নিশ্চিত ফরেন্সিক
দু’টি নোটের লেখা খোদ মোস্তাফারই
কিড স্ট্রিটের এমএলএ হস্টেলে সিপিএম বিধায়ক মোস্তাফা বিন কাশেমের ঘরে পাওয়া দু’টি নোট তাঁর নিজেরই হাতে লেখা বলে জানিয়েছে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) দময়ন্তী সেন সোমবার জানান, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট থেকেই এ কথা জানা গিয়েছে। ফলে ওই দু’টি চিরকুটকে এখন ‘সুইসাইড নোট’ হিসেবেই দেখছে পুলিশ।
গত ২৯ মে এমএলএ হস্টেলের নতুন সাততলা আবাসনের পাঁচতলার বারান্দা থেকে পড়ে মারা যান বসিরহাট উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক মোস্তাফা। পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, বিধায়ক আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর ঘর থেকে দু’টি চিরকুট উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু দু’টি চিরকুটের কোনওটিতেই মোস্তাফার সই ছিল না। তাই পুলিশি পরিভাষায় সেগুলিকে ‘সুইসাইড নোট’ বলা যাচ্ছিল না।
একটি চিরকুটে উত্তর ২৪ পরগনার চার সিপিএম নেতার নামের উল্লেখ ছিল। তাঁরা হলেন অমিতাভ বসু, গৌতম দেব, অমিতাভ নন্দী ও তড়িৎ তোপদার। লেটারহেডে লেখা একটি নোটের শেষ বাক্যে ওই চার নেতার নাম করে বোঝাতে চাওয়া হয়, মোস্তাফার শরীর সুস্থ না-থাকা সত্ত্বেও তাঁরা জোর করে তাঁকে এ বার বিধানসভার ভোটে প্রার্থী করেছিলেন। গত ৪ জুন মোস্তাফার স্ত্রী ও ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে। তবে ওই অভিযোগে নির্দিষ্ট কারও নামের উল্লেখ করা হয়নি।
এ দিকে, নোটের হাতের লেখা মোস্তাফার কি না, তা যাচাই করতে বিধানসভার মহাফেজখানা থেকে তাঁর সই করা কিছু কাগজ এবং বাড়ি থেকে একাধিক ডায়েরি সংগ্রহ করে পুলিশ। পুলিশি সূত্রের খবর, ওই লেখাগুলির সঙ্গে এমএলএ হস্টেলে মোস্তাফার ঘরে পাওয়া চিরকুট দু’টির হাতের লেখা মিলে গিয়েছে বলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন।

নয়া বিচারপতি পাচ্ছে হাইকোর্ট
কয়েক দিনের মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন আইনজীবী জয়মাল্য বাগচি। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে হাইকোর্টকে এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার থেকে আর আইনজীবীর কাজ করতে পারবেন না তিনি। কিছু পদ্ধতিগত কাজ শেষ করার পরেই শপথের দিন স্থির হবে। কলকাতা হাইকোর্ট এর আগেও বেশ কয়েক বার বিচারপতি হিসেবে জয়মাল্যবাবুর নাম সুপারিশ করেছিল। কিন্তু বয়স কম হওয়ায় শীর্ষ আদালত এত দিন তাঁকে নির্বাচিত করেনি। ফৌজদারি মামলায় যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দেন জয়মাল্যবাবু। তসলিমা নাসরিনের আত্মজীবনীমূলক রচনা ‘দ্বিখণ্ডিত’কে রাজ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। হাইকোর্টে মামলাও হয়। জয়মাল্যবাবু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পক্ষে সওয়াল করেন। তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, রাজ্য সরকার ওই গ্রন্থকে নিষিদ্ধ করতে পারে না।
Previous Story Calcutta First Page


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.