|
|
|
|
দাঁতালের হানা রেঞ্জ অফিসেও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
রাতভর হাতির হামলায় তটস্থ হয়ে রইল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার বাঁকাদহ গ্রাম। হাতির হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন দফতরের বাঁকাদহ রেঞ্জ অফিসও। এলাকার দোকান ও ঘরবাড়িতেও হানা দেয় দাঁতালেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চারটি ‘রেসিডেন্ট’ দাঁতাল রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ এলাকায় ঢুকে তাণ্ডব শুরু করে। বাঁকাদহের সাহাপাড়ায় একটি দোকানের পাঁচিল ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভুষিমাল তছনছ করে। পরে, বৈতলমোড়ে একটি সব্জি আড়তে হামলা চালায় দাঁতালরা। দোকান ভেঙে লাউ, কুমড়ো, শশা খেয়ে লাগোয়া বন দফতরের রেঞ্জ অফিসে ঢোকে। শব্দ শুনে বনকর্মীদের ঘুম ভেঙে যায়। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে চারটি দাঁতালকে জঙ্গলের দিকে তাড়ানোর চেষ্টা শুরু করেন। ফেরার পথে স্থানীয় বকনডহরা গ্রামে ঢুকেও তাণ্ডব তালায় হাতিগুলি। |
|
— ছবি: শুভ্র মিত্র। |
সোমবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার ও গ্রামবাসীরা রেঞ্জ অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। হাতির হানায় ঘর ভেঙে পড়া কানাই খাঁ, জনপ্রিয় চক্রবর্তী, বিষ্ণু দে, আর্শেদ মণ্ডলদের অভিযোগ, “লোকালয়ে ঢুকে এ ভাবে হাতিরা হামলা চালালে আমরা থাকব কী ভাবে? বন দফতর নজর দিচ্ছে না।” বাঁকাদহের রেঞ্জ অফিসার বলাই দে বলেন, “হাতিগুলি যে-ভাবে রেঞ্জ অফিসের পাঁচিল ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েছিল, তাতে আমরাও বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। পটকা ফাটিয়ে কোনও রকমে তাদের অফিস চত্বরের বাইরে পাঠানো হয়। জঙ্গলে খাবারের অভাব থাকায় হাতিগুলি লোকালয়ে হামলা চালাচ্ছে।” তিনি জানান, কম লোকবল নিয়েও তাঁরা হাতির হামলা রোখার চেষ্টা করছেন। দমলার ১৫টি হাতির দল স্থানীয় চোরকুন্ডার জঙ্গলে রয়েছে। হাতিগুলিকে নিয়ে তাঁরা বেশ বিব্রত। তা ছাড়া, পাকা কাঁঠালের টানে আরও ৯টি হাতি এলাকায় জড়ো হয়েছে। সেই দলেরই চারটি ‘রেসিডেন্ট’ দাঁতাল বাঁকাদহ বাজারে ঢুকে এই তাণ্ডব চালায়। তাঁর আশ্বাস, “সরকারি বিধি অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|