|
|
|
|
উদ্যোগী পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন |
অঙ্গনওয়াড়ি পড়ুয়াদেরও পোশাক দেওয়ার ভাবনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
স্কুলের মতো এ বার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছাত্রছাত্রীদের জন্যও নির্দিষ্ট পোশাকের বন্দোবস্ত করতে তৎপর হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এ সংক্রান্ত পরিকল্পনাও তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে ৮৫ হাজার ছাত্রছাত্রীকে পোশাক দেওয়া হবে। এক-একজনের পোশাকের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ২০০ টাকা। জেলা প্রকল্প আধিকারিক প্রণব ঘোষ বলেন, “পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। তবে এখনও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ হয়নি। অর্থ চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদন হলে এ বার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছাত্রছাত্রীরাও পোশাক পাবে।”
শিশুশিক্ষার ভিত মজবুত করতেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খোলা হয়েছে। এখান থেকেই প্রাথমিকের পাঠ শুরু হয়। কিন্তু এই কেন্দ্র নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। প্রতিটি কেন্দ্রের জন্যই এক জন করে কর্মী ও এক জন করে সহায়িকা থাকার কথা। কিন্তু বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে কর্মী ও সহায়িকারা নিয়মিত আসেন না বলে অভিযোগ। কয়েকটি কেন্দ্রে আবার পড়াশোনা তেমন হয় না বললেই চলে। কিছু সময়ের জন্য সহায়িকা আসেন। পরে ছাত্রছাত্রীদের খাবার দেওয়া শুরু হলেই চলে যান। এ নিয়ে প্রশাসনের কাছেও অভিযোগ আসে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। তবে বেশ কিছু এলাকায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কোনও পরিকাঠামোও নেই বলে অভিযোগ। ফলে সেখানে শিশুশিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। এখনও বেশ কয়েকটি কেন্দ্র গাছতলায় চলে। নির্দিষ্ট কোনও স্কুল-ঘর নেই। সমস্যার কথা মেনে নিয়েই প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যেখানে নির্দিষ্ট স্কুল-ঘর নেই, সেখানে এ বার ঘর তৈরি হবে। সংলগ্ন এলাকায় পানীয় জলেরও ব্যবস্থা করা হবে।” শুধু পোশাকই নয়, ছাত্রছাত্রীদের একটি করে থালা ও চামচ দেওয়ার কথাও ভেবেছে জেলা প্রশাসন। এই পরিকল্পনার কথাও রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকের কথায়, “অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছাত্রছাত্রীদের প্রতি দিনই খাবার দেওয়া হয়। তাই প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকেই একটি করে থালা ও একটি করে চামচ দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।” জেলার সমস্ত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছাত্রছাত্রীকে পোশাক ও থালা-চামচ দিতে ব্যয় হবে প্রায় ২ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। তবে এ ক্ষেত্রে এখনও কোনও অর্থ বরাদ্দ হয়নি। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাবও রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ মঞ্জুর হলে শিশু শিক্ষার্থীরাই উপকৃত হবে।
অবরোধ। যোগগুরু রামদেবের আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে সোমবার দুপুরে মহিষাদল-হলদিয়া সড়ক অবরোধ কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। নেতৃত্ব দেন স্থানীয় বিজেপি নেতা বিজন পানিগ্রাহী। |
|
|
|
|
|