|
|
|
|
দাঁতনে অস্ত্র উদ্ধার |
চন্দ্রকোনায় ‘আক্রান্ত’, অভিযোগ করল তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা² চন্দ্রকোনা ও দাঁতন |
দলীয় মিটিং সেরে বাড়ি ফেরার পথে সিপিএম সমর্থকদের হাতে বেধড়ক মার খেলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি-সহ ১০ জন নেতা-কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থানার ঝাঁকরা সংলগ্ন কেঁওপাটা গ্রামে। মারধরে আহতদের মধ্যে দু’জনের আঘাত গুরুতর। তাঁরা চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিএমের স্থানীয় লোকাল কমিটির সদস্য মনোরঞ্জন শিকারির মদতেই এ ঘটনা ঘটেছে। রাতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের লোকজনও পাল্টা মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ। তাতে ৩ সিপিএম সমর্থক আহত হয়েছেন। মনোরঞ্জনবাবু এবং সিপিএমের ঝাঁকরা লোকাল কমিটির সম্পাদক জয়ন্ত কয়াড়ির বাড়িতে ভাঙচুরও চলে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রবিবার তৃণমূলের বান্দিপুর অঞ্চল অফিসে দলের কর্মিবৈঠক ছিল। মিটিং সেরে অঞ্চল সভাপতি দেবাশিস দত্ত-সহ অন্য নেতা-কর্মীরা মোটরবাইকে আসার পথে কেঁওপাটা গ্রামের কাছে বাধা পান বলে অভিযোগ। সিপিএম নেতা মনোরঞ্জনবাবুর নেতৃত্বে এর পর মারধর শুরু হয় বলে তৃণমূলের দাবি। সিপিএমের চন্দ্রকোনা জোনাল কমিটির সম্পাদক গুরুপদ দত্তের অবশ্য বক্তব্য, “ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে তৃণমূলের লোকজনই গ্রামে গ্রামে মারধর, জরিমানা আদায় চালাচ্ছে। রবিবার রাতে তৃণমূলের লোকেরা কেঁওপাটায় জরিমানা আদায় করতে এলে গ্রামের মানুষ প্রতিবাদ করেন।” রাতের ওই গোলমালে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সোমবার সকালে আবার দাঁতন-২ ব্লকের তুরকা পঞ্চায়েত এলাকার গামারীপুর গ্রামে একটি রাস্তার কালভার্টের নীচ থেকে দু’টি একনলা বন্দুক, ৯টি কার্তুজ উদ্ধার হয়। ওই পঞ্চায়েত এলাকারই বামুনদা গ্রামে আবার হরিপদ সাউ নামে এক সিপিএম কর্মীর সাইকেল মেরামতির দোকান থেকে উদ্ধার হয় ৫টি তাজা বোমা। ওই সিপিএম কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে এলাকার মানুষের দাবি মতো ওই গ্রামে সিপিএমের একটি শাখা কমিটির অফিসেও তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখান থেকে উদ্দার হয় বোমা তৈরির প্রায় দেড় কেজি মশলা। |
|
|
|
|
|