ক্লিক অর প্রেস
চমক সফ্টওয়্যারেও
শুধু হার্ডওয়্যারই নয়, আইপ্যাড ২-এর সফ্টওয়্যারও নজর কেড়েছে। আগের সংস্করণের সফ্টওয়্যারগুলি তো আছেই, সঙ্গে আরও নতুন কয়েকটি সফ্টওয়্যার যুক্ত হয়েছে। জরুরি কাজ থেকে বিনোদন নানা সফ্টওয়্যারে সমৃদ্ধ নতুন আইপ্যাড। এ বার আইপ্যাড ২-এর সফ্টওয়্যার নিয়ে কথা বলব।
ফেসটাইম:
আগের বার নতুন আইপ্যাডের দু’টি ক্যামেরার কথা বলেছি। একটি ট্যাপে আইপ্যাড ২ থেকে যে কাউকে ফোন করতে পারেন। আইপ্যাডের বড় স্ক্রিনে যাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান তাঁর মুখও ঠিকমতো দেখতে পাবেন। পিছনের ক্যামেরাটি চালু করলে কোথা থেকে কথা বলছেন তা জানাতে পারবেন।

ফটোবুথ:
ফটোবুথ দিয়ে সহজে ছবি তুলে সম্পাদনা করতে পারেন। আট ধরনের এফেক্ট দিতে পারবেন। ড্র্যাগ, পিঞ্চ, রোটেট করতে পারবেন। দু’বার ট্যাপ করে এফেক্টগুলি সম্পাদনা করতে পারবেন। নিজের ছবিকে নানা ভাবে ভেঙেচুরে দেখতে পারবেন। সেই ছবি ই-মেলও করতে পারবেন।

মেল:
স্ক্রোল করে মেসেজ দেখতে পারবেন। বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের মেলও এক সঙ্গে দেখতে পারবেন। অন-স্ক্রিন কি-বোর্ড দিয়ে টাইপ করতে পারবেন। এই কি-বোর্ড আপনা-আপনি বানান সংশোধন, যতি চিহ্ন দেওয়া ও শব্দ লিখতে সাহায্য করবে। মেসেজ-এর মধ্যেই অ্যাটাচ্মেন্ট দেখতে ও খুলতে পারবেন।

সাফারি:
অনেকটা বইয়ের মতো করে ওয়েবসাইট দেখতে পারবেন। আঙুল ব্যবহার করে ওয়েবপেজের কোনও জায়গায় জুম করা যাবে। ট্যাপ করে লিঙ্ক খোলা যাবে।

আই-বুক:
আপনি অ্যাপ-স্টোর থেকে ই-বুক ডাউনলোড করতে পারবেন। নতুন আইপ্যাডের ডিসপ্লেতে বই পড়া আরও আকর্ষণীয়। আপনি বিল্ট-ইন বুক-স্টোর থেকে বই কিনতেও পারেন।

ফাইন্ড মাই আইপ্যাড:
নতুন আইপ্যাড নিলে তার সেটিংসে গিয়ে ‘find my iPad’ এনাবেল করুন। এ বার আইপ্যাড হারিয়ে ফেললে ‘me.com’ সাইট থেকে বা অন্য কারও আইপ্যাড, আইফোন ৪-এ ‘Find my iPhone’ (বিনামূল্য অ্যাপস্টোর থেকে ডাউনলোড করা যায়) সফ্টওয়্যারটি আপনার আইপ্যাড কোথায় আছে ম্যাপে তা দেখিয়ে দেবে।

ম্যাপস:
আইপ্যাডে ম্যাপ রয়েছে। এই ম্যাপে আপনি কোথায় আছেন, কোন নির্দিষ্ট জায়গায় কী ভাবে পৌঁছবেন, কোন দিকে যাচ্ছেন, কী ভাবে যানজট এড়াবেন সবই জানতে পারবেন। কৃত্রিম উপগ্রহের ছবিতে রাস্তা ও ভূপ্রকৃতি দেখতে পারবেন। তা ছাড়া খাওয়ার জায়গা, বিভিন্ন ল্যান্ডমার্কও জানতে পারবেন।

ইউটিউব:
নতুন আইপ্যাডে ইউটিউবের মাধ্যমে সহজে কোনও ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিও ব্রাউজ করা, মন্তব্য পড়া ও আনুষঙ্গিক খোঁজখবরও সহজে করা যায়। কিছু খুঁজতে গেলে অন-স্ক্রিন কি-বোর্ডের সাহায্য নিতে পারেন। যা খুঁজে পাবেন তা বুকমার্ক করে রাখতে পারেন।

গেম সেন্টার:
একা খেলা নয়। গেম সেন্টারের মাধ্যমে অনেকে মিলে নানা খেলা খেলতে পারবেন। গেম সেন্টারে সাইন-ইন করার পরে ই-মেল করে বন্ধুদের আমন্ত্রণ পাঠাতে পারবেন। বন্ধুরা যোগ দিলে তাঁদের নাম বা ডাকনাম টাইপ করলেই তাঁরা অন-লাইন আছেন কি না জানতে পারবেন।

ক্যালেন্ডার:
জি-মেল ক্যালেন্ডার, মোবাইল মি ৯ ইত্যাদি বিভিন্ন ক্যালেন্ডার নতুন আইপ্যাডে সাজিয়ে রাখা যায়। আপনার সমস্ত কাজের দিন ক্ষণ সহজে ঠিকমতো সাজিয়ে রাখা সম্ভব।

আইমুভি:
নতুন আইপ্যাডের বড় স্ক্রিনে এইচ-ডি মুভি দ্রুত ও সহজে সম্পাদনা করা যায়। ভিডিও, ছবি, গান, শব্দ মিশিয়ে সহজে ভিডিও তৈরি করে নিতে পারবেন। মাল্টি টাচ্ প্রিসিসন এডিটর-এর মাধ্যমে মুভির ঠিকঠাক জায়গায় কাট করা ও শব্দের প্রয়োগ যথাযথ হচ্ছে কি না তা-ও বোঝা সম্ভব। এখানে থেকেই মুভি শেয়ার করতে পারবেন।

গ্যারাজব্যান্ড:
আইপ্যাডের সঙ্গে গ্যারাজব্যান্ড থাকলে আপনার সঙ্গে রয়েছে আস্ত রেকর্ডিং স্টুডিও। পিয়ানো, অর্গান, গিটার, ড্রাম সবই এক সঙ্গে পেয়ে যাবেন। সঙ্গের বিল্ট-ইন মাইক্রোফোনে রেকর্ড করতে পারবেন। এক সঙ্গে আটটি ট্র্যাক মেশাতে পারবেন। আইপ্যাডের সঙ্গে ইলেকট্রিক গিটার জুড়ে বাজাতেও পারবেন।

আই টিউনস:
আই টিউনস আইকনে ট্যাপ করে অজস্র গান, টিভির অনুষ্ঠান ও সিনেমা ডাউনলোড করতে পারেন। অবশ্য টিভির অনুষ্ঠান বা সিনেমা সব দেশে পাওয়া যাবে না।

অ্যাপস স্টোর:
অ্যাপস স্টোর থেকে আইপ্যাডের জন্য তৈরি ৬৫ হাজার অ্যাপস ডাউনলোড করা যায়। এর মধ্যে কিছু অ্যাপস আবার নিখরচায় পাবেন।

কম্পিউটার সংক্রান্ত আপনার প্রশ্ন পাঠান:
-এ
সাবজেক্ট লাইনে লিখুন abp kolkata
Previous Story

Kolkata

Next Item

 



অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.