|
|
|
|
সংস্কৃতি যেখানে যেমন...
|
বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠান |
|
গত ৭ জুন সন্ধায় বিশ্বভারতীর লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে পিয়ানোতে রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুর এবং সঙ্গে সেইসব রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রেক্ষাপট ও গল্পে মন ভরে ওঠে শ্রোতাদের। পিয়ানোতে ১১টি রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজান প্রবাসী সমাজবিজ্ঞানী ইউনিসেফের সঙ্গে জড়িত রশ্মী বসু। তাঁর সঙ্গে প্রতিটি রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রেক্ষাপট ও গল্প সংযোজন করেন বিশিষ্ট চিত্রকর শুভাপ্রসন্ন। ঠাকুরবাড়ি থেকে সংরক্ষিত আসবাব দিয়ে সাজানো হয়েছিল মঞ্চ। দেখে মনে হচ্ছিল আস্ত ঠাকুরবাড়ির বৈঠকখানা উঠে এসেছে লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে। সমগ্র অনুষ্ঠানটির পরিকল্পক রবীন্দ্রভবনের প্রাধিকারিক নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিশ্বভারতীর কর্মিমণ্ডলীর সহায়তায় অনুষ্ঠানটি হয়েছে।
|
পুরুলিয়ার ছৌ |
|
ফের লণ্ডন মাতাতে পাড়ি দিল পুরুলিয়ার ছৌ। আজ, ১১ জুন থেকে ২ জুলাই লণ্ডল ও এডিনবার্গ এই দুই শহরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ১০ জন শিল্পী ছৌ নৃত্যের মাধ্যমে উপস্থাপন করবেন রামায়ন, মহাভারত ও পুরানের বিষয়। লণ্ডনের একটি সাংস্কৃতির সংস্থার আমন্ত্রণে পুরুলিয়া শহরের উপকণ্ঠে ডাবর গ্রামের একটি স্কুলের হয়ে ওই শিল্পীরা বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন, শিল্পীদের পক্ষে সঞ্জয় মাহাতো। দলের প্রশিক্ষক কীরিটি মাহাতো জানিয়েছেন, মহিষাসুর মর্দিনী, তারকাসুর বধ, ত্রিপুরাসুর বধ, কিরাত অর্জুন-সহ রামায়ন, মহাভারত, পুরানের বিভিন্ন পালা উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
|
বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী |
|
গত ৭ জুন কলকাতার তপন থিয়েটার মঞ্চে লাভপুরের বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী আমন্ত্রণমূলক আন্তজেলা পূর্ণাঙ্গ নাটক প্রতিযোগিতায় ‘আলিবাবা’ নাটকটি মঞ্চস্থ করে এল। ওই প্রতিযোগিতা চলবে ১৬ জুন পর্যন্ত। মোট ১০টি নাটক মঞ্চস্থ হবে। বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী গড়ে ওঠে ২০০৭ সালে। ইতিমধ্যে ওই সংস্কৃতি সংস্থাটি বীরভূম জেলা ছাড়াও, রাজ্যে এমন কী মেঘালয়, ঝাড়খণ্ডে নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। আলিবাবা নাটকটি এই নিয়ে আট বার মঞ্চস্থ হল। এ ছাড়া, ‘বোগলে বায়েন’ নাটকটি প্রায় সমগ্র রাজ্যে মোট ৩৩ বার মঞ্চস্থ হয়েছে। এর মধ্যে কলকাতার শিশিরমঞ্চে, সল্টলেক স্টেডিয়ামেও মঞ্চস্থ হয়েছে। সম্প্রতি ওই সংস্থার উদ্যোগে এবং কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের সহায়তায় লাভপুরে ৩ দিনের নাট্য প্রশিক্ষণ শিবির হয়েছে। সেখানে বীরভূমের প্রায় প্রতিটি নাট্য সংস্থার নাট্য কর্মীরাযোগ দিয়েছিলেন।
|
সংক্ষেপে |
• বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে গত রবিবার শান্তিনিকেতনের পিয়ারসনপল্লি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ-সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল স্থানীয় মানব প্রেম ও সেবা সংস্থা। ওই একই দিনে রবীন্দ্র-নজরুল স্মরণ অনুষ্ঠান হয় ভ্রাম্যমান। ওই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল স্থানীয় নৃত্য নিকেতন ড্যান্স স্কুল ও ঋত্বিক অ্যাকাডেমি।
• মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের লোক সাংস্কৃতিক মঞ্চ ‘স্পন্দনের’ উদ্যোগে তিন দিন ব্যাপী একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। শুক্রবার থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সেন্ট্রাল গ্রাউন্ড কমপ্লেক্সে নাটকগুলি মঞ্চস্থ হচ্ছে। এখানে দেশের বিভিন্ন রাজ্যর ৮টি দল অংশগ্রহন করেছে। হিন্দি ও বাংলা ভাষায় তাঁরা নাটক পরিবেশন করছেন। নাটকগুলির বিচারকের ভূমিকায় থাকছেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব নিমু ভৌমিক। সংগঠনের সম্পাদক সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, প্রথম তিনটি দল ছাড়াও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী বাকি দল ও কুশীলবদের পুরস্কার দেওয়া হবে। |
|
• রবীন্দ্র-নজরুল সন্ধ্যার আয়োজন করল বাঁকুড়া পুরসভা। বুধবার সন্ধ্যায় পুরসভার যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি মুক্ত মঞ্চে পুরকর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। নাচ, গান, আবৃত্তি ইত্যাদি হয়। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব অনাদি বসু, বিশিষ্ট চিত্রগ্রাহক অজিত মিশ্র সহ বিশিষ্টজন উপস্থিতি ছিলেন। |
|
|
|
|
|