ভর্তির ফর্ম ও পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড দেওয়াকে কেন্দ্র করে এসএফআই এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সদস্য-সমর্থকদের মধ্যে গণ্ডগোল বাধল আসানসোলের বিসি কলেজে। সোমবার এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি বেধে যায়। ভাঙচুর করা হয় ছাত্র সংসদ অফিস ও ছাত্র সংগঠনের অস্থায়ী শিবিরে। দু’পক্ষেরই কয়েক জন জখম হন। ঘটনার প্রতিবাদে এসএফআই সদস্য-সমর্থকেরা হিরাপুর থানায় বিক্ষোভ দেখান। দলীয় কর্মীদের হেনস্থার |
অভিযোগে অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেয় টিএমসিপি। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এ দিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ কলেজের এসএফআই এবং টিএমসিপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বচসা, তা থেকে মারপিট বেধে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ কলেজে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার্থীদের সোমবার থেকে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হচ্ছিল। ওই সময়ে অফিসের মধ্যে বসেছিলেন এসএফআই নেতৃত্বাধীন বর্তমান ছাত্র সংসদের কয়েক জন প্রতিনিধি। অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার সময়ে অফিস ঘরে ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিদের থাকার ব্যাপারে প্রতিবাদ করে টিএমসিপি-র তরফে তাঁকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এর পরেই তিনি অফিস থেকে ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিদের সরিয়ে দেন বলে জানান অধ্যক্ষ।
ঘটনার সূত্রপাত এর পরেই। টিএমসিপি নেতা পার্থ ঠাকুরের অভিযোগ, “এসএফআইয়ের সমর্থকদের অফিস থেকে বের করে দেওয়ার পরেই ওরা আমাদের উপরে চড়াও হয়। আমাদের মারধর করে। আমাদের অস্থায়ী শিবিরও ভেঙে দেয়।” অন্য দিকে, এসএফআইয়ের পাল্টা অভিযোগ, এ দিন বহু ছাত্রছাত্রী কলেজে নতুন ভর্তি হওয়ার জন্য ফর্ম নিতে এসেছিল। এসএফআইয়ের সদস্য-সমর্থকেরা তাঁদের সাহায্য করছিলেন। সংগঠনের হিরাপুর লোকাল কমিটির সম্পাদক সোমনাথ চৌবে বলেন, “টিএমসিপি হঠাৎ বেশ কিছু বহিরাগতকে নিয়ে এসে আমাদের মারধর করে।” এর প্রতিবাদে এসএফআই এ দিন হিরাপুর থানায় বিক্ষোভ দেখায়।
কলেজের মধ্যে দু’দল ছাত্রের মারামারির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ফর্ম নিতে আসা নতুন ছাত্র-ছাত্রীরা। গৌতমবাবু বলেন, “অশান্তি হচ্ছে শুনে আমি পুলিশকে খবর পাঠাই।” পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পরে অধ্যক্ষ ছাত্র সংসদ অফিসটি দেখতে যান।
|