লক্ষ্য মন্ত্রিত্ব লাভ
পূর্ণিয়ায় প্রার্থী দিলেন না লালুপ্রসাদ-রামবিলাস
হাইকমান্ডকে খুশি করতে লালু-রামবিলাসের নয়া হাতিয়ার পূর্ণিয়ার উপ-নির্বাচন। আসন্ন এই নির্বাচনে আরজেডি এবং লোকজনশক্তি পার্টির জোট প্রার্থী না দেওয়ায় এমন জল্পনাই শুরু হয়েছে বিহারের রাজনৈতিক মহলে।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবর-নভেম্বরে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের সময় পূর্ণিয়ায় প্রার্থী দিয়েছিল রামবিলাস পাসোয়ানের লোকজনশক্তি পার্টি। এ ছাড়াও প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপি। চার বড় দলের এই লড়াইয়ে চতুর্থ স্থান পেয়েছিল এলজেপি। বিজেপি নেতা রাজকিশোর কেশরী পূর্ণিয়া থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান পেয়েছিলেন কংগ্রেসের রামচরিত্র যাদব এবং সিপিএমের অমিত সরকার।
এর পরগত ৪ জানুয়ারি যৌন নিগ্রহের অভিযোগ তুলে বিধায়ক রাজকিশোরের উপরে হামলা চালান স্থানীয় এক স্কুলের অধ্যক্ষা রূপম পাঠক। ওই হামলায় মৃত্যু হয় বিধায়ক। রাজকিশোরের মৃত্যুর কারণেই আগামী ২৫ জুন পূর্ণিয়ায় উপ-নির্বাচন হতে চলেছে। বিজেপি ইতিমধ্যেই প্রয়াত রাজকিশোরের স্ত্রী কিরণ কেশরীকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে। লড়ছেন সিপিএমের প্রয়াত ডাকসাইটে নেতা অজিত সরকারের ছেলে অমিত সরকার এবং কংগ্রেস নেতা রামচরিত্র যাদবও। কিন্তু এ বার আর পূর্ণিয়া উপ-নির্বাচনে প্রার্থীই দেয়নি আরজেডি ও এলজেপি।
কারণটা কী?
প্রকাশ্যে আরজেডি নেতা আব্দুল বারি সিদ্দিকির দাবি, “ওটা এমনিতে লোকজনশক্তি পার্টির আসন। তাই আমাদের প্রার্থী দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তবে জোটগত ভাবে আমরা ধর্মনিরপেক্ষ ভোট ভাগ হওয়ার বিপক্ষে। পূর্ণিয়ায় ধর্মনিরপেক্ষ ভোট যাতে ভাগাভাগি না হয়, তা নিশ্চিত করতে ওখানে প্রার্থী দেওয়া হয়নি।” একই যুক্তি লোকজনশক্তি পার্টির নেতাদের মুখেও। তবে কী আরজেডি-এলজেপি জোট ওই আসনে কংগ্রেসকে সমর্থন করবে? আরজেডি-এলজেপি জোট সূত্রে জানানো হচ্ছে, দু’এক দিনের মধ্যেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
তবে আরজেডি-র অন্দরে পূর্ণিয়ায় প্রার্থী না দেওয়ার পিছনে কংগ্রেসকে খুশি করার তত্ত্বকেই খাড়া করা হচ্ছে। আরজেডি-র এক শীর্ষ নেতার কথায়, “লালু-রামবিলাস, দু’জনেই এখন কেন্দ্রে মন্ত্রিত্বে ফিরতে মরিয়া। আর কয়েক দিন পরেই মনমোহন সিংহের মন্ত্রিসভায় রদবদল করার কথা। ওই সময়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব পেতে ইতিমধ্যেই সনিয়া গাঁধীর কাছে নিয়মিত দরবার করছেন লালু-রামবিলাস। ইউপিএ-র দু’বছর পূর্তির অনুষ্ঠানেও সব থেকে আগে গিয়ে বসেছিলেন লালুজিরা।” ওই আরজেডি নেতার আরও যুক্তি, ‘‘সম্প্রতি রামদেব-কাণ্ডে লালু-রামবিলাসের অবস্থান দেখলেই বুঝতে পারবেন, ওঁরা বর্তমানে কংগ্রেসকে খুশি করতে কতটা মরিয়া। রামদেবের সঙ্গে সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাটের যখন লড়াই বেঁধেছিল, তখন লালু দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন রামদেবের সমর্থনে। অথচ, তখন সিপিএমের সঙ্গে আরজেডি-র জোট ছিল। আর এ বারে লালু আগ বাড়িয়ে রামদেবের আন্দোলনের নিন্দা করে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছেন।”
এ সব দেখে নীতীশ কুমারের সহাস্য মন্তব্য, “আমি তো বরাবরই বলি, লালু আর কংগ্রেসের তলে তলে জোট এখনও রয়েছে। সেটাই এ বার প্রমাণ হচ্ছে।”
Previous Story Desh Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.