টুকরো খবর |
|
কয়লার ভাগ নিয়ে সংঘর্ষ, জখম দুই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জামুড়িয়া |
কয়লার ভাগ নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে জখম হলেন দু’জন। শুক্রবার সকালে জামুড়িয়ার দেশের মোহান গ্রামের এই ঘটনায় জখমদের আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সিপিএমের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এমন ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূল অবশ্য এ ব্যাপারে সিপিএমকেই দায়ী করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকালে বীরকুলটি গ্রামের এক দল বাসিন্দা দেশের মোহান গ্রামে পৌঁছন। তাঁরা দাবি করেন, আগে কয়লা উত্তোলক সংস্থার ফেলে দেওয়া ‘ন্যাচারাল কোল’-এর ভাগ তাঁরা পেতেন। কিন্তু এখন তা পাচ্ছেন না। এ নিয়ে দেশের মোহান গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। ওই গ্রামেরই কয়েক জন বীরকুলটির বাসিন্দাদের দাবিকে সমর্থন জানালে সংঘর্ষ বাধে। শুরু হয় বোমাবাজি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বোমায় জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শেখ করিম ও শেখ জিয়াউদ্দিন নামে দুই বাসিন্দা। সিপিএমের অজয়-জামুড়িয়া জোনাল কমিটির সদস্য মনোজ দত্তের দাবি, “অবৈধ কয়লার ভাগ নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এই ঘটনায় প্রকাশ্যে চলে এল।” তবে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পূর্ণশশী রায়ের পাল্টা দাবি, “ভোটের ফল বেরোনোর পরে চোরেরাও নিজেদের তৃণমূলের লোক বলে দাবি করছে। তবে আসল সত্য হল, এ দিনের গণ্ডগোলে জড়িতরা সিপিএমের লোক। আমাদের কেউ জড়িত নয়।” পুলিশ জানায়, ওই গ্রামে একটা গণ্ডগোল হয়েছিল। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। |
|
মারধরে অভিযুক্ত ৪ কনস্টেবল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাণ্ডবেশ্বর |
এক নকশাল নেতা-সহ তিন জনকে মারধরের অভিযোগ উঠল দুই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডবেশ্বরের কেন্দ্রা গ্রামে। কেন্দ্রা গ্রামের বাসিন্দা সাধন দাস অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ কেন্দ্রা পুলিশ ক্যাম্পের দুই কনস্টেবল বিজয় রাম ও গয়ারাম রায় একটি মদের দোকানে ঢোকেন। সেখানে তাঁরা চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করতে শুরু করেন। সাধনবাবু জানান, চিৎকার শুনে তাঁরা কয়েক জন দোকানে গিয়ে ওই দু’জনকে নিরস্ত করার চেষ্টা করেন। ফল না হওয়ায় কেন্দ্রা ক্যাম্পে ফোন করেন। ক্যাম্পের আধিকারিক বদ্রীনাথ ঘোষ তাঁদের থানায় যেতে বলেন। সাধনবাবুর অভিযোগ, “ক্যাম্পে পৌঁছতেই ওই দু’জন-সহ চার কনস্টেবল আমাদের মারধর শুরু করে। গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করতে ক্যাম্পে জড়ো হলে এক কনস্টেবল আমার বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।” সাধনবাবু জানান, পরে পাণ্ডবেশ্বর থানা থেকে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। পাণ্ডবেশ্বর থানায় সাধনবাবুরা চার কনস্টেবলের নামে অভিযোগ করেন। সাধনবাবু-সহ জখম তিন জনকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওসি রাজর্ষি দত্ত জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। |
|
তিনটি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় মৃত তিন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
বাসের ধাক্কায় শুক্রবার দুপুরে আসানসোল দক্ষিণ থানার গোপালপুরের জিটি রোডে মারা গিয়েছেন এক মোটর সাইকেল আরোহী। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম কিশোর তুরি (৪০)। তাঁর বাড়ি নিউ ঘুষিক এলাকায়। একটি বাসের সঙ্গে তাঁর মোটর সাইকেলের মুখোমুখি ধাক্কায় তিনি গুরুতর জখম হন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার রাতে বারাবনির পাঁচগাছিয়ায় লরির ধাক্কায় মারা গিয়েছেন এক মোটর সাইকেল আরোহী। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম প্রবীর দে (৪১)। |
|
বধূর অপমৃত্যু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে আসানসোল উত্তর থানার পলাশডিহা গ্রামে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বর্ণালী রায় (৩৫)। তাঁর বাবা বাসুদেব সিংহ আসানসোল উত্তর থানায় তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মৃতার শাশুড়ি, কাকা শ্বশুর ও দু’ই জাকে গ্রেফতার করেছে। প্রায় ২০ বছর আগে ওই গ্রামের বাসিন্দা সমরেশ রায়ের সঙ্গে বর্ণালীর বিয়ে হয়। সমরেশ পলাতক। |
|
দুর্ঘটনায় মৃত্যু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জামুড়িয়া |
সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক খনিকর্মীর। বৃহস্পতিবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দু’নম্বর জাতীয় সড়কের বোগড়ার কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রাধেশ্যাম পাসি (৩৫)। তিনি এ দিন সাঁকতোড়িয়া থেকে বাইক নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ে একটি লরির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। |
|
স্মারকলিপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
বীরভূমের স্টেশন মোড় হরিজন বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কমিটির তরফে শুক্রবার আসানসোলের ডিআরএমের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। সিউড়ি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একটি ওভারব্রিজ হওয়ার কথা। ব্রিজটি হলে তাঁদের উচ্ছেদ হওয়ার সম্ভাবনা। আয়ের পথ বন্ধ হতে পারে। |
|
মিড-ডে মিলের চাল লুঠ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জামুড়িয়া |
স্কুলের দরজার তালা ভেঙে মিড-ডে মিলের চাল ও বাসনপত্র চুরি করে পালাল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে জামুড়িয়ার কেন্দুলিয়া গ্রামের পাথরভাঙা নিবারণচন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুমিত চন্দ্র জানান, গ্রীষ্মের ছুটির পরে শুক্রবার স্কুল শুরু হয়। এ দিন তাঁরা স্কুলে এসে দেখেন দরজার তালা ভাঙা। ভিতরে রাখা মিড-ডে মিলের চাল এবং অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি হয়ে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এ দিকে, জামুড়িয়া ব্লক যুব তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য দীনেশ দে দাবি করেন, নতুন সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে সিপিএমের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা এসব কাজ করছে। সিপিএমের অজয়-জামুড়িয়া জোনাল কমিটির সম্পাদক গঙ্গা যাদব বলেন, “এই অভিযোগ মিথ্যা।” |
|
কয়লার ভাগ নিয়ে সংঘর্ষ জামুড়িয়ায়, জখম দুই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জামুড়িয়া |
কয়লার ভাগ নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে জখম হলেন দু’জন। শুক্রবার সকালে জামুড়িয়ার দেশের মোহান গ্রামের এই ঘটনায় জখমদের আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সিপিএমের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এমন ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূল অবশ্য এ ব্যাপারে সিপিএমকেই দায়ী করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকালে বীরকুলটি গ্রামের এক দল বাসিন্দা দেশের মোহান গ্রামে পৌঁছন। তাঁরা দাবি করেন, আগে কয়লা উত্তোলক সংস্থার ফেলে দেওয়া ‘ন্যাচারাল কোল’-এর ভাগ তাঁরা পেতেন। কিন্তু এখন তা পাচ্ছেন না। এ নিয়ে দেশের মোহান গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। ওই গ্রামেরই কয়েক জন বীরকুলটির বাসিন্দাদের দাবিকে সমর্থন জানালে সংঘর্ষ বাধে। শুরু হয় বোমাবাজি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সিপিএমের অজয়-জামুড়িয়া জোনাল কমিটির সদস্য মনোজ দত্তের দাবি, “অবৈধ কয়লার ভাগ নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এই ঘটনায় প্রকাশ্যে চলে এল।” তবে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পূর্ণশশী রায়ের পাল্টা দাবি, “ভোটের ফল বেরোনোর পরে চোরেরাও নিজেদের তৃণমূলের লোক বলে দাবি করছে। তবে আসল সত্য হল, এ দিনের গণ্ডগোলে জড়িতরা সিপিএমের লোক। আমাদের কেউ জড়িত নয়।” পুলিশ জানায়, ওই গ্রামে একটা গণ্ডগোল হয়েছিল। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। |
|
অভিযুক্ত চার কনস্টেবল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাণ্ডবেশ্বর |
এক নকশাল নেতা-সহ তিন জনকে মারধরের অভিযোগ উঠল দুই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডবেশ্বরের কেন্দ্রা গ্রামে। কেন্দ্রা গ্রামের বাসিন্দা, পিসিসিসিপিআই(এমএল)-এর পাণ্ডবেশ্বর লোকাল কমিটির সম্পাদক সাধন দাস অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ কেন্দ্রা পুলিশ ক্যাম্পের দুই কনস্টেবল বিজয় রাম ও গয়ারাম রায় একটি মদের দোকানে ঢোকেন। সেখানে তাঁরা চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করতে শুরু করেন। সাধনবাবু জানান, কেন্দ্রা ক্যাম্পে পৌঁছতেই ওই দু’জন-সহ চার কনস্টেবল তাঁদের মারধর শুরু করে। সাধনবাবু জানান, এর পরে পাণ্ডবেশ্বর থানা থেকে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। পাণ্ডবেশ্বর থানায় সাধনবাবুরা চার কনস্টেবলের নামে অভিযোগ করেন। |
|
টি-২০ ক্রিকেট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
|
আসানসোল রেল স্টেডিয়ামে চলছে সিএবি পরিচালিত টি-টোয়েন্টি। |
সিএবি পরিচালিত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জয়ী হল উত্তর চব্বিশ পরগনা। শুক্রবার আসানসোল রেল স্টেডিয়ামের খেলায় তারা হুগলি রিভার্সকে ৩ উইকেটে হারিয়ে দেয়। প্রথমে ব্যাট করে হুগলি সব ক’টি উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান করে। জবাবে উত্তর চব্বিশ পরগনা ৭ উইকেটে জয়ের রান তুলে নেয়। ৩২ বলে ৫৪ রান করে এ দিনের খেলার সেরা বিজয়ী দলের অভিষেক যাদব। |
|