মিটেও মিটছে না রামদেব-পর্ব। কংগ্রেসের অন্দরে ‘অপারেশন রামদেব’ নিয়ে বিতর্ক থামছেই না! গত রবিবার দল ও সরকারের শীর্ষ নেতাদের ডেকে সনিয়া গাঁধী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, অপারেশন-রামদেব নিয়ে দল ও সরকারের মধ্যে যে মতান্তর তৈরি হয়েছে, তা পাশে সরিয়ে রেখে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সমালোচনায় নামতে হবে। প্রকাশ করে দিতে হবে রামদেবের স্বরূপ। কিন্তু তার পরেও যে সব ঠিক হয়নি, তার প্রমাণ মিলল পরপর দু’দিন। রামদেবের সঙ্গে আলোচনা করতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বিমানবন্দরে যাওয়া নিয়ে গত কাল প্রকাশ্যেই মন্তব্য করেন এআইসিসি-র শীর্ষ নেতা দিগ্বিজয় সিংহ। আবার আজ কংগ্রেসের মুখপত্র ‘সন্দেশ’-এর যে সংস্করণ ছেপে এসেছে, তাতেও সম্পাদক অনিল শাস্ত্রী লিখেছেন, রামদেবের সঙ্গে আলোচনার জন্য চার মন্ত্রীর বিমানবন্দরে যাওয়া উচিত হয়নি। আর এই সব নিয়েই সরকার ও কংগ্রেসের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। শেষ পর্যন্ত স্থির হয়েছে, সম্পাদকীয় থেকে বিমানবন্দর পর্ব কেটে বাদ দিয়ে নতুন করে পত্রিকাটি ছাপা হবে। কিন্তু প্রশ্ন হল, গত কাল দিগ্বিজয় একটি টিভি চ্যানেলে বিমানবন্দর পর্ব সম্পর্কে খেদ প্রকাশ করার পর তাঁকে কিছু বলা হল না, অথচ সন্দেশ পত্রিকা কেন নতুন করে ছাপতে বলা হল? জবাবে কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা আজ জানান, দিগ্বিজয়ের বক্তব্য দলের ‘রেকর্ডে’ থাকবে না। কিন্তু দলীয় মুখপত্রে ছাপা হলে তা ‘রেকর্ড’ হয়ে থেকে যাবে। প্রসঙ্গত, গত শনিবার মধ্যরাতে পুলিশ দিয়ে রামদেবের অনশন তুলে দেওয়ার পর সেই ঘটনার সমালোচনা করেছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রীর পুত্র অনিল শাস্ত্রী। ট্যুইটারে তিনি লিখেছিলেন, পুলিশ দিয়ে অনশন তুলে দেওয়ার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। সনিয়া গাঁধীকে জানিয়ে সরকার এই পদক্ষেপ করেনি। সার্বিক ভাবে এই অবস্থায় কিছুটা বিপাকেই পড়েছেন অনিল। কংগ্রেস সূত্রের খবর, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে হাইকম্যান্ড। |
কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনশন কর্মসূচি নিয়ে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। আন্না হাজারে, প্রশান্ত ভূষণ, স্বামী অগ্নিবেশরা দুর্নীতি ও পুলিশের আচরণের বিরুদ্ধে যে কর্মসূচি নিয়েছেন, এ বার তাকে সমর্থন জানাল সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন বিরোধী গণতান্ত্রিক মঞ্চ। মঞ্চের পক্ষে জেলবন্দি ছত্রধর মাহাতো এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘শান্তিপূর্ণ অনশনের উপর পুলিশি বর্বরতার বিরুদ্ধে সকলেরই সরব হওয়া উচিত। গ্রীন হান্ট অপারেশন থেকে নিরস্ত্র অনশনকারীদের লাঠিপেটা, এ সবই ভারতীয় গণতন্ত্রের চেহারাটা আরও বেশি করে উন্মোচিত করে।’ |