|
|
|
|
মাজদিয়ায় সার্কাসের তাঁবুতে অকাল মৃত্যু বাচ্চা হাতির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
সার্কাসের একটি হাতির বাচ্চার আচমকা মৃত্যু হয়েছে। ওই সাকার্সের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শের বাহাদুর নামে ওই হাতিটির বয়স হয়েছিল দু’বছর তিন মাস। নদিয়ার মাজদিয়াতে ওই সাকার্সের তাঁবুতেই সোমবার সকালে শের বাহাদুরকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু তার মৃত্যুর কারণ কিছুই বোঝা যায়নি। এই দিনই বন দফতর তার দেহের ময়নাতদন্ত করবে। ডিএফও সৌরীন্দ্রনাথ পাল বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ কিছুই বলা যাবে না।” শের বাহাদুর এখনও খেলা দেখাতে শেখেনি। শুধু মায়ের পিছন পিছন ‘রিং’য়ের ভিতরে গুটি গুটি পায়ে ঢুকে আবার বেরিয়ে আসত। তার মায়ের নাম ‘বিড়ি’। সে অবশ্য খেলা দেখায়। |
|
মৃত সন্তানের কাছে মা।--নিজস্ব চিত্র। |
রবিবারেও শের বাহাদুর রিংয়ে গিয়েছিল। বাজনার তালে তালে শুঁড় দুলিয়ে রিং ঘুরে আবার ফিরে গিয়েছিল। সার্কাসের কর্মীদের দাবি, রাতে সে স্বাভাবিক ভাবেই খাওয়াদাওয়াও করে। জলও খেয়েছিল। সব কিছুই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু সকালে কর্মীরা গিয়ে দেখেন মাটিতে পড়ে রয়েছে শের বাহাদুর। দেহে প্রাণ নেই। পাশে দাঁড়িয়ে তার গায়ে শুঁড় বোলাচ্ছে বিড়ি। সার্কাসের এক কর্মী জানান, একা বিড়িই নয়, সার্কাসের সব হাতিই কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল। সার্কাসের মালিক চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কী করে যে এমনটা হল, তা বুঝতে পারছি না। শের বাহাদুরের কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল না। রীতিমতো ছোটাছুটি করে খেলা করত। রবিবার রাতেও ঠিকঠাক খাওয়া দাওয়া করেছিল।” তিনি বলেন, “সার্কাসের সকলেরই খুব মন খারাপ। বাচ্চাটি ছিল সকলের প্রিয়। হঠাৎ কী যে হল, তা কেউই কিছু বুঝতে পারছে না।” হাতির ট্রেনার সুরিন্দর সিংহও বলেন, “খেলা শেখেনি কারণ তা দেখানোর বয়সই তো হয়নি। কিন্তু নিজে নিজে খেলত। পায়ে পায়ে ঘুরত। সকলের আদরের ছিল ও। কী করে মারা গেল, কে জানে।” জেলা প্রাণী চিকিৎসা আধিকারিক নিতাইচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “অনেক কারণেই হাতির বাচ্চাটির মৃত্যু হতে পারে। যেমন গরমের ফলে ‘হিট স্ট্রোক’ হতে পারে। খাবার ঠিকঠাক পেত কি না জানা দরকার। রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে গিয়েছিল কি না, দেখতে হবে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্টের পরেই সব কথা জানা যাবে।” |
|
|
|
|
|