ফরেন্সিকের দল যায়নি জয়ন্তীতে
ডুয়ার্সের জয়ন্তী বনবাংলো পুড়ে যাওয়ার ঘটনার তিন দিন পরেও তদন্ত শুরু না-হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে বনকর্মী মহলে। শুক্রবার গভীর রাতে এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকার ওই বনবাংলো পুড়ে যায়। কী ভাবে ওই বনবাংলোয় আগুন লাগল সেটা খতিয়ে দেখতে পুলিশ ফরেন্সিক বিভাগের সাহায্য চেয়েছে। কিন্তু ফরেন্সিক বিভাগের কর্মীরা এখনও ঘটনাস্থলে পৌঁছননি। বর্ষার মরসুমে যে কোনও সময়ে জোর বৃষ্টি নামার সম্ভাবনা। তেমন হলে বৃষ্টির জলে সমস্ত প্রমাণ ধুয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বনকর্মীরা। বন এবং দমকলের কর্তারা অবশ্য শর্ট সার্কিটের জেরেই ওই বাংলোয় আগুন লাগে বলে সন্দেহ করছেন। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনুপ জয়সোয়াল বলেন, ১১জুন ফরেন্সিক টিম পেয়ে কলকাতায় খবর পাঠানো হয়। আজও কোনও সদুত্তর মেলেনি। ফের অনুরোধ জানানো হয়েছে।” তাঁর দাবি, প্রাথমিক তদন্তে অন্তর্ঘাতের প্রমাণ না-মিললেও প্রকৃত ঘটনা জানার জন্যই ফরেনসিক দলকে ডাকা হচ্ছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট সার্বিস এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের উত্তরবঙ্গের চেয়ারম্যান নবেন্দু কর বলেন, “জয়ন্তীর ওই বনবাংলো তৈরির সময়ে ইলেকট্রিক ওয়্যারিংয়ের জন্য দামী তামার তার ব্যবহার করা হয়। অগ্নিকাণ্ডের দিন, শুক্রবার রাতে বনবাংলোর সমস্ত ইলেকট্রিক সুইচ বন্ধ করা ছিল। সুতরাং সর্টসার্কিটে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে বনকর্তারা দাবি করলেও আমাদের সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। ঘটনার তিনদিন পরেও কেন ফরেনসিক টিম তদন্তে নামেনি সেটাও স্পষ্ট নয়।” দমকল বিভাগের উপ অধিকর্তা উদয়নারায়ণ অধিকারী জানান, জয়ন্তী বনবাংলোয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে দফতরের ডিরেক্টর জেনারেলের কাছে প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হচ্ছে ঘটনাস্থলে তাঁরা পৌঁছানোর পরে দেখেন বাংলোর ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। ফলে কোন দিক থেকে, কী ভাবে আগুন লেগেছে সেটা তাঁদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়। স্থানীয় বাসিন্দারা কলিং বেল বাজার যে ঘটনাটি দমকল কর্মীদের জানিয়েছেন, সেটিও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ওই রিপোর্টেও আগুন লাগাতার প্রাথমিক কারণ হিসাবে শর্ট সার্কিট বলেই উল্লেখ করা হচ্ছে। উদয়নারায়ণবাবু বলেন, “ফরেন্সিক দল দেরিতে এলে বৃষ্টিতে তথ্য ধুয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েইছে।” বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপ ক্ষেত্র অধিকর্তা ভাস্কর জে ভি বলেন, “প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে অন্তর্ঘাতের সম্ভবনা মেলেনি। ফরেনসিক টিমের রিপোর্ট পেলে অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।” বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধিকর্তা রবীন্দ্রপাল সাইনি মহাকরণে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, “প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে সর্টসার্কিটের কথাই বলা হয়েছে। তবে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। তদন্ত শেষে সমস্ত স্পষ্ট হবে।”
Previous Story Business Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.