|
|
|
|
যুবকের চেষ্টায় রেললাইন থেকে উদ্ধার শিশুকন্যা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
রেল লাইনের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকন্যাকে উদ্ধার করলেন দুই যুবক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা। রামপুরহাট স্টেশন চত্বরে ঘোরাঘুরি করছিলেন রামপুরহাট ১ ব্লক যুব কংগ্রেস নেতা তথা স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রেকিব ও তাঁর সঙ্গী পেশায় অটোচালক তাজু শেখ। হঠাৎ তাঁদের কাছে খবর আসে রেললাইনের মাঝে বাচ্চাটি দাঁড়িয়ে কান্নাকাটি করছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁরা দেখেন, শিশুটি যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল তার কিছুটা দূরে ওই লাইন দিয়ে একটি মালগাড়ি আসছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা দৌড়ে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। |
|
উদ্ধারকারীর সঙ্গে ফুচু। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম। |
ওই দুই যুবক প্রথমে শিশুটিকে বিস্কুট খাইয়ে নিজেদের হেফাজতে রেখে স্টেশন ম্যানেজারের কাছে নিয়ে যান। আব্দুর রেকিবের কথায়, “শিশুটির অবস্থা দেখে আমরাও চিন্তিত হয়ে পড়ি। রেললাইনে কাজ করা কয়েক জন শ্রমিক আমাদের খবর দিয়েছিলেন, রেললাইনে একটি শিশু কাঁদছে। যে ভাবে দাঁড়িয়ে ছিল, মিনিট পাঁচেক দেরি হলে মালগাড়িতে কাটা পড়ত শিশুটি। তাকে উদ্ধার করে নাম, ঠিকানা, বাবার নাম জিজ্ঞাসা করি। নাম বলতে পারলেও বাড়ি কোথায় বলতে পারেনি। তখন স্টেশন ম্যানেজারের কাছে এসে মাইকে ঘোষণা করি।” তিনি জানান, দুপুর ১টা নাগাদ উদ্ধার হওয়া শিশু ফুচু লেটের মামা রামপুরহাটের রামরামপুরের বাসিন্দা কেশব মণ্ডল তাঁদের কাছে আসেন। জানা যায়, তার বাড়ি রামপুরহাটের চাকপাড়ায়। সে তার বাবার সঙ্গে মামার বাড়ি যাচ্ছিল। কেশববাবু বলেন, “ভাগ্নি তার বাবার সঙ্গে আমার বাড়িতে আসছিল। স্টেশন চত্বরে কোনও ভাবে সে বাবার সঙ্গছাড়া হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরে মেয়েকে না পেয়ে জামাই আমার বাড়িতে এসে অজ্ঞান হয়ে যান। তখন সাইকেল নিয়ে স্টেশনে আসি এবং ভাগ্নির খোঁজ করি। কিছুক্ষণ করে মাইকে ঘোষণা হওয়ায় ফুচুকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসি।” রেলপুলিশের ইনচার্জ বাবুলাল মণ্ডল বলেন, “শিশুটিকে আমাদের হেফাজতে নিয়ে আসার আগে পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করেছিলেন। তার পরিবারের লোকজন খোঁজ করে পরিচয় দিয়ে তাকে নিয়ে যায়।” |
|
|
|
|
|