|
|
|
|
রাজারহাট হয়ে গড়িয়া, হবে নতুন রুট |
বিমানবন্দরে মেট্রোপথ যাবে মাটির তলা দিয়ে |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
কলকাতা বিমানবন্দরে মেট্রো রেল ঢুকবে মাটির তলা দিয়ে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এই প্রস্তাব মেনে নিয়েছে মেট্রো রেল।
আগের প্রস্তাব অনুযায়ী বিমানবন্দরে মেট্রো আসার কথা ছিল মাটির উপর দিয়ে। কলকাতা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ প্রকল্পে ইতিমধ্যেই একটি উড়ালপুল রয়েছে। মেট্রোর জন্যও যদি উড়ালপুল হয়, তা হলে সুন্দর করে গড়ে তোলা বিমানবন্দরের সামনের অংশ পুরোপুরি ঢাকা পড়ে যাবে। নতুন বিমানবন্দরের সৌন্দর্যের কথা মাথায় রেখেই তা চাননি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মাটির তলা দিয়ে মেট্রো গেলে খরচ আরও ২০০ কোটি টাকা বেড়ে যাবে। মেট্রো সূত্রে খবর, বর্ধিত এই খরচ মেনে নিয়েছে তারা। দমদম স্টেশন থেকে নোয়াপাড়া ঘুরে মেট্রো পৌঁছবে বিমানবন্দরে। সেই মেট্রো চলে যাবে বারাসতে। মেট্রো সূত্রে খবর, গোটা প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছিল ১৩০০ কোটি টাকা। ঠিক হয়েছিল, এখন দমদম-বিমানবন্দর রুটে সেতুর উপর দিয়ে যে রেললাইন রয়েছে, সেই লাইনেই মেট্রো আসবে। কিন্তু বাদ সেধেছিলেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
ঠিক হয়েছে, দমদম থেকে বিমানবন্দরে আসার পথে যশোহর রোডে মেট্রো ঢুকে যাবে মাটির তলায়। মাটির তলা দিয়েই পৌঁছবে বিমানবন্দরে। সেখানকার নতুন টার্মিনাল ছুঁয়ে সেই মেট্রো বারাসতের দিকে যাওয়ার সময়ে যশোহর রোডে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের কাছে মাটির উপরে উঠবে। দমদম-বিমানবন্দর-বারাসত রুটে মেট্রোর এই ১৮ কিলোমিটার পথের মধ্যে বিমানবন্দর ঘিরে মাটির তলায় থাকবে ১.৭ কিলোমিটার পথ। এখন বিমানবন্দর পর্যন্ত সেতুর উপরে যে রেললাইন রয়েছে, সেখানে সারা দিনে কয়েকটি মাত্র ইএমইউ ট্রেন যাতায়াত করে। মেট্রো চালু হয়ে গেলে ৯০০ মিটারের সেই পথ ভেঙে ফেলা হবে।
শুক্রবার বিমানবন্দর পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠক ছিল কলকাতা বিমানবন্দরে। সেখানে কমিটির চেয়ারম্যান সৌগত রায়ের সঙ্গে এসে দেখা করেন মেট্রো রেলের প্রতিনিধিরা। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা বি পি শর্মা এবং রাজারহাটের তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। সেখানে সবিস্তার আলোচনা হয় এই প্রকল্প নিয়ে। মাটির তলা দিয়ে কী ভাবে মেট্রো যাবে, সেই সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও জমা দিয়েছেন মেট্রোর প্রতিনিধিরা। পরে সৌগতবাবু বলেন, “বিমানবন্দর থেকে আরও একটি রুটের কথা ভাবা হয়েছে। সেটি বিমানবন্দর থেকে এসে রাজারহাট ছুঁয়ে গড়িয়া যাবে। তার জন্য খরচ পড়বে প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা। সেই মেট্রোও বিমানবন্দরের ভিতরে মাটির তলা দিয়ে যাতায়াত করবে।” কলকাতা বিমানবন্দর থেকে এই দুই রুটে মেট্রো চালু হয়ে গেলে বিমানযাত্রীরা শহরের যে কোনও প্রান্ত থেকে মেট্রো চেপে পৌঁছে যেতে পারবেন বিমানবন্দরে। অথবা বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে পৌঁছে যেতে পারবেন শহরে।
সৌগতবাবু জানিয়েছেন, শুক্রবারের বৈঠকে মেট্রো ছাড়াও বিমানবন্দরের চারপাশে আবর্জনা পরিষ্কার, জল জমা, দালাল-চক্র, প্রি-পেড ট্যাক্সি এবং কেষ্টপুরের কাছে উড়ালপুল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কৈখালির কাছে রাস্তা পেরোনোর জন্য একটি ফুটব্রিজ তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে পূর্ত দফতরকে। সৌগতবাবু জানিয়েছেন, ওই ফুটব্রিজ তৈরি হয়ে গেলে বিমানবন্দরমুখী গাড়ি আরও বেশি গতিতে চলতে পারবে।
বিমানবন্দরের অধিকর্তা বি পি শর্মা জানিয়েছেন, যানজট কমাতে কলকাতা বিমানবন্দরে ঢোকার পরে যে সমস্ত গাড়ি যশোহর রোডের দিকে বেরিয়ে যায়, তার জন্য আলাদা একটি স্লিপ-রোডও তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে বিমানবন্দরের গাড়িগুলির গতি শ্লথ হবে না। |
|
|
|
|
|