|
|
|
|
মুনাফ তো এখন স্পিন বোলার, কটাক্ষ রবার্টসের |
খারাপ ব্যাটিংয়ের দায় নিজেও নিচ্ছেন রায়না |
সংবাদসংস্থা • অ্যান্টিগা |
চতুর্থ এক দিনের ম্যাচ ১০৩ রানে হেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সিরিজে ৫-০ ব্রাউনওয়াশ করার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হওয়ার জন্য নিজের ব্যাটসম্যানদের শট বাছাইকে প্রধানত দায়ী করছেন ভারত অধিনায়ক সুরেশ রায়না। নিজেকেও দোষীর তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন না। একই সঙ্গে চলতি সিরিজে ইউসুফ পাঠান এবং বদ্রিনাথের ধারাবাহিক ব্যর্থতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন রায়না।
“ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই সিরিজের সেরা ব্যাটিং এই ম্যাচেই করেছে ঠিক। কিন্তু পাশাপাশি আমরাও কুৎসিত ব্যাটিং করেছি এই ম্যাচেই। সত্যি বলতে কী আমাদের শট বাছাইয়ের কোনও মাথামুণ্ডু ছিল না। একটাও ভাল পার্টনারশিপ হয়নি গোটা ইনিংসে। রোহিত অনেকক্ষণ ক্রিজে ছিল বটে, কিন্তু আমি আর ইউসুফ আবার ওই সময়ই আউট হয়ে গেলাম। পঞ্চাশ ওভারে আড়াইশো রান তাড়া করতে গেলে অন্তত গোটা দুয়েক কমপক্ষে পঞ্চাশ রানের পার্টনারশিপ দরকার লাগেই,” বলেছেন রায়না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনভিজ্ঞ ক্যারিবিয়ান লেগ স্পিনার অ্যান্টনি মার্টিনকে গোড়া থেকেই ঠ্যাঙানোর পরিকল্পনা ভারতীয় ইনিংসের কাছে বুমেরাং হয়েছে বলে মনে করছেন অধিনায়ক। ‘‘এই ম্যাচে আমরা ওদের লেগ স্পিনারকে আক্রমণ করব বলে ঠিক করেছিলাম। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে পরের পর উইকেট চলে গেল আমাদের,” বলেন রায়না। ভারত শেষ ৯ উইকেট ১০৫ রানে হারিয়ে ম্যাচ ১১ ওভার বাকি থাকতে অলআউট হয়। ম্যাচের সেরা মার্টিন (৪-৩৬) মাঝের ওভারে বিরাট কোহলি এবং রায়নার গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তোলেন। |
 |
মার্টিন আবার নিজের সাফল্যের দিনে রাহুল দ্রাবিড়কে স্মরণ করেছেন, তাঁকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হওয়ার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করার জন্য। “দু’হাজার ছয় সিরিজে ভারতের বিরুদ্ধে একটা প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেলেছিলাম। যে ম্যাচে আমার প্রথম বলটা দ্রাবিড় বাউন্ডারি মারার পর পরের বলটাই একই ভাবে মারতে গিয়ে আউট হয়েছিল। আমি সে দিন নিজেকে মনে মনে বলেছিলাম, ওহে অ্যান্টনি, এই দ্রাবিড়কে আমি ক্রিকেটবিশ্বের সব তাবড় বোলারকে পেটাতে দেখেছি টিভিতে। তাকে আমি যদি দ্বিতীয় বলেই আউট করে দিতে পারি, তা হলে আমি ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলতে পারি।”
ও দিকে রায়না আরও বলেছেন, “সাবাইনা পার্কে বৃহস্পতিবার শেষ এক দিনের ম্যাচে আমাদের দলের কয়েক জনের ব্যাটিং কেমন হয় সেটা দেখতে হবে। তার কয়েক দিনের মধ্যে ওখানেই প্রথম টেস্ট রয়েছে। সে জন্য আমাদের পরের ম্যাচে নিজেদের সেরা ক্ষমতা অনুযায়ী খেলতে হবে। ভাল পার্টনারশিপ গড়ার জন্য আমাদের ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষ বোলারদের ভাল লাইন-লেংথকে সম্মান দিতেই হবে।”
গতকাল ক্যারিবিয়ান পেসারদের প্রচুর শর্টপিচ করা প্রসঙ্গে ভারতীয় দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত বোলিং কোচ এরিক সিমন্স মনে করেন, ভারতীয় ব্যাটিং সে কারণে ভেঙে পড়েনি। “বরং কোনও দল সিরিজ হেরে যাওয়ার পর অনেক খোলা মনে মাঠে নামে বলে ভাল খেলেটেলে দেয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্ষেত্রে চতুর্থ ম্যাচে সেটাই হয়েছে,” বলেছেন তিনি। অন্য দিকে আবার মুনাফ পটেলের পেস বোলিং সম্পর্কে প্রাক্তন কিংবদন্তি ক্যারিবিয়ান ফাস্ট বোলার অ্যান্ডি রবার্টস বলেছেন, “মুনাফ তো এখন স্পিন বোলিং করছে। চার বছর আগে মুনাফ যখন ক্যারিবিয়ান সফরে এসেছিল তখন ওর বলে তবু গতি ছিল। এখনকার কোচেরা পেসারদের লাইন-লেংথ বোলার বানিয়ে দেয়। নিজের স্বাভাবিক বোলিং করতে দেওয়ার বদলে। তার চেয়ে ওরা বরং কোচ ছাড়া ভাল বল করে।” বর্তমান ক্রিকেটবিশ্বের কোনও পেসারকেই পছন্দ নয় রবার্টসের। “শন টেট ছোড়ে। ডেল স্টেইন পর্যন্ত মাঝেসাঝে ছোড়ে। আর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পেসারদের নিয়ে তো যত কম বলা যায় ততই ভাল। কেমার (রোচ), জেরোম (টেলর), ফিডেলরা (এডওয়ার্ডস) ব্যাটসম্যানের দিকে জোরে দৌড়তেই পারে না! জোরে বল করবে কী?”
|
গেইলের ফেরার সম্ভাবনা বাড়ছে |
সংবাদসংস্থা • জামাইকা |
ভারতের বিরুদ্ধে ক্রিস গেইলের খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হল। মঙ্গলবারই ভারতীয় সময় গভীর রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন গেইল। ক্রিকেটমহলের ধারণা তার পরেই দু’পক্ষের ঝামেলা মিটে যাবে। ২০ জুন সাবাইনা পার্কে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টেস্ট শুরু হচ্ছে। তার আগে বৃহস্পতিবার দু’দেশের শেষ ওয়ান ডে ম্যাচ। টেস্ট ম্যাচে তো বটেই, এমনকী শেষ ওয়ান ডে-তেই দেখা যেতে পারে ওপেনার গেইলকে। সদ্যসমাপ্ত আইপিএলে যিনি দুর্ধর্ষ ফর্মে ছিলেন। কিন্তু একটি সাক্ষাৎকারে ক্যারিবিয়ান বোর্ডের তীব্র সমালোচনা করায় গেইলকে শাস্তিমূলক ভাবে প্রথম চারটি ওয়ান ডে-তে রাখেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাঁর সঙ্গে ক্যারিবিয়ান বোর্ডের চুক্তিও নেই এই মুহূর্তে। |
|
|
 |
|
|