টু-জি দুর্নীতি
নাম জড়াল চিদম্বরমের, ইস্তফা চায় বিজেপি
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা যখন দিল্লিতে এসে পি চিদম্বরমকে আক্রমণ করছেন, ঠিক সেই সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁর ইস্তফার দাবিতে সরব হল বিজেপি।
দলের সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির মুখপাত্র প্রকাশ জাভরেকর অভিযোগ করেন, “একটি পত্রিকায় প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজার সঙ্গে কর্পোরেট লবিস্ট নীরা রাডিয়ার ফোনালাপ প্রকাশিত হয়েছে। তা থেকে বোঝা যাচ্ছে, টু জি কেলেঙ্কারিতে সুবিধা পেয়েছিলেন চিদম্বরমও। খোদ রাজাই এ কথা রাডিয়াকে জানিয়েছেন।” বিজেপি-র প্রশ্ন, যদি রাজা এবং চিদম্বরম উভয়েই সুবিধা পেয়ে থাকেন, তবে রাজা একা কেন বন্দি থাকবেন? চিদম্বরম এমনিতেই মাওবাদী সমস্যা মোকাবিলায় ‘ব্যর্থ’। এ বার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তিনি কেন্দ্রের মন্ত্রিসভায় থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন বলে মনে করছে বিজেপি। জাভরেকরের কথায়, “প্রধানমন্ত্রীর কাছেও আমাদের প্রশ্ন, তিনি কেন চিদম্বরমকে মন্ত্রিসভা থেকে সরাচ্ছেন না?” আজই জয়ললিতা চিদম্বরমের বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচনে ‘জালিয়াতি’ করে জেতার অভিযোগ করেন। চিদম্বরম তার লিখিত জবাবও দিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের কোনও জবাব দেননি। কংগ্রেসের তরফেও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী দয়ানিধি মারানের বিরুদ্ধে টাটকা অভিযোগের পাশাপাশি এ বার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই টু-জি মামলায় দুর্নীতির গন্ধ পাওয়ায় বিজেপি বিষয়টিকে কোনও ভাবে হাতছাড়া করতে চাইছেন না। দু’টি বিষয়েই ফের প্রধানমন্ত্রীকে কোণঠাসা করার কৌশল নিচ্ছে তারা। বিজেপি-র অভিযোগ, টু-জি তদন্ত যাতে বেশি দূর না গড়ায়, সে জন্য অনেক দিন ধরেই সক্রিয় চিদম্বরম। রাজা যখন টেলিকম মন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় চিদম্বরম ছিলেন দেশের অর্থমন্ত্রী। টু-জি লাইসেন্স বণ্টনের পর চিদম্বরম প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে জানান, ‘এই অধ্যায় সমাপ্ত’।
জাভড়েকরের কথায়, “মুরলীমনোহর জোশীর নেতৃত্বে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি যখন ওই চিঠি নিয়ে আলোচনা শুরু করে, তখন বৈঠক ভেস্তে দেওয়ার নেপথ্যে ছিলেন কেন্দ্রের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদম্বরম। পিএসি-র পূর্বতন কমিটির শেষ বৈঠকের দিন চিদম্বরম যাবতীয় কাজ ফেলে সংসদে গিয়েছিলেন। তাঁরই নির্দেশে টু-জি স্পেকট্রাম নিয়ে পিএসির বৈঠক ভণ্ডুল করে দেওয়া হয়।” এই অভিযোগ আগেও উঠেছিল। তখন কংগ্রেস তা নস্যাৎ করে।
পিএসি-র এক সদস্য বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ফেব্রুয়ারি মাসে সাংবাদিক বৈঠকেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, স্পেকট্রাম নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এ রাজা এবং চিদম্বরম। তাঁরা দু’জনে মিলে যখন নীতি নির্ধারণ করেন, তার পর প্রধানমন্ত্রী আর অমত করেননি।” তিনি জানান, সরকারের রাজস্ব হানির পিছনেও চিদম্বরমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে পিএসির রিপোর্টেও বলা হয়েছে। নিজের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ খণ্ডন করে সাংবাদিক বৈঠকে বিবৃতি দিয়েছিলেন চিদম্বরম। কিন্তু রাজা-রাডিয়ার নতুন কথোপকথন প্রকাশিত হওয়ার পরে চিদম্বরম এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি।
Previous Story Desh Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.