|
|
|
|
জয়াকে নিয়ে জোর টানাটানি দিল্লিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ঠিক এক মাস আগে ঝড় তুলেছিলেন বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিনে। এক মাস পর ফের ঝড় তুললেন তিনি। ডিএমকে সরকারকে উৎখাত করে তামিলনাড়ুর তখ্তে ফেরার পরে জয়ললিতা প্রথম বার দিল্লিতে পা রাখামাত্রই তাঁকে নিয়ে টানাটানি পড়ে গেল। এক দিকে যেমন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেত্রী শীলা দীক্ষিত তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন, তেমনই দেখা করলেন বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদও। চুম্বকে জয়ললিতার জন্য ভবিষ্যতের দরজা খুলে রাখতে
চাইছে সকলেই।
তামিলনাড়ু ভোটের ফল ঘোষণার পরেই জয়ললিতাকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন সনিয়া গাঁধী। চায়ের আসরে আমন্ত্রণও জানান তাঁকে। রাজনৈতিক সূত্রে তখনই বলা হয়, দুর্নীতির অভিযোগে ডিএমকে যখন কাঠগড়ায়, তখন তামিলনাড়ুতে আন্না দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কাঝাগম-এর ‘আম্মা’র সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলতে চাইছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। আগামী বছর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সেই সময়ও আন্না দ্রমুক-এর সমর্থন দরকার হবে কংগ্রেসের। কিন্তু আজ যখন জয়ললিতা দিল্লি পৌঁছেছেন, সনিয়া তখন গ্রীষ্মাবসরে বিদেশে। তবু কংগ্রেসের তরফে একটা বার্তা ঠিকই পৌঁছে দেওয়া হল, দলের এক মহিলা নেত্রীকে তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর কাছে পাঠিয়ে। বার্তাটি আর কিছু নয়, সৌজন্য সাক্ষাতের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বন্ধুত্বের সম্পর্ক নিবিড় করার একটা ক্ষেত্র তৈরি করে রাখা।
একই লক্ষ্য বিজেপি-রও। এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতিতে শরিক-সন্ধান করা বিজেপি-র কাছে অন্যতম অগ্রাধিকার। তাই বিধানসভা ভোটের অনেক আগে থেকেই জয়ললিতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণীরা। এমনকী, সনিয়া ফোন করার পর ক্ষণেই জয়ললিতা যে ভাবে তাঁর শপথ অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তাতেও খুশি বিজেপি নেতৃত্ব। সে কারণেই শুধু রবিশঙ্কর প্রসাদ নন, জয়ললিতার এই দিল্লি সফরে বিজেপি-র একাধিক শীর্ষ নেতা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলেও অস্বাভাবিক মনে হবে না। কংগ্রেস, বিজেপি-র মতোই জয়ললিতার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখছেন বামেরাও। তামিলনাড়ুর ভোটে এ বার আন্না দ্রমুক-এর সঙ্গে জোট গড়েছিলেন বামেরা। ভোটের পর প্রকাশ কারাট নিজে গিয়ে জয়ললিতার সঙ্গে দেখা করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তা ছাড়া, টু-জি স্পেকট্রাম প্রশ্নে বামেরা সংসদে যে ১১ দলের জোট গড়ে তুলেছিলেন তারও অন্যতম শরিক জয়ললিতার দল। এ দিন অবশ্য দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের জন্য সিপিএম শীর্ষ নেতৃত্বের বিশেষ কেউ দিল্লিতে ছিলেন না। সিপিআইয়ের ডি রাজা দেখা করেন তাঁর সঙ্গে।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, কংগ্রেস, বিজেপি, বাম সকলের সঙ্গে দেখা করেও জয়ললিতা কিন্তু তাঁর নিজের রাজনৈতিক তাস লুকিয়েই রাখলেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে বলা হচ্ছে, আম্মাও বুঝতে পারছেন ২০১৪ লোকসভা ভোটের আগে তাঁর কদর আরও বাড়বে। আপাতত কাল প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে রাজ্যের বিষয়আশয় নিয়ে আলোচনা করেই তামিলনাড়ু ফিরে যাবেন জয়ললিতা। |
|
|
|
|
|