|
|
|
|
ভাঙল বিডিও-র গাড়ির কাচ |
অনাস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে তুলকালাম শিবনিবাসে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
শিবনিবাস গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে সোমবার সরগরম হয়ে উঠেছিল গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় চত্বর। অভিযোগ, অনাস্থা ভোট স্থগিত রাখার জন্য বিডিও অফিসের এক কর্মী পঞ্চায়েত কার্যালয়ে আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে এলে তৃণমূলের কর্মীরা তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিডিও-র গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। পরে বিরাট পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। কৃষ্ণনগর সদরের মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, “আদালতের স্থগিতাদেশ অনুযায়ী এই দিনের অনাস্থা ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ মেনেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি বলেন, “ওই স্থগিতাদেশ নিয়ে গিয়েছিলেন যে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী, তাঁকে মারধর করা হয়েছে। বিডিও-র গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কৃষ্ণনগর থানার শিবনিবাস গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএমের সদস্য ৬ জন। তৃণমূলের ৩ জন। বিজেপি’র ২ জন। সম্প্রতি প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে প্রস্তাব আনেন তৃণমূল ও বিজেপি’র সদস্যেরা। সোমবার ছিল প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের দিন। বেলা ১২টায় ভোটাভুটি শুরু হওয়ার কথা। এর মধ্যেই কৃষ্ণনগর জেলা আদালতের দ্বারস্থ হয় সিপিএম। সোমবার আদালত থেকে স্থগিতাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিডিও সেই নির্দেশ পেয়ে তা এক কর্মীর হাত দিয়ে ওই পঞ্চায়েতে পাঠিয়ে দেন। তারপরেই শুরু হয় গোলমাল। সিপিএমের কৃষ্ণনগর জোনাল কমিটির সদস্য সৌর বিশ্বাস বলেন, “বিধানসভা ভোটে জেতার পরে তৃণমূল আদালতের নির্দেশ পর্যন্ত মানতে চাইছে না।” তৃণমূলের কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক সভাপতি কল্যাণ চক্রবর্তীর অবশ্য দাবি, “প্রথমত বিডিও অফিসের কর্মীকে মারধর বা গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় আমাদের দলের কেউ জড়িত নন। দ্বিতীয়ত, ওই স্থগিতাদেশের কপি নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে পৌঁছেছে। তার আগেই আমাদের ৬ সদস্য সই করে প্রিসাইডিং অফিসারকে তা জমা দিয়ে দিয়েছিলেন।” |
|
|
|
|
|