|
|
|
|
রায়নার ভারতের আজ দ্বিতীয় ওয়ান ডে |
গেইলের জন্য হাহুতাশ ক্যারিবিয়ান দলে |
সংবাদসংস্থা ² পোর্ট অব স্পেন |
দুই শিবির। দুই দুশ্চিন্তা।
আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে বুধবার দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তার আগে আলাদা আলাদা চিন্তায় ঢাকা পড়েছে দু’দল। ভারতের চিন্তা যদি হয় ওপেনিং জুটির কাছ থেকে বড় পার্টনারশিপ পাওয়ার অভাব নিয়ে, তা হলে আবার ক্যারিবিয়ান শিবির থেকে আকারে-ইঙ্গিতে উঠছে ক্রিস গেইলকে ফেরানোর আওয়াজ!
বোর্ডের সঙ্গে বিরোধ না মেটায় কুইন্স পার্ক ওভালে এই ম্যাচেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ জার্সি পড়া হচ্ছে না আইপিএল ফোর-এর সেরা ব্যাটসম্যানের। কিন্তু গতকাল প্রথম এক দিনের ম্যাচে হারের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিংয়ের অন্যতম ভরসা রামনরেশ সারওয়ান সাফ জানিয়েছেন, গেইলের অভাব টিম ভাল রকমই টের পাচ্ছে। এবং অদূর ভবিষ্যতে গেইলকে না পাওয়া গেলে যে ভোগান্তি চলবে, তার ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন সারওয়ান। বলেছেন, “সত্যি বলতে কী, গেইলের অভাব আমরা ভাল রকমই টের পাচ্ছি। কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। নির্বাচকরা একটা টিম বেছে নিয়েছেন। আমাদের চেষ্টা করতে হবে ভাল খেলার।”
|
 |
মনোজ-ঋদ্ধির ফুটবল খেলা। দর্শক রায়না। |
উল্টো দিকে ভারতীয় শিবিরে চাপ বাড়ছে মিডল অর্ডারের উপর। কারণ, ওপেনারদের বড় পাটর্নারশিপ গড়ার ব্যর্থতা। একটি টি-টেয়েন্টি আর একটি ওয়ান ডেদু’টো ম্যাচের একটাতেও দাগ কাটতে পারেননি পার্থিব পটেল। অন্য ওপেনার শিখর ধওয়ান সোমবারের ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করলে কী হবে, প্রচুর বল নিয়ে ফেলেছেন। কোনও কোনও বিশেষজ্ঞ এমনও মনে করছেন, আরও গোটা তিরিশ রান বেশি করলে ম্যাচটা জিততেও পারত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তখন জলে যেত রোহিত শর্মার দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি।
রোহিত অবশ্য বলে দিচ্ছেন, চলতি সফরে তিনি জাতীয় দলে নিজের জায়গাটা আরও পোক্ত করে নিতে চান। চান, জাতীয় দলে নিজের হারানো জায়গাটা চিরতরে ফিরে পেতে। গতকাল ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার পর রোহিত বলেছেন, “আমি সব সময় বলে এসেছি, বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পাওয়াটা আমার ব্যক্তিগত হতাশা। কিন্তু আমাকে এগিয়ে যেতে হবে। চলতি সিরিজে নিজেকে প্রমাণ তো করতে হবেই। সঙ্গে দেখতে হবে ভারতের বিশ্বজয়ের গর্বে এতটুকু আঁচড় যাতে না পড়ে।” গত এক বছরে রোহিতকে নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। বলা হচ্ছিল, তিনি ওজন প্রচুর বাড়িয়ে ফেলেছেন। যা শুনে রোহিত বলেছেন, “আপনি ভারতীয় দলে খেললে মিডিয়া, সমর্থক আপনার পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলবেই। কিন্তু তা নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। বরং চাই চলতি সফরে ব্যাট আমার হয়ে কথা বলুক।”
|
 |
অন্য দিকে আবার প্রথম এক দিনের ম্যাচে সারওয়ান হাফসেঞ্চুরি করলেও কথা উঠেছে তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে। ৫৬ রান করতে প্রায় একশো বল নিয়েছেন সারওয়ান। তিনি নিজেও হতাশ। বলেছেন, “ক্রিজে যত স্বচ্ছন্দ আমি সাধারণত থাকি, ততটা এখন নই। প্রচণ্ড হতাশ লাগছে এই ভেবে যে, আমি প্রথম ওয়ান ডে-তে ক্রিজে জমে গিয়েও ঠিক মতো স্ট্রাইক রোটেট করতে পারলাম না। ফলে খুচরো রান উঠে দলের বড় ইনিংস তৈরি হল না। সব বলে তো আর বাউন্ডারি মারা সম্ভব নয়!” শুধু সারওয়ানই নন, পঞ্চাশ ওভারের মধ্যে প্রায় তিরিশ ওভার ‘ডট বল’ খেলে কাটিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ! সাধে অধিনায়ক ডারেন স্যামি খোলাখুলি একহাত নিয়েছেন তাঁর দলের ব্যাটসম্যানদের? বলে দিয়েছেন, “আমরা তো বড় রানই তুলতে পারলাম না। ভারতের ইনিংসে ওদের উইকেট আমরা তুলছিলাম ঠিকই, কিন্তু নিজেদের হাতে যথেষ্ট রান না থাকলে আর কী ভাবে লড়া বা জেতা যায়? দরকার ছিল বড় একটা রানের চাপ ওদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার। কিন্তু সেটা তো করাই গেল না।”
সারওয়ান-স্যামুয়েলসদের ব্যাটিং দেখে স্যামি ক্ষুব্ধ। বলেছেন, “আমাদের ব্যাটিং পরামর্শদাতা ডেসমন্ড হেইনস তো কম খাটছেন না। কিন্তু পরিকল্পনাগুলো ঠিকঠাক কাজে লাগাতে না পারলে আর লাভ কী?” |
|
|
 |
|
|