৩৫ বছর ধরে যোগচর্চা করছেন গণেশবাবু। তাঁর কথায়: “এক দিনের রোজগার হল না। যাতায়াতে ২০০ টাকা খরচ হল। তবু যোগাসন ছেড়ে থাকতে পারি না। আর্থিক পুরস্কার থাকলে ভাল হত।” শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে যোগাসনকে ভালবেসেছেন পঞ্চাননতলার স্বপ্না পাল, সালকিয়ার মন্দিরা রায়রা। পাঁচ বার অস্ত্রোপচার হয়েছে মন্দিরাদেবীর। তিনি বললেন, “এই প্রথম প্রতিযোগিতায় নামলাম।” আয়োজক সংস্থার সম্পাদক চন্দ্রনাথ রাম বললেন, “বর্তমান প্রজন্মকে আরও বেশি করে যোগাসনে আকৃষ্ট করতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি।”
হাওড়া, কলকাতার সঙ্গে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, হুগলি, বীরভূম, বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে প্রতিযোগীরা অংশ নেন। ৯ থেকে ১২ বছর বিভাগের সেরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির অর্ণব দাস মিস্টার যোগবেঙ্গল হয়। মিস যোগবেঙ্গলের পুরস্কার পায় ১২ থেকে ১৬ বছর বিভাগের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কলকাতার অঞ্জলি চৌধুরী। প্রাক্তন বিচারপতি সুশান্ত চট্টোপাধ্যায়, গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী চিদরূপানন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পুরস্কার প্রদানের আগে বডি বিল্ডিংয়ে জুনিয়র বেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন মেদিনীপুরের নির্মল খাড়া ও ওই জেলারই জেলা চ্যাম্পিয়ন লক্ষ্মীকান্ত আদক দেহসৌষ্ঠব প্রদর্শন করে দর্শকদের নজর কেড়ে নেন। |