এত কিছুর পরেও ক্যারিবিয়ান সফরে ভারতের সফলতম বোলার হিসেবে দেখা দিয়েছেন অমিত। সুনীল গাওস্কর তো বলেই দিচ্ছেন, ইংল্যান্ড সফরেও অমিতকে দলে রাখা উচিত। ভারতের বোলিং কোচ এরিক সিমন্সও বলছেন, “অমিত প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী বোলার। অত্যন্ত আগ্রাসী।” |
|
|
 |
|
|