|
|
|
|
পরিস্থিতির উন্নতিতে ফিরছে আধাসেনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²নয়াদিল্লি |
পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে রিপোর্ট পেয়ে ধীরে ধীরে আধাসেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে গত কাল থেকে। বিধানসভা নির্বাচনের জন্য পাঠানো সমস্ত আধাসেনা সরিয়ে নিতে নিতে অবশ্য জুন মাসের পুরোটাই কেটে যাবে। তবে মাওবাদী দমনে নিযুক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহারের কোনও পরিকল্পনা নেই বলেই মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হিসেবে, নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে রাজ্যের প্রায় ২০০ জায়গায় হানা দিয়ে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রায় দেড় হাজার আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হয়েছে বিভিন্ন রকমের ১৪ হাজার রাউন্ড কার্তুজ। এর বেশির ভাগই পাওয়া গিয়েছে জেলায় জেলায় সিপিএমের স্থানীয় অফিসে বা তার অদূরে। বেআইনি অস্ত্র রাখার দায়ে ১৪০ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। কিন্তু আগের তুলনায় পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে বলেই গত সপ্তাহের শেষে রাজ্য থেকে রিপোর্ট এসেছে। তারই সূত্রে ধাপে ধাপে বাহিনী প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত।
ভোট-পর্বের জন্য পশ্চিমবঙ্গে মোট ৭০১ কোম্পানি আধাসেনা পাঠানো হয়েছিল। নিবার্চন শান্তিতে মিটলেও ভোট-পরবর্তী হিংসা রুখতে ১৪৪ কোম্পানি আধাসেনা রাজ্যে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকারই। তাতে সায় দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমও। রাজ্যে প্রতি দিন বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে তিনিও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। পাশাপাশি, এ কথাও জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার পরিস্থিতি নতুন করে পর্যালোচনা না-করা পর্যন্ত আপাতত কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে দেওয়া হবে।
তবে রাজ্য সরকারের পাঠানো সর্বশেষ রিপোর্টের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক মনে করছে, এখন যে সব এলাকায় পরিস্থিতি তুলনামূলক ভাবে ভাল, সেই সব জায়গা থেকে আধাসামরিক বাহিনী সরিয়ে নেওয়া যেতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “একবারে সব আধাসেনা প্রত্যাহার না করে দৈনিক সাত কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নেওয়া হবে। সেই হিসেবে এই মাসের শেষ পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি থাকছে।”
তবে রাজ্যের মাওবাদী অধ্যুষিত তিন জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় মাওবাদী দমন অভিযানের জন্য ৪২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই ওই বাহিনী রাজ্যে রয়েছে। সেই বাহিনী সরানো হচ্ছে না। |
|
|
 |
|
|