|
|
|
|
মমতার কাছে দরবার |
মোস্তাফার মৃত্যুরহস্য ভেদে আর্জি পরিবারের |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
বসিরহাট উত্তর কেন্দ্রের সিপিএম বিধায়ক মোস্তাফা বিন কাশেমের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ব্যাপারে ইতিমধ্যেই বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই পরিপ্রেক্ষিতে ওই অপমৃত্যুর ‘প্রকৃত রহস্য’ উদ্ঘাটনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানাল প্রয়াত বিধায়কের পরিবার। ওই পরিবারের চার জন সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটনের তাঁর কাছে লিখিত ভাবে আর্জি জানান মোস্তাফার স্ত্রী। গত শনিবার পার্ক স্ট্রিট থানায় খুনের অভিযোগও দায়ের করেছে মোস্তাফার পরিবার। |
|
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন সিপিএম বিধায়ক মোস্তাফা বিন কাশেমের পরিবারের লোকজন। সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র |
মোস্তাফার দুই ভাই আব্দুল ওহিদ ও ফারুক বিন কাশেম এ দিন বিধায়কের পুত্রবধূ মুকলেসা খাতুন এবং পরিবারের অন্য সদস্যা শামিমা ফিরদৌসকে নিয়ে মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যান। মমতার সঙ্গে দেখা করে এসে ওহিদ বলেন, “দাদা আত্মহত্যা করেছেন, এটা আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে সে-কথাই জানিয়েছি।” গত ২৯ মে কিড স্ট্রিটের এমএলএ হস্টেলের নতুন আবাসনের পাঁচতলার ঘর থেকে ক্যান্টিনের ছাদে পড়ে মৃত্যু হয় মোস্তাফার। পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, বিধায়ক আত্মহত্যা করেছেন।
মোস্তাফার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ইতিমধ্যেই খুনের তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশি সূত্রের খবর, ওই বিধায়ককে খুন করা হয়েছে বলে এখনও কোনও প্রমাণ মেলেনি। ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট কিংবা পারিপার্শ্বিক তথ্যও আপাতত খুনের অভিযোগ প্রমাণ করছে না। খুনের অভিযোগেও নির্দিষ্ট কারও নামের উল্লেখ নেই। গোটা বিষয়টি তদন্তে করে দেখছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
এমএলএ হস্টেলে মোস্তাফার ঘর থেকে দু’টি নোট উদ্ধার করা হয়েছিল। তার একটিতে উত্তর ২৪ পরগনার চার সিপিএম নেতা অমিতাভ বসু, গৌতম দেব, অমিতাভ নন্দী ও তড়িৎ তোপদারের নাম আছে। লেটারহেডে লেখা একটি নোটের শেষ বাক্যে ওই চার নেতার নাম করে বোঝাতে চাওয়া হয়, শরীর সুস্থ না-থাকা সত্ত্বেও তাঁরা জোর করে মোস্তাফাকে এ বার বিধানসভার ভোটে প্রার্থী করেন। দু’টি নোটের কোনওটিতেই মোস্তাফার সই ছিল না। দু’টি নোটের হাতের লেখা মোস্তাফার কি না, তা দেখছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|