প্রবন্ধ ১: যা দেখি, যা শুনি, একা একা কথা বলি
শান্তিনিকেতনে নৌকাডুবি
আর ঝড়ের রাত্রে বুলবুলি
শান্তিনিকেতনের বাড়িটির সামনের বারান্দাটাই আমার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা। যখনই আসি, এখানেই বেতের চেয়ারে বসে বেশির ভাগ সময় কাটাই। এমনকী এই চরম গরমেও। সামনে খানিকটা বাগান, ডান পাশে একটা পুকুর, সেটা নানা রকম গাছপালা, তার মধ্যে তিনটে বড় বড় তালগাছই প্রধান দ্রষ্টব্য। সামনের সরু রাস্তা দিয়ে সাইকেলই যায় বেশি, ইদানীং দু’-এক বছর দেখছি মোটর বাইকের সংখ্যা বেড়েছে, গাড়ি কদাচিৎ। অধিকাংশ সময় নিস্তব্ধতাই এখানকার রাজা। শব্দ শূন্যতায় কান জুড়োবার জন্যই তো প্রধানত এখানে আসা।
আজকাল প্রকৃতি দেখার প্রতিবন্ধক অনেক তার, নানা রকম তার। এ বাড়ির ছাদের উপর দিয়ে একটা তার বেশ নিচু হয়ে চলে গেছে রাস্তার দিকে। ওটার নাম কেব্ল। প্রথম দিন এসে একটু ক্ষণ বারান্দায় বসবার পরেই দেখি সেই তারের ওপর বসে আছে একটা বুলবুলি পাখি। একটু চমকে যাই। বুলবুলি আমার প্রিয় পাখি। কিন্তু এ পাখি তো মানুষের এত কাছাকাছি আসে না! শান্তিনিকেতনে কাক প্রায় নেই। শালিক আর চড়ুই মানুষের কাছাকাছি ঘুরঘুর করে, বুলবুলি আর ঘুঘুরা দূরত্ব বজায় রাখে। এই বুলবুলিটা এক-এক বার উড়ে যাচ্ছে, এক মিনিট দু’মিনিট বাদে আবার এসে বসছে, তাকিয়ে থাকছে আমার দিকে। ব্যাপারটা বেশ আশ্চর্যের না? আমরা যেমন পাখি দেখি, এই পাখিটাও কি মানুষ দেখছে? মানুষদের ব্যবহার, রকম-সকম স্টাডি করছে?
সকাল থেকে বিকেল হতেই বুঝতে পারলাম পাখিটার ও-রকম ব্যবহারের আসল কারণ। বারান্দার বাঁ পাশে একটা লতানে গাছ উঠে গেছে ছাদ পর্যন্ত। খুব হালকা নীল রঙের পাতলা পাপড়ির ফুল হয়। গাছটার নাম জানি না। স্থানীয় কেউ কেউ বলে পেঁয়াজ-রসুন গাছ। সত্যিই সেই ফুলে একটু একটু পেঁয়াজ-পেঁয়াজ গন্ধ। এক তলা ছাড়িয়ে ওপরে ওঠার জায়গায় গাছটা বেশ ঝুপড়ি হয়ে গেছে, সেইখানে বাসা বেঁধেছে বুলবুলিটা। অর্থাৎ, ও যে প্রায় সর্বক্ষণ এখানে বসে থাকছে, তা আসলে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পাহারা দিচ্ছে ওর বাসা। মানুষের বাড়ির ঘুলঘুলিতে চড়ুই পাখিরাই সাধারণত বাসা বাঁধত, এ কালের বাড়িতে ঘুলঘুলি থাকেই না, চড়ুই পাখির সংখ্যা হু-হু করে কমে আসছে। শালিক পাখির বাসাও দেখেছি। কিন্তু দালান-কোঠায় বুলবুলির বাসা? এর একটাই কারণ থাকতে পারে, এ বাড়ি তো দিনের পর দিন ফাঁকা পড়ে থাকে, এ বারান্দায় কেউ বসে না। আমরাই তো এ বার এলাম দু’মাস বাদে। বুলবুলিটা সেই জন্যই এই নির্জন বারান্দার কোণটা নিরাপদ মনে করেছে। ছোট ছোট পাখিদের বাসার সমস্যা গরিব মানুষদের চেয়ে কম নয়। গোপন ঝোপ-ঝাড় খুঁজতে হয়, কারণ প্রকাশ্যে বড় গাছের ওপর বাসা বাঁধলে, বড় বড় পাখিরা, অর্থাৎ কাক-চিল ওদের ডিম বা ছানা ঠুকরে খেয়ে ফেলে। মানুষকে তো আরও বেশি ভয়। পাখিটা বোধহয় ভাবছে, এরা আবার কোথা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসল!
বুলবুলিটা কি আমাকে চিনতে পেরেছে? এই পাখিটার আর কতই বা বয়েস। কিন্তু পূর্বপুরুষদের অনেক স্মৃতি জিন-বাহিত হয়ে নাকি চলে আসে, যাকে বলে রেস মেমরি! বহুকাল আগে আমি একটা বুলবুলি পাখির প্রতি অত্যন্ত নৃশংস অন্যায় করেছিলাম। তখন আমার বয়েস এগারো-বারো বছর, পূর্ব বাংলার এক গ্রামে ইজের পরে খালি গায়ে ঘুরে বেড়াতাম মাঠে-ঘাটে। এক দুপুরে একটা বেত গাছের ঝোপে হঠাৎ আবিষ্কার করেছিলাম একটা বুলবুলির বাসা, তাতে দুটো ডিম। টপ করে তুলে নিয়েছিলাম ডিম দুটো। একটা বুলবুলি কোথা থেকে এসে আমার মাথার ওপর ঘুরে ঘুরে উড়ছিল, আমি ধরার চেষ্টা করলাম সেটাকেও। ওই বয়েসের ছেলেরা সাধারণত নিষ্ঠুর প্রকৃতির হয়। তারা ফড়িং-এর পাখা ছিঁড়ে ফেলে, বেড়ালের ল্যাজে তারাবাজি বেঁধে দেয়, খেলার সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে খিমচে মারে। যৌন চেতনা ঠিক মতো জাগার আগে মানুষের মনে স্নেহ, দয়া, মায়া, আরও অনেক সূক্ষ্ম অনুভূতিও জাগে না। মেয়েদের ওই চেতনা অনেকটা আগে-আগেই জাগে বলে ছেলেদের তুলনায় তারা অনেক নরম-সরম হয়।
শান্ত, গভীর। ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘নৌকাডুবি’ ছবির একটি দৃশ্য।
অর্ধেকটা শতাব্দী কেটে গেছে, এখনও সেই দু’টি বুলবুলির ডিম নষ্ট করার অপরাধ বোধ স্পষ্ট আমার মনে দগদগ করে। জীবন আমাকে মাঝে মাঝে যে শাস্তি দিয়েছে, তা বোধহয় এই পাপেই। এখন আমি এই বুলবুলির বাসা রক্ষা করার জন্য বদ্ধপরিকর। কিন্তু আমি যে ওর বাসা পাহারা দেবার জন্যই বসে আছি, তা তো ও বুঝবে না। ও আমার দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে তারে বসে।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধে নেমে আসে। এই সময়কার বাতাস যেন মায়ের আদরের মতন। মায়ের আদর কেমন, তা কি এই বয়েসে আমার মনে আছে নাকি? এ হল কবি-প্রসিদ্ধি, উপমায় বেশ চলে। অন্ধকার একটু গাঢ় হতেই জোনাকি উড়তে শুরু করে, এবং দু-একটা আমাকে জড় পদার্থ মনে করে গা বেয়েও উঠতে থাকে। এই একটা আশ্চর্য পতঙ্গ, প্রকৃতি একমাত্র একেই একটুখানি আলো দিয়েছে, কিন্তু তাতে ওর কী লাভ? আলোটা ওর পেছনে! তাতে অন্ধকারে ও তো কিছুই দেখতে পাবে না, বরং টিকটিকি বা অন্য পতঙ্গভুকরা ওকে খেয়ে ফেলতে পারবে। বেচারাদের আত্মরক্ষার কোনও উপায় দেওয়া হয়নি, এ কী ভুল প্রকৃতির! একটা গান মনে পড়ল ‘কী সুখে ঐ ডানা দু’টি মেলেছ, ও জোনাকি!’ যিনি এই গান লিখেছেন, তিনি নিশ্চয়ই জোনাকি দেখেননি। এর জীবন তো সুখের নয়ই, তা ছাড়া ওইটুকু প্রাণীর অতি ফিনফিনে দু’টি পাখনাকে ডানা বলা যায়? তার পরই মনে হল, আমি কি পাগল নাকি? এ গান তো রবীন্দ্রনাথের, তিনি জোনাকি দেখেননি! তাঁর শান্তিনিকেতনে বসেই তো আমি দেখছি। অত বড় কবি, তিনি ইচ্ছে করলে মাটির মূর্তিতেও ডানা বসিয়ে আকাশে উড়িয়ে দিতে পারেন!...বারো বছর বয়েস হলে আমি নিশ্চয়ই আমার গা-বেয়ে ওঠা জোনাকিটাকে টিপে ধরতাম। এখন আমি নিথর মূর্তির মতন বসে থাকি, যাতে ওর কোনও অসুবিধে না হয়।
সকালবেলা স্বাতী পাখিদের বিস্কুট খাওয়ায়। হাঁসেরাই দল বেঁধে এসে কাড়াকাড়ি করে সব খেয়ে নেয়, (হাঁসেরা নিজেদের মধ্যে কাড়াকাড়ি করে বটে, কিন্তু কখনও মারামারি করে না) কয়েকটা শালিকও চতুর ভাবে পাশ থেকে দু-এক টুকরো সরিয়ে নেয়। কিন্তু তারের ওপর বসে থাকা বুলবুলিটির এ ব্যাপারে কোনও আগ্রহ নেই। বাৎসল্যের টান সম্ভবত তার ক্ষুধা-তৃষ্ণাও ভুলিয়ে দিয়েছে।
দু’দিন ধরে গরম একেবারে সহ্যের সীমানা ছাড়িয়ে গেছে। একটু বেলা বাড়লেই বাতাসের উষ্ণ হল্কা ঝাপটা মারে চোখে-মুখে। বারান্দায় আর বসা যায় না। স্বাতী বলল, একটা সিনেমা দেখতে গেলে হয় না? এখানে ‘নৌকাডুবি’ চলছে। প্রস্তাবটিতে প্রথমে উৎসাহ বোধ করি না, হলে গিয়ে সিনেমা দেখার অভ্যেস আমার চলেই গেছে প্রায়, থিয়েটার দেখতে যাই, কারণ থিয়েটার বাড়িতে বসে দেখা যায় না, সিনেমা দেখা যেতে পারে। তা ছাড়া ‘নৌকাডুবি’... রবীন্দ্রনাথের জন্মের দেড়শো বছরের উৎসব চলছে। এখন কোনও বেসুরো কথা বলা উচিত নয়, তবে এটুকু তো বলা যেতেই পারে যে ‘নৌকাডুবি’ রবীন্দ্রসাহিত্যে আমার প্রিয় রচনাগুলির অন্যতম নয়। তার পরেই মনে হল, সিনেমা হল তো বাতানুকূল, এই হাঁসফাঁস-করা গরমে দু’ঘণ্টা তো অন্তত ঠান্ডা-ঠান্ডা জায়গায় কাটানো যাবে। ঋতুপর্ণ ঘোষের ছবি একেবারে অখাদ্য হওয়ার কথা নয়। যদি তেমন হয়ও, তা হলে চোখ বুজে ঘুমিয়ে কাটানো যেতে পারে আরামে।
ফিল্মটি শুরু হওয়ার পরই দারুণ চমক লাগল। এর শান্ত, গভীর রস মনকে এমন ভাবে স্পর্শ করল, তা দু’চক্ষু জুড়ে রইল আগ্রহ ও প্রত্যাশা। কাহিনি এগিয়ে আনা হয়েছে বেশ কিছু বছর। এ ছবিতে রবীন্দ্রনাথও একটি অপ্রত্যক্ষ চরিত্র, নায়িকা তাকে বিয়ে করতে চেয়েছে। কাহিনির স্রষ্টাকে নিয়ে এ ধরনের খেলায় যে একটা স্নিগ্ধ কৌতুক থাকে, তা আমার খুব পছন্দ। ক্রমশ এর চিত্রভাষার সংযম আর গল্পের বুনন মুগ্ধ করে রাখে, কোথায় ঘুম আর কোথায় ঠান্ডার আরাম, সে সব মনেই পড়ল না। গানগুলি একটানা পরিবেশনের বদলে সিচুয়েশন অনুযায়ী কেটে-কেটে ব্যবহার করা সুপ্রযুক্ত হয়েছে। পিরিয়ড পিস রচনায় ঋতুপর্ণের কৃতিত্ব আগেও প্রমাণিত ‘চোখের বালি’তে। আমার মনে হল, ফিল্ম হিসেবে নৌকাডুবি অবশ্যই ঋতুপর্ণের শ্রেষ্ঠ দু’-তিনটি ছবির অন্যতম। কাহিনিটি সম্পর্কে অনেকের অন্য মত থাকতে পারে, কিন্তু সেটা ফিল্মের বিচার নয়। ভাগ্যিস এই গরমে শান্তিনিকেতনে এসেছিলাম, তাই বড় পর্দায় এমন একটি চমৎকার ছবি দেখার সৌভাগ্য হল।
ছবিটি সম্পর্কে একটি হালকা অভিযোগ, সকলেরই অভিনয় উচ্চাঙ্গের হলেও কয়েকটি চরিত্রের কথা বলার ভঙ্গি ঋতুপর্ণের মতন। একটা চরিত্রে তার কণ্ঠস্বর ডাব তা বোঝাই যায়। কিন্তু অন্য কেউ কেউও যেন ঋতুপর্ণ যেমন ভাবে শিখিয়েছে, সেই ভাবেই সংলাপগুলি বলেছে। ঋতুপর্ণ, এর পর থেকে প্রত্যেককে আলাদা আলাদা ভাবে নির্দেশ দাও। আর একটি কথাও মনে পড়ল, সেটা ব্যক্তিগত। ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় এ ছবিতে নায়িকার বাবার ভূমিকায় চমৎকার অভিনয় করেছে। অনেক দিন আগে, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ফিল্মে সে ছিল এক রাগী, জেদি যুবক। এখন সে বৃদ্ধের ভূমিকায়, আর ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’র লেখকও এক সময় ছিল এক বাউন্ডুলে তরুণ, এখন সে এক-পা এক-পা করে সিঁড়ি দিয়ে ওঠে।
চিত্রনাট্যের বাঁধুনি যদি ঠিক থাকে, তা হলে প্রত্যেকের অভিনয়ই উঁচু তারে বাঁধা থাকে। এ ছবি দেখতে দেখতে সেটা আবার বোঝা গেল।
নৌকাডুবি উপন্যাসের প্রধান নায়ক হচ্ছে ঝড়। সিনেমা হল থেকে বাইরে বেরিয়েই দেখি ঝড় উঠেছে। ছবিটি দেখে ভাল লাগার রেশ কাটার আগেই এই ঝড় দেখে একটা আশঙ্কায় আমার বুক কেঁপে উঠল। এত গরমের পর ঝড় তো ভালই, তার পর বৃষ্টি হোক বা না-হোক, বাতাস বেশ কোমল হয় কিছুক্ষণ অন্তত। কিন্তু আমার মনে হল, নৌকাডুবির চরিত্র চারটির মতন যদি বুলবুলি পাখিটার সংসারও তছনছ হয়ে যায়? এর আগের একটি ঝড়ে ওই বাগানের দু’টি গাছ উপড়ে পড়েছে, কয়েকটা ফুলের চারা বিনষ্ট হয়েছে। গত কালই জোর হাওয়া ওঠার সময় বুলবুলিটাকে ছটফট করতে দেখেছি। কত রকম ঝঞ্ঝাটের মধ্যে এদের সংসার চালাতে হয়! ঝড় ক্রমশই প্রবল হচ্ছে, ধুলোয়-ধুলোয় চতুর্দিক প্রায়ান্ধকার। আমার সত্যি ভয় হতে লাগল। বাড়ি ফেরার আগেই যদি ঝড়ের তাণ্ডবে নানান অঘটন ঘটে যায়।
ইচ্ছে হল প্রার্থনা জানাতে। দুর ছাই, কার কাছে প্রার্থনা জানাব? ভগবান-টগবান তো বিসর্জন দিয়ে ফেলেছি প্রথম যৌবনেই। দেব-দেবীরাও সব সুন্দর পুতুল। তা হলে? প্রকৃতির কাছে প্রার্থনা জানাব ঝড় থামাবার জন্য? আমি যদি প্রকৃতির কাছে প্রার্থনা জানাতে শুরু করি, তা হলে প্রমাণ হয়ে যাবে যে আমার মগজও তরল হতে শুরু করেছে। আমি বুলবুলিটাকেই উদ্দেশ্য করে মনে মনে বলতে লাগলাম, বেঁচে থাকো বুলবুলি, বেঁচে থাকো। বেঁচে থাকো, বেঁচে থাকো। তখনও সমস্ত আকাশ বিদ্যুৎ চমকে ফালা-ফালা করার পর কোথাও প্রচণ্ড শব্দে বাজ পড়ল।
জ্যৈষ্ঠ মাসের ঝড় এক জায়গায় বেশিক্ষণ থাকে না। আমরা বাড়ি পৌঁছোবার একটু আগেই বাতাস শান্ত হয়ে টিপি-টিপি বৃষ্টি নামল। না, ক্ষতি হয়নি, বারান্দার পাশে লতানে গাছের ঝোপে বুলবুলির বাসাটা ঠিকঠাক আছে। জায়গাটা নির্বাচনের কৃতিত্ব আছে পাখিটার। ওখানে ঝড়ের ঝাপ্টা বেশি লাগে না, তা ঠিক। তবু, আমারই প্রার্থনার জন্য ওর সংসার অক্ষুণ্ণ রইল, এই ভেবে আমি কি মনে মনে আত্মশ্লাঘা করতে পারি না?

একটি বিরাট প্রশ্নের আজও উত্তর মেলেনি। আমি নিজে তিরিশ বছর ধরে নারীর অন্তরাত্মা নিয়ে গবেষণা করেও যার উত্তর খুঁজে পাইনি, সেটি হচ্ছে ‘‘একটি নারী কী চায়?’’
সিগমুন্ড ফ্রয়েড
Previous Item Editorial Next Item



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.