|
|
|
|
ডাকঘর
|
মদনেশ্বর মন্দির চেনেন |
কান্দি মহকুমার অন্যতম পুরাকীর্তি বড়ঞার মদনেশ্বর মন্দির। প্রতিষ্ঠা লিপি না থাকলেও মন্দিরটির প্রাচীনত্ব নিয়ে সংশয় নেই। মন্দিরটি পোড়ামাটির ইট দিয়ে তৈরি এবং টেরাকোটার কাজে সমৃদ্ধ। স্থানীয় মানুষ সিমেন্ট বালি দিয়ে সংস্কার করতে গিয়ে টেরাকোটার কাজের অধিকাংশই ঢেকে ফেলেছেন। মন্দিরের ভিতরে শিবলিঙ্গ ছাড়াও রয়েছে ধ্যানমগ্ন বুদ্ধদেবের একটি মূর্তি। মূর্তিটির শিল্পরীতিতে অবশ্য গান্ধার, বা মথুরা শিল্পরীতির ছাপ নেই। মূর্তিটি সম্ভবত পাল রাজত্ব কালের সময়ের সৃষ্টি। ইতিহাস স্বীকৃত যে, রাজমহল পাহাড়ের পাথর খোদাই করে পাল সম্রাটরা যে সব ভাস্কয নির্মাণ করিয়েছিলেন সেগুলি বাংলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে রয়েছে। ভৌগলিক বিচারে বড়ঞা থেকে রাজমহল পাহাড়ের দূরত্ব খুব বেশি নয়। বড়ঞার মদনেশ্বর মন্দিরের কাছে কিছু ভাঙা রিলিফ (কাহিনির বর্ণনা-সহ খোদাই করা মূর্তি) আজও বর্তমান। ওই রিলিফের মধ্যে রয়েছে নারী মূর্তি। ভাঙা রিলিফের মধ্যে কোনওটি মনসা হিসাবে, কোনওটি ষষ্ঠী হিসাবে স্থানীয় মানুষের কাছে পূজিত। জনশ্রুতি, এখানে একটি বৌদ্ধস্তূপ ছিল। মুসলমান শাসক, বা সেন সম্রাটদের আমলে ওই স্তূপটি ধ্বংস হয় বলে জনশ্রুতি। বুদ্ধমূর্তিটি ও ভাঙা রিলিফ গুলি ওই স্তূপের ধ্বংসাবশেষ হতে পারে। পরবর্তী সময়ে ধ্যানমগ্ন বুদ্ধমূর্তিটি মন্দিরে শিব লিঙ্গের পাশে স্থান পায়। ওই সব পুরা সম্পদ রক্ষার বিষয়ে পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের ভূমিকা সরকারি নথিতে লেখা থাকলেও বাস্তব কিন্তু বিপরীত।
|
সুভাষ ঘোষ হাজরা, পাঁচথুপি |
|
রিকশার দাপট বহরমপুরে |
|
নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, শহরের উন্নততর আভ্যন্তরীণ পরিবহণ ব্যবস্থা। কিন্তু বহরমপুর শহরের নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্যের ওই দিকটি মারাত্মক ত্রুটিপূর্ণ। ওই শহরের একমাত্র পরিবহণ বলতে তিন চাকার ভাড়া রিকশা। ফলে পুরএলাকার ও পঞ্চায়েত এলাকার রিকশাচালকদের একটি বড় অংশ বহরমপুর শহরের যাত্রীদের চরম হয়রানি করছে। পুরসভার ভাড়ার তালিকা রিকশাচালকরা মানেন না, গন্তব্যস্থলের অনেক আগেই যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে বাদানুবাদ তৈরি করে, সন্ধ্যের পর থেকে স্টেশন ও বাস টার্মিনাস এলাকা অথবা অপেক্ষাকৃত দূরবর্তী অঞ্চল থেকে খাগড়া ও সৈয়দাবাদ এলাকায় রিকশাচালকরা যাত্রী নিয়ে যেতে চায় না। এটা প্রাত্যহিক ঘটনা। ফলে নিত্যদিন রিকশাচালক ও যাত্রাদের মধ্য বচসা লেগেই রয়েছে। ওই সব সমস্যার কারণে বহরমপুর শহরের ‘অটো সার্ভিস’ চালু করবেন বলে বিগতে বছরের শেষ দিকে পুরপ্রধান ঘোষণা করেছিলেন। তার পর প্রায় বছর ঘুরতে চলল। তবু পুরপ্রধান ‘অটো সার্ভিস’ চালু করে একই সঙ্গে তাঁর নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ ও যাত্রীদের সমস্যার সমাধান কোনওটাই করলেন না কোন অজ্ঞাত কারণে? |
কপিল বাগচি, খাগড়া |
|
ভাড়া কত দেব ভাই |
কৃষ্ণনগর ও রানাঘাটের মানুষ রিকশাচালকদের লাগাম ছাড়া দাপটে তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছেন। দু’টি শহরেই স্ট্যান্ডে পুরসভা-নির্দিষ্ট ভাড়ার তালিকা টাঙানো নেই। ফলে সুযোগ বুঝে বিভিন্ন যাত্রীর কাছ থেকে রিকশাচালকরা তাঁদের খেয়াল খুশি মতো ভাড়া দাবি করেন। যাত্রীরা বাধ্য হয়ে ওই ভাড়া দিয়েই গন্তব্যে পৌঁছচ্ছেন। উৎসবের মরসুমে ওই অন্যায্য ভাড়ার কোনও সীমা থাকে না। তখন ভাড়া হয়ে যায় ২-৩ গুণ বেশি। প্রশাসন ও পুরপ্রধানদের কাছে অনুরোধ, রিকশা ভাড়ার তালিকা তৈরি করে তা স্ট্যান্ডে টাঙানোর ব্যবস্থা করুন এবং তালিকা অনুসারে যাতে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হয় সেই ব্যাপারেও নজরদারির ব্যবস্থা করুন। |
নীলাংশু ধর, বাদকুল্লা |
|
|
|
|
|