|
|
|
|
নয়া সাজ পঞ্চায়েতের স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও |
পুর হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ প্রাথমিক শুশ্রূষা চান মমতা |
স্বপন সরকার • কলকাতা |
বিভিন্ন বড় হাসপাতালের উপরে, বিশেষ করে সেখানকার বহির্বিভাগের উপরে চাপ কমানো দরকার। সেই জন্য রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যে-সব পুর হাসপাতাল রয়েছে, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে সেগুলিকে যে-কোনও বড় হাসপাতালের পরিপূরক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি চান, পুর হাসপাতালগুলিতে অন্তত প্রাথমিক চিকিৎসার পূর্ণাঙ্গ
ব্যবস্থা থাকুক।
সেই সঙ্গেই পঞ্চায়েতের অধীনে যে-সব ডিসপেন্সারি রয়েছে, সেগুলির পরিকাঠামো ঢেলে সেজে গ্রামীণ চিকিৎসা পরিষেবার মান আরও উন্নত করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই দুই বন্দোবস্ত সফল হলে বড় হাসপাতালে এমনিতেই চাপ কমে যাবে।
রাজ্যে পুরসভার সঙ্গে যুক্ত মোট ১২৭টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতাল রয়েছে। কলকাতা পুরসভার অধীনে আছে চারটি প্রসূতি সদন এবং একটি যক্ষ্মা হাসপাতাল। দমদম পুরসভার একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ হাসপাতাল রয়েছে। হাসপাতাল আছে নিউ ব্যারাকপুর এবং উত্তর দমদম পুরসভারও। মমতা চান, ওই সব
হাসপাতালকে সক্রিয় করে তুলে যে-কোনও বড় হাসপাতালের পরিপূরক হিসেবে গড়ে তোলা হোক। পুর দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যের পুরনো সব পুরসভাতেই হাসপাতাল আছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরিকাঠামো আছে সেগুলির অধিকাংশেরই। আবার অনেক পুরসভার হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গিয়েছে লোকাভাবে কিংবা পরিকাঠামোর অভাবে। ওই সব হাসপাতালের পুনর্গঠনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। |
রাজ্যের বেশির ভাগ পুর হাসপাতালই চালায় স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি বা (সুডা)। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সুডা-র বড় কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কোন পুর হাসপাতালের কী কী চিকিৎসা হয়,
সেগুলির পরিকাঠামোর কী অবস্থা, ক’জন চিকিৎসক এবং চিকিৎসাকর্মী আছেন, সেখানে প্রতিদিন কত রোগী চিকিৎসা করাতে যান তার সবিস্তার তালিকা চেয়েছেন পুরমন্ত্রী। কী ভাবে ওই সব হাসপাতালের মান উন্নত করে
পরিপূরক চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়, তা-ও জানতে চেয়েছেন তিনি।
পুরমন্ত্রী বলেন, “ওই সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে সক্রিয় করে তুলতে হবে। তা হলে অন্য হাসপাতালে অন্তত প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য মানুষকে আর যেতে হবে না। ফলে সেখানকার বহির্বিভাগে চাপ কমবে।”
পঞ্চায়েত দফতর সূত্রের খবর, তাদের অধীনে বর্তমানে ৯০০টি ডিসপেন্সারি রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে যেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার ন্যূনতম পরিকাঠামো পর্যন্ত নেই, সেখানে এই ধরনের ডিসপেন্সারি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সেগুলির মান যথেষ্ট উন্নত নয়। জেলা পরিষদে স্বাস্থ্য পরিষেবার পৃথক পরিকাঠামো আছে। সেগুলিকে আরও সক্রিয় করার জন্য পঞ্চায়েতমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পঞ্চায়েতমন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ
পেয়েই দফতরের আধিকারিকদের এই বিষয়ে খোঁজখবর করে রিপোর্ট তৈরি করতে বলেছি।” তিনি জানান, পঞ্চায়েতের অধীন গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকেও সক্রিয় করে তুলতে চান মুখ্যমন্ত্রী। রোগীরা সেখানে ঠিকঠাক
প্রাথমিক চিকিৎসা পেলে তাঁদের আর দূরের হাসপাতালে যেতে হবে না। |
|
|
|
|
|