অজমের শরিফ থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল কলকাতার এক তীর্থযাত্রীর। আহত হয়েছেন পাঁচ জন। রবিবার ভোরে তাঁদের বাসটি ফিরোজাবাদের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরির পিছনে ধাক্কা মারে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতের নাম আব্দুল হালিম (৫০)। তাঁর বাড়ি খিদিরপুরের কার্ল মার্ক্স সরণিতে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটির এক যাত্রী জানান, চালকের পাশে বসে ছিলেন হালিম। ফিরোজাবাদের সরসারগঞ্জে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল একটি লরি। ভোর ৩টে নাগাদ তার পিছনে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে বাসটি। মাথায় গুরুতর আঘাত পান হালিম। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাসের আহত পাঁচ জনের মধ্যে চালকও আছেন। সকলকেই ফিরোজাবাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সন্ধ্যায় জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্য সরকার মৃতের দেহ দ্রুত কলকাতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেছে। ময়না-তদন্তের পরে হালিমের দেহ নিয়ে তাঁর পরিজনেরা বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। খিদিরপুরে হালিমদের প্রতিবেশী বাবলু করিম জানান, দিন দশেক আগে গার্ডেনরিচ, মেটিয়াবুরুজ, হেস্টিংস এলাকার অন্তত ৬০ জন বাসিন্দা বাসে অজমের শরিফ যান। আজ, সোমবারেই ফেরার কথা ছিল তাঁদের। বাসের ব্যবস্থা করেছিলেন হালিমই। আহত পাঁচ জনকে দ্রুত কলকাতায় আনার জন্য রাজ্য সরকার বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।
|
শ্রীনগর থেকে পহেলগাম যাওয়ার পথে দু’টি গাড়ি পিছলে নদীতে পড়ে গেলে মৃত্যু হয়েছে দুই ব্যক্তির। ওই দু’টি গাড়ির আরও তিন জন যাত্রীর এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁদের জীবিত থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। গাড়িতে প্রায় ১২ ঘণ্টা আটকে থাকার পর উদ্ধার করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে। তাঁর নাম সাজাদ আহমেদ লঙ্কর। তিনি শ্রীনগরের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
শ্রীনগর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে নুয়ানের কাছে গত কাল প্রবল রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃত ওই দুই ব্যক্তির নাম মুদাসির আহমেদ শাহ এবং ইয়াসির ফারুক। দু’জনেরই বাড়ি শ্রীনগরে। প্রবল বৃষ্টি এবং দৃশ্যমানতা কম থাকার জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। এক উদ্ধারকারীর কথায়, “নদীর প্রবল স্রোতে ওই তিন জন ভেসে গিয়ে থাকতে পারেন বলেই মনে হচ্ছে।” কাশ্মীরের ডিভিশনাল কমিশনার উদ্ধার কার্যে সেনাবাহিনীর সাহায্য চেয়েছেন। বাকি তিন জনের খোঁজে হেলিকপ্টার কাজে লাগানোর জন্যও বায়ু সেনাকে অনুরোধ করা হয়েছে। গভীর বৃষ্টিপাতের জন্য উদ্ধার কার্য ব্যহত হচ্ছে।
|
বিহারের অরবল জেলায় ধরা পড়ল এক সন্দেহভাজন মাওবাদী। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনোজ কুমার জাানন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাল রাতে পুলিশ জেলার চৌহের গ্রামে অভিযান চালায়। সেখানে রাজেশ কুমার নামে এক ব্যক্তিকে মাওবাদী সন্দেহে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৩টি রাইফেল, ১টি পিস্তল উদ্ধার হয়েছে।
|
ফারবিশগঞ্জের গুলি চালনার ঘটনায় সরকারের কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাল বিহারের তিনটি মুসলিম সংগঠন। ইমারত শরিহার প্রধান আনিসুর রহমান কাসমি আজ বলেছেন, “আমরা চাই দোষী পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া ব্যবস্থা নিক রাজ্য সরকার।” মুসলিম সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে অবিলম্বে আরারিয়ার পুলিশ সুপার গরিমা মালিককে সাসপেন্ড করার দাবি জানানোর পাশাপাশি বলা হয়েছে, জেলার পুলিশ ওখানকার প্রায় তিন হাজার বাসিন্দার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। অবিলম্বে বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে মুসলিম সংগঠনগুলি। উল্লেখ্য, ৩ জুন একটি গ্লুকোজ সংস্থার রাস্তা তৈরিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় আরারিয়ার ফারবিশগঞ্জে। গোলমালের জেরে পুলিশ গুলি চালায়।
|
স্কুল চালানো বাবদ রাজ্য সরকার মাসে মাসে অনুদান দেয়, অথচ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার মাত্র ১ শতাংশ! মেঘালয়ে, দশম শ্রেণির ফল প্রকাশের পরে গারো পাহাড়ের স্কুলগুলির মন্দ ফলের কারণ খতিয়ে দেখতে শিক্ষামন্ত্রী আমপারিন লিংডো স্কুলগুলিতে যান। স্কুলের হাল দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ মন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অবিলম্বে স্কুলের মান উন্নত না করলে, রাজ্য সরকার অনুদান বন্ধ করে দেবে। রাজ্যের স্কুলগুলিতে অদক্ষ শিক্ষকদের বাড়বাড়ন্ত নিয়েও চিন্তিত আমপারিন। শিক্ষা বিভাগের অফিসার ও কর্মীরা মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানান, জিএনএলএ জঙ্গিদল নিয়ম করে কর্মীদের হুমকি দেয়, তোলা আদায় করে। এ নিয়ে, পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা দেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী। পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে, অবিলম্বে জঙ্গি তোলাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
|
২৬/১১ মামলায় দুই অভিযুক্তের মুক্তির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাল মুম্বই পুলিশ। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রমাণের অভাবে ফাহিম আনসারি ও সাহাবুদ্দিন আহমেদকে মুক্তি দেয় বম্বে হাইকোর্ট। ওই মামলাতেই লস্কর জঙ্গি আজমল আমির কাসভকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশের অভিযোগ, মুম্বইয়ের বিভিন্ন এলাকার মানচিত্র তৈরি করে লস্কর জঙ্গিদের হাতে তুলে দেয় ফাহিম ও সাহাবুদ্দিন। সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা আবেদনে মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, ফাহিম ও সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেশ করা হয়েছিল। তাও তাদের মুক্তি দিয়ে দায়রা আদালত ও হাইকোর্ট ভুল করেছে।
|
সতেরো বছরের জামখোংগাম তাওয়াংকে অপহরণ করেছিল ছয় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। অপহরণের দু’দিন পর ছেলেটির মৃতদেহ মিলল মনিপুরের খাংবারোলে জঙ্গলের ভিতরে। এই ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। |