|
|
|
|
খুনে অভিযুক্ত তিন ভাই ধৃত |
বহুতলের শৌচাগারে তরুণের মৃতদেহ |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
রবিবার দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিলজলা রোডের বাসিন্দা ১৯ বছরের এক তরুণ। মঙ্গলবার ভোরে এলাকার একটি বহুতলের একতলায় শৌচাগার থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, মহম্মদ শামিম নামে ওই তরুণ খুন হয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম মেহবুব আলম (৩৮), আনিস আলম (৪০) এবং মহম্মদ আলি (৩৪)। পুলিশের দাবি, জেরায় মেহবুব স্বীকার করেছে, সে-ই খুন করেছে শামিমকে। তাকে সাহায্য করেছে আনিস এবং আলি। এর পরে উত্তেজিত জনতা ওই বাড়ি ভাঙচুর করে।
পুলিশ জানায়, বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার বাসিন্দা শামিম এসি মেশিন মেরামতির কাজ করতেন। তাঁর বাবা হাফিজ কামরুল্লা একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। পুলিশকে কামরুল্লা জানিয়েছেন, রামমোহন বেরা লেনের বছর বারোর এক কিশোরীর সঙ্গে বেশ কিছু দিন আগে পরিচয় হয় শামিমের। এ দিন তিনি বলেন, “ওই কিশোরীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখলে মেহবুব তাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছিল তিন মাস আগে। পাড়ার ছেলেদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি তখনকার মতো থামে। সে কারণেই তখন আর পুলিশকে জানানো হয়নি।”
পুলিশের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর মা মেহবুবকে বলেছিলেন, মেয়ের সঙ্গে শামিমের পরিচয়-কথাবার্তায় আপত্তি রয়েছে তাঁর। মেহবুবের সঙ্গে ওই কিশোরীর মায়ের ‘সম্পর্ক’ নিয়ে বাসিন্দাদের কাছ থেকে কিছু তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তার সঙ্গে এই খুনের কোনও সম্পর্ক আছে কি না, তা-ও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
পুলিশ জানায়, রবিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ শামিমকে ডাকে মেহবুব। তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন শামিম। মোবাইল ছিল বন্ধ। ওই রাতে বাড়ি ফেরেনি মেহবুবও। রাতে থানায় নিখোঁজ-ডায়েরি করেন কামরুল্লা। সোমবার রাতে মেহবুব পাড়ায় ফেরার পরে তার কাছে শামিমের খোঁজ করা হলে সে জানায়, কিছু জানে না। কিন্তু মেহবুবের হাতে রক্তের দাগ দেখে সন্দেহ হয় বাসিন্দাদের। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশের দাবি, তাদের কাছে ওই যুবক স্বীকার করে খুনের কথা। জানায়, বস্তাবন্দি অবস্থায় মৃতদেহ রয়েছে শৌচাগারে।
পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, শাসানোর উদ্দেশ্যেই রবিবার দুপুরে শামিমকে ডেকে ছাদে নিয়ে যায় তারা। কথা-কাটাকাটির পরে আচমকা উত্তেজনার বশে ছুরি ও চপার দিয়ে বারবার আঘাত করা হয় শামিমকে। পরে নীচে শৌচাগারে নামিয়ে এনে বস্তাবন্দি করা হয় তার মৃতদেহ। নাড়িভুঁড়ি আর একটি প্যাকেটে ভরা হয়। এর পর থেকে বেপাত্তা হয়ে যায় মেহেবুব। অন্য দু’জন অবশ্য পাড়াতেই ছিল। অস্ত্র দু’টি উদ্ধার করেছে পুলিশ। |
|
|
 |
|
|