খেলা
জমাটি যোগ
কাল সাতটায় তাঁত বুনতে বসেন। ওঠেন সন্ধ্যা ছ’টায়। কাজ কামাই করে নদিয়ার শান্তিপুর থেকে শরৎ সদনে এসেছেন সারা বাংলা যোগাসন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এসেছেন গণেশ সরকার। ইন্টার্যাক্ট ক্লাব অফ হাওড়া যোগ হেল্থ কেয়ার এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। প্রায় ৪০০ জন প্রতিযোগী নেন।
বিশ্বশ্রী মনোতোষ রায়ের স্মরণে আয়োজিত চতুর্দশ যোগাসন প্রতিযোগিতায় ৬-ঊর্ধ্ব থেকে ৩০-ঊর্ধ্ব পুরুষ ও মহিলা বিভাগে ৬টি করে মোট ১২টি বিভাগে প্রতিযোগিতা হয়। বিভিন্ন বিভাগের সেরাদের নিয়ে হয় মিস্টার ও মিস যোগবেঙ্গলের লড়াই। দক্ষিণ কলকাতার দিয়া ধারা, বালির দেবাঞ্জন চৌধুরীদের মতো খুদেদের পাশাপাশি নজর কেড়েছেন হাওড়ার দীপঙ্কর ঘোষ, সুতপা মাইতি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মিলন মণ্ডল, উত্তর ২৪ পরগনার মিনা দাসরা।
৩৫ বছর ধরে যোগচর্চা করছেন গণেশবাবু। তাঁর কথায়: “এক দিনের রোজগার হল না। যাতায়াতে ২০০ টাকা খরচ হল। তবু যোগাসন ছেড়ে থাকতে পারি না। আর্থিক পুরস্কার থাকলে ভাল হত।” শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে যোগাসনকে ভালবেসেছেন পঞ্চাননতলার স্বপ্না পাল, সালকিয়ার মন্দিরা রায়রা। পাঁচ বার অস্ত্রোপচার হয়েছে মন্দিরাদেবীর। তিনি বললেন, “এই প্রথম প্রতিযোগিতায় নামলাম।” আয়োজক সংস্থার সম্পাদক চন্দ্রনাথ রাম বললেন, “বর্তমান প্রজন্মকে আরও বেশি করে যোগাসনে আকৃষ্ট করতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি।”
হাওড়া, কলকাতার সঙ্গে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, হুগলি, বীরভূম, বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে প্রতিযোগীরা অংশ নেন। ৯ থেকে ১২ বছর বিভাগের সেরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির অর্ণব দাস মিস্টার যোগবেঙ্গল হয়। মিস যোগবেঙ্গলের পুরস্কার পায় ১২ থেকে ১৬ বছর বিভাগের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কলকাতার অঞ্জলি চৌধুরী। প্রাক্তন বিচারপতি সুশান্ত চট্টোপাধ্যায়, গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী চিদরূপানন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পুরস্কার প্রদানের আগে বডি বিল্ডিংয়ে জুনিয়র বেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন মেদিনীপুরের নির্মল খাড়া ও ওই জেলারই জেলা চ্যাম্পিয়ন লক্ষ্মীকান্ত আদক দেহসৌষ্ঠব প্রদর্শন করে দর্শকদের নজর কেড়ে নেন।
ছবি রণজিৎ নন্দী
Previous Story

Howrah

Next Item




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.