খাস মহাকরণ এবং টালা জলাধার সোমবার গুরুত্বপূর্ণ এই দুই জায়গাই পড়ল বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের কবলে। সিইএসসি-র অবশ্য দাবি, মহাকরণের বিপর্যয়ের জন্য তারা দায়ী নয়। অন্য দিকে, টালায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় এ দিন বিকেলে জল সরবরাহ শুরু হতে বেশ খানিকটা দেরি হয়।
মহাকরণ সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে আচমকা সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। পূর্ব দিকে এক নম্বর গেটের লাগোয়া লিফ্ট আটকে পড়ে দোতলা ও তিনতলার মাঝে। সে সময়ে লিফ্টে চার জন ছিলেন। তাঁরা চিৎকার শুরু করেন। মহাকরণে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার বিশ্বনাথ পাণ্ডে বলেন, “আমরা সঙ্গে সঙ্গে লালবাজারে খবর পাঠাই। সেখান থেকে আসেন বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের দশ জন কর্মী। পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু হতেই অবশ্য বিদ্যুৎ সংযোগ চলে আসে।”
মহাকরণ সূত্রের খবর, তখন সেখানে মন্ত্রীরা ছিলেন না। বিভিন্ন দফতরে কর্মী-সংখ্যাও ছিল সামান্য। মিনিট পনেরো পর থেকে পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরে আসে। পৌনে ১১টা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সিইএসসি-র ভাইস প্রেসিডেন্ট অনিরুদ্ধ বসু বলেন, “আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ ঠিকই ছিল। মহাকরণের অভ্যন্তরীণ কোনও গোলমালের জন্য এই ঘটনা ঘটে। তবে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই।” পূর্ত দফতরের বক্তব্য, রবিবার মহাকরণে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত কিছু কাজ হয়েছিল। তাই এ দিন বিদ্যুৎ সংযোগ সাময়িক ভাবে ছিন্ন হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এ দিন মহাকরণের দোতলায় মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের লাগোয়া বারান্দায় মিটার-বক্স থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। দমকল আসার আগেই অবশ্য পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে।
অন্য দিকে, টালায় ৩৩ কেভি-র ফিডার ‘ট্রিপ’ করে যাওয়ায় ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুৎ সংযোগ। ঘটনাটি ঘটে বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ। কলকাতা পুরসভার চিফ ইঞ্জিনিয়ার বিভাস মাইতি বলেন, “ঠিক তখনই জল সরবরাহ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার পরে সাড়ে চারটে নাগাদ জল সরবরাহ শুরু হয়।”
বিকেলের জল সরবরাহ কেন আধ ঘণ্টা দেরিতে শুরু হল, তা অধিকাংশ এলাকার বাসিন্দারাই বুঝতে পারেননি। কয়েকটি কলোনি এলাকায় বাসিন্দাদের একাংশ উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। বিভাসবাবু বলেন, “এ নিয়ে সমস্যা হয়নি। কারণ বিকেলে আধ ঘণ্টা বেশি সময় জল সরবরাহ করা হয়েছে।”
সিইএসসি-র বক্তব্য, যান্ত্রিক গোলযোগের জন্যই এই ঘটনা। তবে, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা থাকায় দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। |