‘ভিনসেন্ট এক ফ্র্যাঙ্ক করে দেয় রোজ। নিয়মিত এতটা খরচ তার ক্ষমতার বাইরে, তবু ক্রিস্টিনের এই সঙ্গটুকু পেয়েই তো সে আছে। তাছাড়া মেয়েটাকে যে এই অবস্থায় দৈনন্দিন কাপড় কাচার হাত থেকে বাঁচাতে পেরেছে, তার ভালো লাগাটা তো কম কথা নয়।’ ‘ভিনসেন্ট এক ফ্রাঁ করে দেয় রোজ। নিয়মিত এতটা খরচ তার ক্ষমতার বাইরে, তবু ক্রিস্টিনের এই সঙ্গটুকু পেয়েই তো সে বেঁচে আছে। তাছাড়া মেয়েটাকে যে এই অবস্থায় রোজের কাপড় কাচার হাত থেকে বাঁচাতে পেরেছে, তার ভালো লাগাটাও তো কম কথা নয়!’
দুইটিই অনুবাদ, আর্ভিং স্টোনের লাস্ট ফর লাইফ-এর। প্রথমটি নির্মল গঙ্গোপাধ্যায়ের করা, জীবন পিয়াসা নামে প্রকাশিত হইয়াছিল অভ্যুদয় প্রকাশ মন্দির হইতে। দ্বিতীয়টি অজয় চট্টোপাধ্যায়-কৃত,
লাস্ট ফর লাইফ নামে প্রকাশিত দীপায়ন হইতে। অংশ দুইটিই নহে, দ্বিতীয়টির প্রায় প্রতিটি পংক্তি
জীবন পিয়াসা হইতে গৃহীত। দুই-একটি নগণ্য পরিবর্তন অবশ্য হইয়াছে। কিন্তু ভাষার কাঠামো বা বিন্যাস অপরিবর্তিত। অন্যত্রও এই উপায় অবলম্বন করা হইয়াছে। ‘ওষ্ঠ’ ‘ঠোট’ হইয়াছে, দুই চারিটি অব্যয় যুক্ত করিয়া দেওয়া হইয়াছে। ইহাকে রূপান্তর বলিয়াছেন প্রকাশক। আর্ভিং স্টোনের রচনার রূপান্তর হইতে পারে, কিন্তু কার্যত ইহা জীবন পিয়াসার অনুলিখন। নির্মলচন্দ্রের অনুবাদটি দীর্ঘ কাল দুষ্প্রাপ্য, বিস্মৃতও, সেই অবসরে এই প্রায় প্রতিলিপি-সংস্করণটি দিব্য বাজারে চলিতেছে!
পুনশ্চ: বঙ্গসাহিত্যে অনুবাদের ধারায় এই অনুবাদটির স্থান হইবে কি না জানা নাই, তবে কুম্ভিলবৃত্তির ধারায় যে হইবে তাহা নিশ্চিত। |