|
|
|
| |
| ময়লা ফেলায় বাধা |
| নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
দূষণ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে বর্জ্য ফেলতে বাধা দিচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া পাঙ্গা এলাকার ফকিরপাড়ায় পুরসভার গাড়ি আবর্জনা ফেলতে গেলে বাসিন্দারা বাধা দেন। এলাকায় ঢুকতে না দেওয়ায় আবর্জনার গাড়ি ফিরে যায়। তাতে শহরের বর্জ্য কোথায় ফেলা হবে তা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জলপাইগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভা শহরের বর্জ্য এখানে ফেলায় তা থেকে গোটা এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে। অবৈজ্ঞানিক ভাবে ওই কাজ করায় আশঙ্কা আরও বেড়েছে। আগেও সমস্যার কথা প্রশাসনে জানানো হয়েছিল। সে সময় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও কাজ না হওয়ায় এ দিন তারা আবর্জনার গাড়ি ঢুকতে বাধা দিয়েছেন।
জলপাইগুড়ি পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির জন্য প্রশাসন বিকল্প জায়গা দিলেও পরে তা ব্যবহার করতে নিষেধ করে। সে ক্ষেত্রে পাঙ্গা এলাকায় এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ময়লা ফেলা ছাড়া মুহূর্তে অন্য কোনও উপায় নেই তাদের। এ দিন বাসিন্দারা বাধা দিলে সমস্যা দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন সমগ্রহ করা আবর্জনা কোথায় ফেলা হবে তা চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে পুর কর্তৃপক্ষের। জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “প্রশাসনকে সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তারাই নেবেন।” শহর লাগোয়া ওই পাঙ্গা এলাকায় বর্তমানে শহরের আবর্জনা ফেলা হয়। মাত্র সাড়ে ৪ একরের মতো জায়গায় সারা শহরের আবর্জনা ফেলতে এমনিতেই পুরসভাকে নাজেহাল হতে হয়। জলপাইগুড়ি শহরে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প চালু থাকলে জায়গার অভাবে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জৈব এবং অজৈব পদার্থ আলাদাভাবে ফেলা হয় না। সব ধরনের আবর্জনা একসঙ্গে ফেলা হয়। স্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্য জমি চেয়ে পুরসভার তরফে প্রশাসনকে একাধিক বার বলা হয়েছে। গত বছর ১৮ অগস্ট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মণ্ডলঘাট এলাকায় প্রায় সাড়ে ২৬ একর জমি পুরসভাকে ব্যবহার করতে বলা হয়। পুর কর্তৃপক্ষ জমি বাবদ টাকা দিতেও রাজি হয়। তার পরেই ডিসেম্বর মাসে প্রশাসনের তরফে চিঠি পাঠিয়ে পুরসভাকে জানিয়ে দেওয়া হয় ওই জমি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই পাঙ্গার ডাম্পিং গ্রাউন্ড উপচে পড়লেও সেখানে সেখানে ময়লা ফেলা ছাড়া উপায় নেই কর্তৃপক্ষের।
অন্য দিকে অবৈজ্ঞানিকভাবে ময়লা ফেলার কারণে পাঙ্গা এলাকা জুড়ে দূষণ ছড়াচ্ছে। পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ড ওই এলাকা থেকে অন্যত্র সরানোর দাবিতে পাঙ্গা দূষণ বিরোধী কমিটিও তৈরি হয়েছে। তাদের দাবি, গত বছর মে মাসে তারা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে ৬ মাসের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কমিটির আহ্বায়ক সুখদেব সরকার বলেন, “প্রশাসন আমাদের কথা দিয়ে রাখেনি। এলাকায় যে হারে দূষণ ছড়াচ্ছে তাতে আমরা আতঙ্কিত। পুরসভার ময়লা ফেলার গাড়িকে আর এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না।” |
|
|
|
|
|
