|
|
|
|
চোলাই-বোঝাই সাইকেল নিয়ে দফতরে বিডিও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাগনান |
চোলাই মদের বিক্রেতাকে হাতেনাতে ধরতে না পারলেও তার সাইকেল এবং দুই হাতলে ঝোলানো চোলাইয়ের বোতল-পাউচ বাজেয়াপ্ত করলেন বিডিও। ওই সাইকেল চালিয়েই পৌঁছলেন নিজের দফতরে। সোমবার সন্ধ্যায় যে দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন বাগনান শহরবাসী।
কিন্তু পুলিশের দ্বারস্থ হননি ওই সরকারি আধিকারিক। কেন?
মঙ্গলবার সকালে চোলাইয়ের বোতল ভেঙে দিয়ে বাগনান ১ বিডিও অনিন্দ্য মণ্ডল বললেন, “আমি ইচ্ছে করেই ওই চোলাই মদ বিক্রেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাইনি। জানালে তাতে সে হয়তো গ্রেফতার হত। কিন্তু পরে জামিন পেয়ে একই কাজ করত।” বিডিও আরও জানান, আমি ওই বিক্রেতার সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছি। আমি চাই, সে আমার সঙ্গে দেখা করুক। এই পেশা ছেড়ে দিয়ে যাতে সে অন্য কাজ করে, সে জন্য আমি তাকে বোঝাব। প্রয়োজনে ব্যবসা শুরু করার টাকাও দেব।”
বাগনান শহর ও সন্নিহিত এলাকায় রমরমিয়ে চলছে চোলাই মদের ব্যবসা। বাগনান রেললাইনের ধারের ঝুপড়ি, মানকুড় মোড়, এমনকী বাগনান স্টেশন রোডের উপরেও বিক্রি হয় চোলাই। এ ছাড়া, বিনা লাইসেন্সে দেশি মদের কারবারও প্রকাশ্যে চলে বলে অভিযোগ। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকেই এ জন্য দায়ী করেছেন সাধারণ মানুষ। অভিযোগ অস্বীকার করে বাগনান থানার পুলিশ কর্তারা দাবি করেছেন, চোলাই মদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান হয়।
সোমবার রাত ৯টা নাগাদ অনিন্দ্যবাবু স্টেশন রোডের (উত্তর) দিকে একটি গলির মুখে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে খবর দিয়েছিলেন, সেখানে এক চোলাই বিক্রেতা ব্যবসা চালায়। বিডিও জানান, ভোটের আগে ওই গলির মুখে চোলাইয়ের দোকানে অভিযান চলেছিল। দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে দোকান খুলতে না পারলেও সাইকেলে চলছিল ব্যবসা। সম্ভবত, বিডিওকে দেখেই সাইকেল ফেলে পিঠটান দেয় ওই বিক্রেতা। সাইকেল নিয়ে দফতরে ফেরেন অনিন্দ্যবাবু। তিনি বলেন, “ওই মদ বিক্রেতা এলে তাঁকে সাইকেলটি ফেরত দেব। ওই সাইকেল নিয়ে সে ঘুরে ঘুরে সব্জির ব্যবসাও করতে পারে।” |
|
|
 |
|
|