|
|
|
|
পাকিস্তানকে চাপে রাখতে অস্ত্র হবে রানার স্বীকারোক্তি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
শিকাগোর আদালত মুম্বই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ থেকে তাহাউর হুসেন রানাকে রেহাই দেওয়ায় কিছুটা হতাশ ভারত। এ নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা শুরু করেছে দিল্লি। পাশাপাশি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনাতেও মুম্বই সন্ত্রাসের সঙ্গে রানা এবং আইএসআই-এর যোগসাজশ নিয়ে সরব হতে চাইছে মনমোহন সরকার। আজ বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ জানিয়েছেন, চলতি মাসের শেষে ভারত-পাক বিদেশসচিব পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়টি তোলা হবে।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হচ্ছে, রানার বিচার নিয়ে আমেরিকার আইন বিভাগের উপর প্রত্যক্ষ ভাবে কোনও চাপ তৈরির চেষ্টা হবে না ঠিকই, তবে পরোক্ষ ভাবে ভারতের উদ্বেগের দিকটি বোঝাতে সংশ্লিষ্ট নথি-প্রমাণগুলি হোয়াইট হাউসে পাঠানো হবে। এক দিকে কৃষ্ণ আজ বলেছেন, “আমেরিকা বা অন্য কোনও দেশের আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা নাক গলাতে পারি না।” অন্য দিকে তাঁর বক্তব্য, “রানা সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-প্রমাণ রয়েছে আমাদের কাছে। সেগুলি থেকেই স্পষ্ট যে, কাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল রানার। মুম্বই সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগের কথা সে নিজেই কবুল করেছে শিকাগোর আদালতে।”
ভুটানের পার্শ্ববৈঠকে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা খোলার পর মুম্বই সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত অপরাধীদের দ্রুত শাস্তি দেওয়ার জন্য কূটনৈতিক চাপ বজায় রেখেছে দিল্লি। তাতে কাজ কতটা হয়েছে তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন রয়েছে। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ক্রমশ দুর্বল হয়েছে পাকিস্তানে। লাদেন-পরবর্তী পরিস্থিতিতে সে দেশে ক্রমশ দাপট বাড়ছে তালিবানি সন্ত্রাসের। হাফিজ সৈয়দ, জাকিউর রহমান লকভির মতো জঙ্গিদের ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার প্রশ্নেও পাকিস্তান এখনও পর্যন্ত কোনও সহযোগিতার নমুনা পেশ করেনি। তবু হাল ছাড়ছে না দিল্লি। জুনের শেষ দিকে বিদেশসচিব নিরুপমা রাও ইসলামবাদে গিয়ে এ সব নিয়ে আলোনা করবেন সে দেশের বিদেশসচিব সলমন বসিরের সঙ্গে। এ প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী কৃষ্ণ আজ বলেন, “আসন্ন বিদেশসচিব পর্যায়ের বৈঠকে সমস্ত দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে। মুম্বই সন্ত্রাস নিয়েও কথা হবে। ২৬/১১-র সঙ্গে আইএসআই-এর যোগাযোগের বিষয়টি বিশদে জানব আমরা। রানার স্বীকারোক্তির বিষয়টিও তোলা হবে পাকিস্তানের সামনে।” |
|
|
 |
|
|