|
|
|
|
ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিলে টাস্ক ফোর্স |
সুরজিৎ সিংহ ² সিমলাপাল |
শুধু আমলাশোল নয়, জঙ্গলমহলে বহু গ্রামেই যে আজও গরিবদের হাতে রেশন কার্ড পৌঁছয়নি, মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় এসে সেই অভিজ্ঞতাই হল রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। এখানকার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে তিনি এখনও রেশন কার্ড না পাওয়ার অভিযোগ শুনলেন গ্রামবাসীর মুখে। শুনলেন রেশনের বিলি করা চাল, গমের মান নিয়েও বিস্তর ক্ষোভের কথা। জানালেন, রাজ্যে ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিল করার জন্য এ বার ‘টাস্ক ফোর্স’ গঠন করা হবে। |
 |
গম পরীক্ষা খাদ্যমন্ত্রীর। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার রানিবাঁধে। নিজস্ব চিত্র |
সিমলাপাল ব্লকের মইধরা গ্রামের রেবতী লোহার, আরতি লোহাররা মন্ত্রীকে বাড়িতে পেয়ে অভিযোগ করলেন, “আবেদন জানিয়েও রেশন কার্ড মেলেনি।” জমির কাজ ফেলে দৌড়ে এসে মন্ত্রীকে একই অভিযোগ করেন ওই গ্রামের অজিত লোহার, লক্ষ্মীকান্ত লোহার। জেলা খাদ্য নিয়ামক শঙ্করনারায়ণ বাঁকুড়াকে মন্ত্রীর নির্দেশ, “এক সপ্তাহের মধ্যে এই গ্রামে শিবির করে তফসিলি জাতিভুক্ত যে-সব বাসিন্দার কার্ড নেই, তাঁদের তা দিতে হবে।” বারিকুলের শ্যামসুন্দরপুর একই অভিযোগ পেয়ে জেলা খাদ্য নিয়ামকের সঙ্গে পরামর্শ করে মন্ত্রীর চটজলদি ঘোষণা, “২২ জুন দুপুর ১২টায় এখানে আপনাদের রেশন কার্ড দেওয়া হবে।” সফরে তাঁর পাশে ছিলেন জেলাশাসক মহম্মদ গুলাম আলি আনসারি ও পুলিশ সুপার প্রণব কুমার।
পরে সাংবাদিকদের জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “বাঁকুড়া জেলায় ২৮ হাজার ভুয়ো রেশন কার্ড রয়েছে। সারা রাজ্যে সংখ্যাটা প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ। ভুয়ো কার্ড বাতিল করতে আমরা টাস্কফোর্স গঠন করব। ওয়েবসাইটে রেশনকার্ডের জন্য আবেদন জানানোর সুযোগ এক মাসের মধ্যে চালু করা হবে। ছবি ও বারকোড-সহ নতুন ‘ডিজিটাল’ রেশন কার্ড মাস দেড়েকের মধ্যে চালু হবে।”
এর আগে মন্ত্রী এ দিন সকালে বাঁকুড়ার সার্কিট হাউসে প্রশাসনিক কর্তা ও তাঁর দলের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কিন্তু, সারাদিন তাঁর সঙ্গে গ্রামে গ্রামে বিধায়করা ছাড়াও তাঁদের সঙ্গীরা ঘুরলেন। রেশন দোকানে মন্ত্রী খাতাপত্র যাচাই করার সময়েও তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদেরও সেখানে ঢুকে পড়তে দেখা গিয়েছে। এটা কি দৃষ্টিকটূ নয়? মন্ত্রীর ব্যাখ্যা, “শুধু বিধায়কদেরই সঙ্গে আসতে বলেছিলাম। তবে এই প্রথম বারের সফর। তাই দলের অনেকে উৎসাহিত হয়ে এসেছেন।” |
|
|
 |
|
|