|
|
|
|
|
|
উত্তর কলকাতা: পাইকপাড়া, ব্যারাকপুর দুর্ভোগ |
বিপজ্জনক স্টপ |
কাজল গুপ্ত |
বাস স্টপ। কিন্তু বাস থামে না। বাস থেকে নেমে রাস্তা পার হতে যাত্রীদের প্রচণ্ড সমস্যা হয়। কারণ, কোনও সিগন্যাল ব্যবস্থা নেই। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, বেশির ভাগ সময়ে ট্রাফিক কর্মীও থাকেন না। এমন অবস্থা বিটি রোডের স্টেট গ্যারাজ বাস স্টপের। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, প্রশাসন এই বিষয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন। |
|
দমদম চিড়িয়ামোড়ের পরে এই বাস স্টপ। এই স্টপের কিছু আগেই চিৎপুর লকগেট উড়ালপুল এসে বিটি রোডে মিশেছে। এখান থেকে একটি রাস্তা নর্দান অ্যাভিনিউতে মিশেছে। এখানে কোনও যাত্রী প্রতীক্ষালয়ও নেই। স্থানীয় বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, রাস্তা পারাপার করতে অনেক সময় লাগে। প্রাণ হাতে করে রাস্তা পারাপার করতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা রমেন সরকার বলেন, “বিচিত্র ট্রাফিক ব্যবস্থা। চিড়িয়ামোড়ে ট্রাফিক কর্মী ও স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা আছে। অথচ এই স্টপে সিগন্যাল নেই। অফিস টাইমে দু’-এক জন ট্রাফিক কর্মীর দেখা পাওয়া গেলেও বাকি সময়ে কাউকে দেখা যায় না।”
কাশীপুরের বাসিন্দা ওমপ্রকাশ সাউ বলেন, “ওই স্টপে ট্রাফিক কর্মী ছাড়া রাস্তা পারাপার করা বিপজ্জনক। কারণ, শ্যামবাজারের দিক থেকে আসা গাড়িগুলি চিৎপুর লকগেট মোড়ের সিগন্যাল পেরিয়ে সোজা চিড়িয়ামোড়ে এসে থামে। ফলে মাঝের এই বাস স্টপের কাছে গাড়ি থামে না।”
শ্যামবাজারের দিক থেকে চিড়িয়ামোড়ের পরেই স্টেট গ্যারাজ স্টপ। সেখান থেকে কাশীপুর টেলিফোন এক্সচেঞ্জের পাশ দিয়ে রাস্তাটি নর্দান অ্যাভিনিউতে মিশেছে। ওই এলাকায় গত কয়েক বছরে অজস্র বহুতল গড়ে উঠেছে। এ ছাড়াও কর্মসূত্রে অসংখ্য মানুষ ওই এলাকায় যাতায়াত করেন। ফলে এই রাস্তায় গাড়ির চাপ থাকে। চিড়িয়ামোড় থেকে সিঁথির মোড়মুখী লেনের গাড়ি চলাচল যখন বন্ধ হয়, তখন কিছু গাড়ি গ্যারাজ স্টপ দিয়ে পাইকপাড়ার দিকে যায়। সে সময় চিড়িয়ামোড় থেকে শ্যামবাজারমুখী লেন খোলা থাকে। এ সময়ে রাস্তা পার হওয়া খুবই বিপজ্জনক। সিঁথির মোড়মুখী লেন খোলা থাকলে রাস্তা পার হওয়া যায় না। বাসিন্দাদের দাবি, ট্রাফিক কর্মী কিংবা স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা ছাড়া রাস্তা পার হওয়া সম্ভব নয়। বাসিন্দাদের আরও দাবি, ওই স্টপে রাস্তা পারাপারের জন্য একটি ফুটওভার ব্রিজ করা হোক। |
|
বাসিন্দাদের অভিযোগ সমর্থন করে ১ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তৃণমূলের তরুণ সাহা বলেন, “ওখানে সত্যিই ভীষণ সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু ওই স্টপের কাছাকাছি কয়েকটি স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল আছে, ফলে আরও একটি সিগন্যাল ব্যবস্থা করা মুশকিল। পাশাপাশি, এখানে মাটির তলা দিয়ে জলের লাইন গিয়েছে। ফলে ফুট ওভারব্রিজ করাও সম্ভব নয়। তবে ট্রাফিক কর্মী রাখা নিয়ে কথা বলব।” কলকাতার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ শুনলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য |
|
|
|
|
|