|
|
|
|
বলছে রিপোর্ট |
খুন, কিন্তু ধর্ষিতা নয় লখিমপুরের কিশোরী |
সংবাদসংস্থা • লখনউ |
প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টের বয়ান ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল দ্বিতীয় রিপোর্টে। গলায় ফাঁস লাগিয়ে ‘আত্মহত্যা’ হয়ে গেল ‘খুন’!
উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর জেলায় ১৪ বছরের সোনমের মৃত্যু মামলায় নয়া মোড়। প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছিল গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে সোনম। ধর্ষণ করা হয়নি তাকে। কিন্তু রিপোর্টে সন্তুষ্ট হতে পারেনি তার পরিবার। বিরোধীদের চাপের মুখে পড়ে দ্বিতীয় বার সোনমের দেহের ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দেয় মায়াবতী সরকার। কবর থেকে তুলে আনা হয় সোনমের দেহ। এ দিন লখনউয়ের চিকিৎসকরা তার দেহ ময়নাতদন্ত করেন। সেই রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ধর্ষণ নয় সোনমকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। সিআইডি ক্রাইম ব্রাঞ্চকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনও। লখনউয়ের ডিভিশনাল কমিশনার প্রশান্ত ত্রিবেদী জানান, আগের ময়নাতদন্ত যে তিন চিকিৎসক করেছিলেন, তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রমাণ নষ্টের অভিযোগে নিগাসান থানার এক সাব ইনস্পেক্টর ও দুই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে এফআইআর-ও দায়ের হয়েছে। রাজ্য পুলিশের স্পেশাল ডিজি ব্রিজ লাল বলেন, ‘জেলার এসপি ডি কে রাইকেও তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ গ্রেফতার করা হয়েছে রামচন্দ্র কুমার নামে এক কনস্টেবলকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় লখিমপুর জেলার নিগাসান থানা চত্বরে একটি গাছে ঝুলতে দেখা যায় সোনমের দেহ। বাবা ইনতেজাম আলি ও মা তারান্নুমের অভিযোগ, থানার পুলিশ কর্মীরা তাকে ধর্ষণ করে খুন করেছে। তারানুম্ম বলেন, “থানার অফিসার-ইন-চার্জ পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে বলেছিল।”
স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় মায়াবতী সরকারের কড়া সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানায় তারা। উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান রীতা বহুগুণা জোশীর অভিযোগ, “সিআইডি ক্রাইম ব্রাঞ্চকে তদন্তের ভার দিয়ে মামলাটিকে ধামাচাপা দিতে চাইছে সরকার। আসলে সরকার সময় কেনার চেষ্টা করছে।” এই ঘটনায় ১১ জন পুলিশ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বহুগুণা বলেন, “বরখাস্ত কোনও শাস্তি নয়। খুনের মামলা শুরু করে ওই পুলিশ কর্মীদের জেলে পাঠানো উচিত।” দিল্লিতে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ বলেন, “উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। এখন থানার মধ্যেই খুন হচ্ছে।” এই ঘটনার তদন্ত করছে জাতীয় মহিলা কমিশনও। তারা রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট দেবে। এ দিন ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে ইলাহাবাদ হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছে লখনউয়ের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। |
|
|
|
|
|