|
|
|
|
শ্রীরামপুর মহকুমা আদালত |
কর্মবিরতির ডাক দিলেন আইনজীবীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর |
এক বিচারককে বদলির দাবিতে মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করলেন শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতের আইনজীবীরা। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত ওই কর্মবিরতি চলবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। আন্দোলনের জেরে এ দিন আদালতের ১১টি বিচারকক্ষ-সহ অন্যান্য কাজকর্ম কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। আগামী কয়েক দিনেও এই পরিস্থিতি চললে সাধারণ মানুষ যে চরম অসুবিধায় পড়বেন, তা বলাই বাহুল্য। আন্দোলনকারীরা অবশ্য সে কথা মানতে চাননি। উল্টে, অবিলম্বে দাবি মানা না হলে আরও বড় আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দ্বিতীয় দেওয়ানি আদালত (জুনিয়র ডিভিশন)-এর বিচারকের ‘দুর্ব্যবহার’-এর জন্য সেখানকার কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। গত প্রায় দু’বছর ধরে ওই বিচারককে বদলির দাবিতে সরব আইনজীবীরা। গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে তাঁরা আন্দোলনে নামেন। ওই মাসের ১০ তারিখ থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বয়কট করেন তাঁরা। সেই বয়কট এখনও চলছে। গত ৩১ মে আদালত জুড়েই প্রতীকী বয়কট করেন আইনজীবারা। এ সবের মাঝে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেও দরবার করেছেন আইনজীবীরা। কিন্তু কোনও কিছুতেই দাবি পূরণ না হওয়ায় সামগ্রিক ভাবে আদালত বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ দিন আদালত চত্ত্বরে মিছিল করেন আন্দোলনকারীরা। হাত-মাইক নিয়ে বিচারকক্ষের সামনে প্রচার চালান। |
 |
প্রবীন আইনজীবী কমলেশ ভট্টাচার্য বলেন, “সেকেন্ড সিভিল জজ (জুনিয়র ডিভিশন) আসার কিছু দিন পর থেকেই তাঁর আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। অধিকাংশ আইনজীবীর সঙ্গেই তিনি রূঢ় আচরণ করছিলেন। বাধ্য হয়েই আমরা আন্দোলনে নেমেছি। অবিলম্বে ওই বিচারককে বদলির দাবি জানাচ্ছি আমরা।” সাধারণ মানুষের অসুবিধার প্রসঙ্গে কমলেশবাবুর যুক্তি, “মানুষের ক্ষতি হচ্ছে বলেই আমরা আন্দোলন করছি। বৃহত্তর স্বার্থেই আমরা পথে নেমেছি। তাই এতে তাঁদের আদৌ কোনও সমস্যা হবে না। আমাদের দাবি পূরণ হলে আসলে তা সাধারণ মানুষেরই জয় হবে।” আইনজীবী সনৎকুমার চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “আমি সিভিল কোর্টে দীর্ঘদিন প্র্যাকটিস করছি। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, সংশ্লিষ্ট বিচারকের জন্য মানুষের হয়রানি হচ্ছিল। আমাদের সম্মানহানি হচ্ছিল। এ জিনিস মেনে নেওয়া যায় না।” |
|
|
 |
|
|