দলেরই কয়েক জনের বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগ আনলেন তৃণমূল সেবা দলের তিন জন। সোমবার পাণ্ডবেশ্বরে তৃণমূল সেবা দলের বর্ধমান জেলা (শিল্পাঞ্চল) কমিটির সহ সভাপতি-সহ তিন জনকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সেবা দলের জেলা সহ সভাপতি অজয় গড়াই জানান, এ দিন তাঁরা ৪ জন কেন্দা এলাকায় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যান। বেলা ১২টা নাগাদ পাণ্ডবেশ্বর ব্লক তৃণমূলের জনা কুড়ি দুষ্কৃতী তাঁদের উপরে চড়াও হয়। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাঁকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে জানান তিনি। তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। সেই সময়ে চায়ের দোকানের সামনে সেবা দলের অপর দুই কর্মী সালামত মিঞা ও মনসুর মিঞাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এ দিকে মনসুর মিঞা পাণ্ডবেশ্বর থানায় দায়ের করা অভিযোগ পত্রে জানান, ব্লক সভাপতি নরেন চক্রবর্তীর নির্দেশেই তাঁদের এ ভাবে মারধর করা হয়েছে। তাঁরা দলের উচ্চ স্তরে বিষয়টি জানাবেন। পুলিশ জানিয়েছে, প্রহৃত তিন জনই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। |
ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে রেলের চাকরিতে যোগ দিতে এসে ধরা পড়লেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডাল-সাঁইথিয়া লাইনের কাজোড়া রেল স্টেশনে। কাজোড়ার স্টেশন মাস্টার চন্দ্রশেখর প্রসাদ জানান, বিহারের লক্ষ্মীসরাই জেলার বরইটোলা গ্রামের বাসিন্দা মনোহর মাহাতো নামে এক যুবক সোমবার সকালে স্টেশনে চতুর্থ শ্রেণির একটি নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে আসেন। কাগজপত্র দেখে তাঁর সন্দেহ হওয়ায় সেগুলো পরীক্ষা করতেই বুঝতে পারেন তিনি। এর পর মনোহরবাবুকে রেল পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মনোহরবাবু বলেন, “বছর খানেক আগে পটনায় রেলের চতুর্থ শ্রেণির জন্য পরীক্ষা দিতে গিয়ে প্রেমকুমার সিংহ নামে এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয়। তাঁর কথা মতো তাঁকে ২ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। চলতি বছরের ২০মে এই নিয়োগপত্রটি দিয়ে যান তিনি। সেখানে কাজোড়া স্টেশনে আমার নিয়োগের দিন ১৩ জুন উল্লেখ করা রয়েছে। সেই মতোই আজ কাজে যোগ দিতে আসি।” রেল পুলিশ জানিয়েছে, একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার ধৃতকে দুর্গাপুর আদালতে তোলা হবে। |
সংঘর্ষের পরের দিনও থমথমে বুদবুদ থানার দেবশালা, পদুমা, নিমটিকুড়ি গ্রাম। সোমবারও ওই সব গ্রামে পুলিশি টহল চলেছে। রবিবার পদুমা গ্রামে তৃণমূলের তিন জনকে মারধর ও বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে সিপিএমের বিরুদ্ধে। আবার দেবশালা গ্রামে তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা সিপিএমের তিন জনের বাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। এর পরে এ দিন আক্রান্ত দলীয় কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে যান সিপিএম নেতা তথা দলের জেলা সম্পাদক অমল হালদার, বোলপুরের সাংসদ রামচন্দ্র ডোম, কাঁকসার জোনাল সম্পাদক বীরেশ্বর মণ্ডল প্রমুখ। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তাঁরা। এসডিপিও জয় বিশ্বাস জানান, এলাকায় পুলিশি প্রহরা রয়েছে, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। |