মণিপুরি নর্তনালয়ের উদ্যোগে ‘রবীন্দ্র সমারোহ’ শীর্ষক দু’ দিনের অনুষ্ঠানের প্রথম দিনের সূচনা হয় অসীমবন্ধু ভট্টাচার্য ও বিম্বাবতী দেবী পরিচালিত ‘শাপমোচন’ নৃত্যনাট্যের অনুকরণে ‘প্রভু আমার প্রিয় আমার’। নৃত্যনাট্যের মূল ভাবধারাকে অক্ষুণ্ণ রেখে অমিত দাশগুপ্তের নিঁখুত গ্রন্থনা, রবীন্দ্রনাথের কিছু গান ও কবিতার সংযোজন এবং তারানার ব্যবহার যথোপযুক্ত। ফ্ল্যাশব্যাকে ইন্দ্রসভা তুলে ধরার দৃশ্য এবং মণিপুরি ও কত্থক নৃত্যের সংমিশ্রণে ‘আজি দখিন দুয়ার খোলা’ নৃত্যাংশটি প্রশংসনীয়। জয়তী চক্রবর্তী ও শ্রীকান্ত আচার্যের নেপথ্য কণ্ঠ, উত্তীয় জানার আলোকসজ্জা অনুষ্ঠানটির মাধুর্য বাড়িয়েছে। পরবর্তী পর্বে প্রদীপ ভট্টাচার্যের পরিচালনায় বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের আবাসিকরা পরিবেশন করলেন ‘তোতাকাহিনি’। |
দ্বিতীয় দিনে রবীন্দ্রসঙ্গীত ও কবিতার সমন্বয়ে একটি সুন্দর গীতিআলেখ্য পরিবেশন করলেন প্রমিতা মল্লিক, অদিতি মহসিন ও ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। পরের পর্বে রবীন্দ্রনাথের গানের ‘আপন মনের মাধুরী’ নৃত্যের রূপ পরিপূর্ণ করেন কয়েক জন তরুণ শিল্পী। ‘পূজা’ পর্যায়ের গানে, ভরতনাট্যম আঙ্গিকে রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নিরন্তর’ নিখুঁত পরিবেশনা। ‘প্রকৃতি’ পর্যায়ের উপরে রচিত ‘পূর্ণপ্রাণ’ মণিপুরি নর্তনালয়ের শিল্পীদের একটি সমবেত প্রয়াস। কথক নৃত্যে সোহিনি দেবনাথ পরিচালিত ‘হে বন্ধু হে প্রিয়’ পরিবেশনাটিতে রবীন্দ্র-মনস্কতার পরিচয় পাওয়া যায়। কথাকলি নৃত্যশৈলীতে রম্যানী রায় পরিচালিত ‘আনন্দধ্বনি’ দর্শকদের মুগ্ধ করে। |
সম্প্রতি অবন মহলে অনুষ্ঠিত হল ‘বিক্রমশিলা’র নৃত্যানুষ্ঠান। পরিচালনায় ছিলেন শতাব্দী আচার্য। প্রথম পর্বে গৌড়ীয় নৃত্যের আঙ্গিকে ‘গণেশ বন্দনা’, ‘অম্বিকা স্তুতি’ এবং ভরত নাট্যমের আঙ্গিকে ‘পঞ্চাক্ষর স্তোত্রম’ ও ‘সরস্বতী বন্দনা’ পরিবেশন করল সংস্থার ছাত্রছাত্রীরা। দ্বিতীয় পর্বে নৃত্যানুষ্ঠান ‘গানের ওপারে’। রাগসঙ্গীত, লোকসঙ্গীত, পাশ্চাত্য সঙ্গীতের সুরে আধারিত গানগুলির মূল গান ও রূপান্তরিত রবীন্দ্রসঙ্গীতের নৃত্যরূপ পরিবেশিত হয় বিভিন্ন আঙ্গিকে। শতাব্দী আচার্যের নৃত্য পরিবেশন নজর কাড়ে। অন্যান্য নৃত্যশিল্পীরা হলেন অনিন্দিতা চক্রবর্তী, প্রতীতি সরকার, লাবণি সরকার প্রমুখ। |