|
|
|
|
হাতির হানায় মৃত্যু, ক্ষয়ক্ষতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²রাইপুর ও বিষ্ণুপুর |
এক প্রৌঢ়কে শুঁড়ে তুলে আছড়ে মারল দাঁতাল। রবিবার রাতে রাইপুর থানার গোলর গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম ছবিলাল মল্লিক (৫৮)। সোমবার সকালে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে বাড়ির উঠোনে খাটিয়ায় শুয়েছিলেন ছবিলালবাবু। মাঝরাতে বাড়িতে হানা দেয় একটি দাঁতাল। মৃতের ছেলে অলোক মল্লিক বলেন, “বাবা প্রতি রাতে উঠোনে খাটিয়ায় শুতেন। রাত ২টো নাগাদ বাবার চিৎকারে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। দেখি, দাঁতালটা বাবাকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হাতি পালিয়ে যায়।” ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছবিলালবাবুর। বাঁকুড়ার (দক্ষিণ) ডিএফও সুধীরচন্দ্র দাস বলেন, “লালগড়ের জঙ্গলে আস্তানা গেড়ে থাকা একটি রেসিডেন্ট দাঁতাল এই হামলা চালিয়েছে বলে আমরা প্রাথমিক ভাবে খবর পেয়েছি। মৃতের পরিবারকে সরকারি নিয়মে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে ওই এলাকার মানুষকে রাতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।” ডিএফও জানান, লালগড় থেকে কংসাবতী নদী পেরিয়ে দাঁতালটি মঝেমধ্যেই বাঁকুড়ায় ঢুকে পড়ছে। স্থানীয় বনকর্মীদের হাতিটির গতিবিধি নজরে রাখতে বলা হয়েছে।
অন্য দিকে, বিষ্ণুপুর বনবিভাগ লাগোয়া বাঁকাদহ রেঞ্জ অফিস সংলগ্ন চাঁচর মোড়ে দোকান ভেঙে মিষ্টি খেল হাতির দল। ধানসোল গ্রামে ঘর ভেঙে খেল ধান-চালও। দু’টি ঘটনাই রবিবার রাতের। চাঁচর মোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মিষ্টি দোকানটি সুভাষ মণ্ডলের। ধানসোল গ্রামে হাতির হানায় ভাঙা পড়েছে গোপাল মণ্ডলের বাড়ি। একই রাতে চাঁচর গ্রামে গৌর পাত্র’র এক বিঘা জমির ধান ও দু’বিঘা জমির কুমড়োও খেয়ে ফেলেছে হাতিরা। মঙ্গলবার বন দফতরের বাঁকাদহ রেঞ্জ অফিসে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। তাঁরা বলেন, “দলে প্রায় ১৫টি হাতি ছিল। মশাল জ্বালিয়েও ওদের তাড়ানো যায়নি। দ্রুত ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি আমরা।” ওই রেঞ্জের আধিকারিক বলাই ঘোষ বলেন, “১৫টি দলমার হাতি এবং ৪টি রেসিডেন্ট হাতি অনেকদিন ধরেই এলাকায় ঝামেলা পাকাচ্ছে। বনকর্মীদের নজরদারি বাড়াতে বলেছি।” তাঁর আশ্বাস, “ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির দ্রুত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|