টুকরো খবর

পঞ্চায়েতে দলবদল
প্রধান, উপপ্রধান-সহ সিপিএমের ৬ জন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দিলেন। সোমবার কোচবিহার-১ ব্লকের দেওয়ানহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কাকলি বৈশ্য রায়, উপপ্রধান সুমিত্রা বর্মন সহ-ওই সদস্যরা একযোগে তৃণমূলে যোগ দেন। দেওয়ানহাট অঞ্চল তৃণমূল অফিসে তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন দলের কোচবিহার-১ ব্লক সভাপতি খোকন মিয়া। কাকলি দেবী বলেন, “পরিবর্তনের পক্ষে রাজ্যবাসীর রায়কে সম্মান জানাতে আমাদের এই দলত্যাগ।” সিপিএমের কোচবিহার দক্ষিণ সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বঙ্কিম পাল বলেন, “ভোটের পর থেকেই ওই প্রধান ও সদস্যদের চাপ দেওয়া হচ্ছিল। প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল। প্রশাসন উদ্যোগ নেয়নি। আমরাও দল থেকে তাঁদের নিরাপত্তা দিতে পারিনি। তৃণমূলের চাপে ভয়ে তাঁরা দলত্যাগ করল।” পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পঞ্চায়েতে ১৪টি আসনে দলগত অবস্থান সিপিএম ৮, ফরওয়ার্ড ব্লক ১, তৃণমল ৩, বিজেপি ২। প্রধান ও উপপ্রধান পদ পায় সিপিএম। বিধানসভা ভোটের পর সিপিএমের এক সদস্য পদত্যাগ করেন। এ দিন ৬ জন তৃণমূল কংগ্রেসে যাওয়ায় সিপিএমের পঞ্চায়েতে সদস্য সংখ্যা কমে ১ হল। তৃণমূলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি খোকন মিয়াঁ জানান, প্রধান, উপপ্রধান পদে বদল হচ্ছে না।

বামেদের অভিযোগ
কোথাও মার খেয়ে সিপিএম কর্মীরা এলাকা ছাড়া। কোথাও বামপন্থী সরকারি কর্মীদের থেকে জরিমানা আদায় হচ্ছে। কোথাও দলবল নিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুঠ চালানো হচ্ছে। নির্বাচনের পরে উত্তরবঙ্গের নানা এলাকায় কংগ্রেস এবং তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁদের সমর্থকদের উপরে লাগাতার হামলা চলছে অভিযোগ করে সোমবার উত্তরবঙ্গের জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের স্মারকলিপি দিলেন বামেরা। রাজগঞ্জে অস্ত্র-সহ ধৃত সিপিএম নেতার স্ত্রীও এদিন স্মারকলিপি প্রদানে অংশ নেন। জলপাইগুড়ির সিপিএম নেতারা অভিযোগ করেন, রাজগঞ্জ এলাকায় তাঁদের দলীয় মুখপত্র বিলি করতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া, ইসলামপুর এবং কালিয়াচকে একাধিক দলীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ জানান জেলা বামফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। কংগ্রেস তৃণমূল জোটের পক্ষ থেকে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এ দিনই রাজ্যের প্রাক্তন অসামরিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী ইটাহার কলেজের অধ্যক্ষা স্বপ্না দেবী-সহ কলেজের বামপন্থী শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের হেনস্থা ও গালিগালাজ করা হয় বলেও উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক সুনীল দণ্ডপাটের কাছে তাঁরা অভিযোগ জানান। জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক বীরেশ্বর লাহিড়ি বলেন, “পুলিশকে সমস্ত ঘটনা জানানোর পরেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করানা-হলে লাগাতার আন্দোলনে নামা হবে।” জলপাইগুড়ির প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ মিনতি সেন বলেন, “নতুন সরকার বিরোধীদের মর্যাদা দেওয়ার কথা ভুলে গিয়েছে। আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম তখন এসব তো হয়নি।” উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ এবং তৃণমূলের তিলক চৌধুরী বলেন, “বামেদের অভিযোগ ভুয়ো। পুলিশ তদন্ত করলেই স্পষ্ট হবে।”

নিগ্রহের নালিশ তৃণমূলের নামে
খোদ বনমন্ত্রীর জেলায় তাঁরই দফতরের অধীন পর্যটন কেন্দ্রের দুই কর্মীকে মারধরের অভিযোগে নাম জড়াল তৃণমূল সমর্থকের। রবিবার কোচবিহারের রসিকবিল পর্যটন কেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটে। রাতে বক্সিরহাট বন দফতরের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাতে শালবাড়ির বাসিন্দা তৃণমূলের এক সক্রিয় সমর্থকের নাম রয়েছে। বনমন্ত্রী হিতেন বর্মনকেও দফতরের কর্তারা ঘটনাটি জানিয়েছেন। বনমন্ত্রী অবশ্য বলেন, “জোর করে মোটর সাইকেল নিয়ে পর্যটন কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দিয়ে গিয়ে দুই বনকর্মী নিগৃহীত হন বলে অভিযোগ পেয়েছি। ওই ঘটনার সঙ্গে দলের যোগাযোগ নেই। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তৃণমূলের বক্সিরহাট ব্লক কার্যকরী সভাপতি স্বপন সাহা বলেন, “বন দফতরের সিপিএম ঘনিষ্ঠ এক অফিসার আমাদের এক কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। মারধর তো দূর অস্ত, ওই কর্মী গোলমাল মেটাতে গিয়ে এক মদ্যপ বনকর্মীর হাতে মার খান।” রবিবার বিকেলে রসিকবিল পর্যটন কেন্দ্রের ভিতরে মোটর সাইকেল নিয়ে ঢুকতে চান কয়েক জন যুবক। কতর্ব্যরত বন শ্রমিক বানা ওরাঁও আপত্তি করলে বচসা শুরু হয়। ওই বনকর্মীকে ওই যুবকদের একজন মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ। সহকর্মীকে বাঁচাতে গিয়ে অস্থায়ী বনকর্মী দীপক ঠাকুরও নিগৃহীত হন। সোমবার ঘটনার খোঁজ নিতে রসিকবিলে যান ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট সার্ভিস এমপ্লয়িজ ফেডারেশন -এর কোচবিহার জেলার নেতারা।

স্বামী-শোকে আত্মঘাতী স্ত্রী
স্বামী আত্মহত্যা করার এক দিন বাদেই কীটনাশকে আত্মহত্যা করলেন স্ত্রী। সোমবার মালদহ সদর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম সনমতি চৌধুরী (২২)। বাড়ি হবিবপুর থানার ঋষিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীনগরে। আড়াই বছর আগে প্রতিবেশী জগৎ চৌধুরীর সঙ্গে সনমতি দেবীর মৃত্যু হয়। এক বছর পরে তাঁদের এক সন্তান হলেও কিছুদিন বাদে শিশুটি মারা যায়। পেশায় মৎস্যজীবী জগৎবাবুর স্ত্রী সনমতি দেবী পরিচারিকার কাজ করতেন। সন্তানের মৃত্যুর পর থেকে দম্পতি অবসাদে ভুগছিলেন। তাঁদের মধ্যে বচসাও লেগে থাকত। শনিবার কীটনাশকে মৃত্যু হয় জগৎবাবুর। পরদিন ওই শিশির বাকি কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন সনমতি।

দুর্ঘটনায় মৃত শ্রমিক
জলাধার প্লাস্টার করার সময় সিমেন্ট বোঝাই বালতি মাথায় পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে ইংরেজবাজার থানার সোলপুর এলাকায়। মৃতের নাম মুর্সেদ শেখ (১৮)। তাঁর বাড়ি ওই এলাকাতেই। বাঁশের মই দিয়ে সিমেন্ট বোঝাই বালতি উপরে তোলার সময় দুর্ঘটনা ঘটে।

আদিবাসী-সিপিএমে মারপিট মালবাজারে
আদিবাসী বিকাশ পরিষদ এবং সিপিএম সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে ডুয়ার্সের মালবাজার থানার সাওগাঁও বস্তি লাগোয়া সোনালি চা বাগান এলাকায়। রবিবার রাতের ওই ঘটনায় দু’পক্ষের ১০ জন জখম হন। একটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। রাতেই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।

দলত্যাগীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নয়, সিদ্ধান্ত
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেও কাউন্সিলর সুব্রত বসুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরাঙ্গ নাগ। যদিও জেলা কংগ্রেস সভাপতি ওই কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। দলের জেলা ও ব্লক স্তরের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পুরসভার এই অবস্থান তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল। হলদিবাড়ি ব্লক কংগ্রেস সভাপতি তরুণ দত্ত বলেন, “দলের জেলা সভাপতি সুব্রতবাবুর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগে মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানাতে নির্দেশ দেন।” পুরসভার চেয়ারম্যান বলেছেন, “এ বিষয়ে কেউ আমাকে জানায়নি। সুব্রতবাবুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রশ্ন ওঠে না।” জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে হইচই করতে নারাজ।

পিটিয়ে খুন

মদ্যপ অবস্থায় বাবাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারল ছেলে। রবিবার রাতে মালবাজার থানা এলাকার মানাবাড়ি চা বাগানের সাইলি বনবস্তিতে ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম বন্ধন ওরাঁও (৫০)।

Previous Story Uttarbanga Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.